somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

"দোলে প্রেমের দোলনচাঁপা "---------------

২১ শে জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :




ফুলের নাম: দোলনচাঁপা!

‘দোলে প্রেমের দোলন-চাঁপা হৃদয় আকাশে,
দোল-ফাগুনের চাঁদের আলোর সুধায় মাখা সে।’
— রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর



রবীন্দ্রসাহিত্যে এভাবেই উঠে এসেছে দোলনচাঁপা ফুল। কবিগুরু তাঁর কল্পনাশক্তি দিয়ে দোলনচাঁপাকে হৃদয়ের আকাশে দোল খাওয়ার কথা/ভাবনাকে তুলে এনে ঠাঁই দিয়েছেন তার বিভিন্ন লেখনীতে।
দোলনচাঁপার বৈজ্ঞানিক নাম Hedychium coronarium.
এটি Zingiberaceae পরিবারের সদস্য।




দোলনচাঁপার নান্দনিক পাপড়িগুলো সাদা প্রজাপতির কথা মনে করিয়ে দেয় সহজেই। ফুলেল গাছটার দিকে তাকালে একরাশ সাদা প্রজাপতির কথা মনে না এসেই যায় না। এই গাছের গড়নের সাথে আদা গাছের সাদৃশ্য চোখে পড়ে। তাই এর ইংরেজি প্রচলিত নাম Butterfly Ginger Lily অথবা White Ginger Lily. দোলনচাঁপা গাছ জীবনীশক্তিতে ভরপুর। এর জীবন নিঃসন্দেহে চমকপ্রদ। দোলনচাঁপা বহুবর্ষজীবী কন্দজ উদ্ভিদ। দোলনচাঁপা যে ভীষণভাবে ছায়াময় শীতল পরিবেশ ভালোবাসে সেটা তার ফুলের এবং গাছের মৌসুমের প্রকৃতি দেখেই বলে দেয়া যায়। বিকেলের শেষভাগে ফুটে সকাল হতে হতে ঝরে পড়ে দোলন চাঁপা। ওদিকে বর্ষায় ফুটতে শুরু করে শরৎ শেষ হতে হতে এর ফুলের মৌসুম শেষ হয়।



শীতকালে এর কান্ড মরে গিয়ে গাছ শুকিয়ে যায়। গ্রীষ্মে কান্ডের পুনর্জন্ম হয়। নতুন করে জেগে ওঠে গাছ। বিশেষ করে গ্রীষ্মের দু এক পশলা বৃষ্টির পর মাটি ফুড়ে নতুন করে জন্ম হয় দোলনচাঁপা গাছের। গাছটি ৩০ থেকে ৪০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত উঁচু হয়। সর্বোচ্চ ৬ ফুট লম্বা হতে পারে। । পাতা গুলো গাঢ় সবুজ রঙ্গের, ৮-২৪ ইঞ্চি লম্বা ও ২-৫ ইঞ্চি চওড়া। গ্রীষ্মের মধ্যভাগ থেকে বসন্ত পর্যন্ত গাছটির অগ্রভাগে ৬-১২ ইঞ্চি পুষ্পমঞ্জুরি দেখা যায় এবং ক্রমান্বয়ে সাদা দুই পাপড়ির প্রজাপতি ফুল ফুটতে থাকে।



দোলনচাঁপার প্রজাতির সংখ্যা প্রায় ৪০টি। সাদা ছাড়াও সামান্য হলদে বা লালচে রঙের দোলনচাঁপার দেখা কখনও মিলে যায়। আবার কোনো কোনো ফুলে থাকতেই পারে গাঢ় হলুদ বা কমলা রঙের ছিটে। সমতল এবং পাহাড়ী মাটি দুই জায়গাতেই ভালো হয় দোলনচাঁপা। ভেজা মাটি এর প্রিয়। দোলনচাঁপার আদি নিবাস দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া। মূলত উত্তর ভারত। বাংলাদেশেও বিস্তর দেখা মেলে।

কথিত আছে স্প্যানিশ উপনিবেশ আমলে নারীরা এই ফুলের মধ্যে তাঁদের গোপন বার্তা লুকিয়ে আদান প্রদান করতেন।

তথ্যসূত্রঃ উদ্ভিদ চত্বর
ছবিঃ আমার বাগানের, আমার তোলা।




















★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৫
২২টি মন্তব্য ২২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কাঁচা আম পাড়ার অভিযান

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৩ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৩২



গাজীপুর জেলার জয়দেবপুরের বাড়ীয়া ইউনিয়নের দেউলিয়া গ্রামে আমার প্রায় ৫২ শতাংশ জমি কেনা আছে। সেখানে ছোট একটি ডোবা পুকুর, অল্প কিছু ধানের জমি আর বাকিটা উঁচু ভিটা জমি। বেশ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমরা কেন এমন হলাম না!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪১


জাপানের আইচি প্রদেশের নাগোইয়া শহর থেকে ফিরছি৷ গন্তব্য হোক্কাইদো প্রদেশের সাপ্পোরো৷ সাপ্পোরো থেকেই নাগোইয়া এসেছিলাম৷ দুইটা কারণে নাগোইয়া ভালো লেগেছিল৷ সাপ্পোরোতে তখন বিশ ফুটের বেশি পুরু বরফের ম্তুপ৷ পৃথিবীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিমানের দেয়াল

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৪




অভিমানের পাহাড় জমেছে তোমার বুকে, বলোনিতো আগে
হাসিমুখ দিয়ে যতনে লুকিয়ে রেখেছো সব বিষাদ, বুঝিনি তা
একবার যদি জানতাম তোমার অন্তরটাকে ভুল দূর হতো চোখের পলকে
দিলেনা সুযোগ, জ্বলে পুড়ে বুক, জড়িয়ে ধরেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের গ্রামে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি

লিখেছেন প্রামানিক, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১



২৬শে মার্চের পরে গাইবান্ধা কলেজ মাঠে মুক্তিযুদ্ধের উপর ট্রেনিং শুরু হয়। আমার বড় ভাই তখন ওই কলেজের বিএসসি সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্র ছিলেন। কলেজে থাকা অবস্থায় তিনি রোভার স্কাউটে নাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিকেল বেলা লাস ভেগাস – ছবি ব্লগ ১

লিখেছেন শোভন শামস, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৪৫


তিনটার সময় হোটেল সার্কাস সার্কাসের রিসিপশনে আসলাম, ১৬ তালায় আমাদের হোটেল রুম। বিকেলে গাড়িতে করে শহর দেখতে রওয়ানা হলাম, এম জি এম হোটেলের পার্কিং এ গাড়ি রেখে হেঁটে শহরটা ঘুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×