somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জ্ঞানের কোন সীমারেখা নেই

২২ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ১১:২৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

জ্ঞানের কোন সীমারেখা নেই । এই কথাটা কেউ এক জন কোন এক সময়ে কোন এক জায়গায় বলেছিল । তবে কথাটা যে সত্য তার সত্যায়িত কপি আমার কাছে আছে । আসলেই তো ... জ্ঞানের কোন সীমারেখা নেই...!!



সেই ছোট্টবেলা থেকে, যখন তুমি জন্মগ্রহণ করেছিলে সেই সময় থেকে আজ পর্যন্ত শুধু জ্ঞান অর্জন করেই চলেছো... আর মৃত্যুবরণ করার আগে পর্যন্ত সেটা তোমাকে করে যেতে হবে, আর একটু বাড়িয়ে বললে বলতে হবে, মৃত্যুর পরেও তোমার রেহাই নেই অর্থাৎ জ্ঞানের শেষ নেই... যেমন, মৃত্যুর স্বাদ পাবে, কবরের জীবন সম্পর্কে জ্ঞান লাভ হবে, বিচার দিনের সম্পর্কে জ্ঞান লাভ হবে... যদি জাহান্মামে যাও তবে প্রতিদিন নতুন নতুন শাস্তি অর্থাৎ নতুন নতুন জ্ঞান লাভ হবে... আর যদি জান্নাতে যেতে পারো তবে তো হয়েই গেল...প্রতিদিন নতুন নতুন খাবার খাবে, নতুন নতুন হুরের সাথে ডেটিংএ যাবে আরো কত্তোকিছু...!!! জ্ঞানের সীমারেখা সেখানেও নেই...সেটা n তম দিন পর্যন্ত তো চলতেই থাকবে । তার বেশীও চলতে পারে...


আমরা পৃথিবীতেই ফিরে আসি। পৃথিবীতে কতোগুলো জ্ঞানের দিক আছে? হ্যা এটা আমি বলে দিতে পারবো...পৃথিবীতে যতোগুলো অবজেক্ট (বস্তু) আছে ঠিক ততোগুলো জ্ঞানের দিক আছে। এখন কতো গুলো অবজেক্ট আছে সেটা প্রশ্ন করো না । তাহলে বিপদে পড়ে যাবো। পৃথিবীর জ্ঞান গুলো পৃথিবীর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও হয় ! মানুষতো এখন পৃথিবীর বাইরের অবজেক্ট নিয়েও ঝামেলা শুরু করেছে। মানে গ্যালাক্সী (মহাবিশ্ব) আর কি । চন্দ্র, সূর্য, গ্রহ তারা কিছুই এদের হাত থেকে মুক্তি পায়নি । সব জায়গাতে জ্ঞানের সন্ধান করেই চলেছে ।

সেই এইটুকু বয়স থেকে , যখন তোমার আম্মু তোমাকে প্রায়মারী স্কুলে ভর্তি করে দিল। সেই সময় থেকেই জ্ঞানের এক সামান্যতম অংশ তোমার মাথায় পড়াশোনা নামক এক সিরিয়াল ডাটা বাসের মাধ্যমে ঢোকানো শুরু করা হয়েছিল । সেটার ডাটা ট্রান্সফার যখন শেষ হলো তখন দেখলে যে জীবনের অর্ধেকটা তুমি পেরিয়ে এসেছো । আর পড়ে আছে বাকি অর্ধেক জীবন । এখন হয়তো ভাবছো, যাক জ্ঞানের পার্ট শেষ হলো বোধহয় । কিন্তু না... ওয়েট করো বলছি। এবার তো শুরু হলো আরো মারাত্বক সব জ্ঞান লাভের ২য় পর্ব। অর্থাৎ বাস্তব জীবনের জ্ঞান লাভ এবার শুরু। কতো কতো সব জ্ঞানের দিক তোমার সামনে উন্মোচিত হবে । এতোদিন তো ল্যাব/ক্লাসরুমের মধ্যে জ্ঞানের মিষ্টি সরবত পান করতে করতে শিখেছ। পড়েছ একবার না পারিলে দেখ শত বার। কিন্তু বাস্তব জীবনে একবার না পারলে শতবার দেখার সুযোগ তুমি পাবে না। জীবিকা নির্বাহের জন্য যা শুরু করবে সেখানে প্রতি নিয়ত ঠেকে ঠেকে শিখবে আর জ্ঞান লাভ করবে । তারপরে বিয়ে করবে, শুরু হলো জ্ঞান অর্জনের আর এক পর্ব। আগের পর্ব কিন্তু এখনও শেষ হয়নি, সেটা চলছেই...! তার পরে সন্তান হবে, তুমি শুধু শিখবে আর শিখবে । সন্তানের আবার সন্তান হবে, কিন্তু তোমার শেখার কোন শেষ হবে না। (যায় হোক, আমরা এই লুপ থেকে বের হয়ে আসি)

সারাটা জীবন এবং জীবনের পরবর্তি অংশ জ্ঞান অর্জনের পেছনেই তোমাকে ব্যায় করতে হবে । সেটা তুমি চাও বা না চাও এটা ঘটবেই। ভেবে দেখ যেগুলো বললাম কোনটা ভুল কি না। যদি ভুল হয় তবে এখানেই এটা পড়া বন্ধ করে দাও।

তুমি এখনও পড়ে চলেছ? তার মানে তোমার মত অনুযায়ী আমি ভুল কিছু বলিনি। তাহলে শোন, সুযোগ পেয়েছি যখন কিছু জ্ঞান আমিও দিই। (কারণ মানুষ সুযোগ পেলে জ্ঞান অর্জনের পাশাপাশি বিনা মূল্যে কিছু জ্ঞান বিতরণ করতেও চায়, এটা মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি) । আমাদের চারিপাশে আমরা যা কিছু দেখছি তা করো না কারো জ্ঞানের বহিঃপ্রকাশ । একে হয়তো অনেকে বিজ্ঞান বলেও সম্মহিত করে। বিজ্ঞানের বাইরেও জ্ঞানের কোন শেষ নেই। অর্থাৎ বিজ্ঞান যেগুলো সমর্থন করে না যেমন, বিভিন্ন অাধ্যাতিক ও অশারীরিক বিষয় সমূহ যেগুলো বাস্তবে ঘটে এর পেছনেও পর্যাপ্ত জ্ঞান অর্জনের সুযোগ আছে কিন্তু এই বিষয়টা নিয়ে এখন নয়, অন্যকোন দিন বিস্তারিত আলোচনা করবো। এখন আসি বিজ্ঞানের দিকেই... হ্যা যা বলছিলাম, যে আমাদের চারপাশে যা কিছু দেখছি যেমন ধরো একটা কম্পিউটার ( আমার সামনে আছে তাই) না এটা অনেক বড় কিছু হয়ে গেল, ছোট কিছু দেখি, যেমন ধরো সিলিং ফ্যান বা ঘরের লাইট। এই সব উধাহরণের যে কোন একটি নিয়েই মানুষ সারাটা জীবন পার করে দিতে পারে । সারাটা জীবন পার করে শেষ বয়সে এসে যখন বলবে যে আমি অমক জিনিসের সবটা জানি বা জেনে ফেলেছি । ঠিক সেই দিন বা তার পরের দিন হয়তো সেই অমক জিনিসের পরবর্তি ভার্সন বাংলায় যাকে বলে সংস্করণ অবিষ্কৃত হবে। আবার ঐ বিষয়ের উপরেই জ্ঞান অর্জনের নতুন শাখা চালু হবে । তাহলে ভেবে দেখ যে পৃথিবীতেই জ্ঞান অর্জনের কতোটা দিক আছে। সাধারণ ক্যালকুলেটরে এই সংখ্যাটা আসবে না। যদি সুপার কম্পিউটার ব্যবহার করে হিসাব নিকাশ করে বের করা হয় তবে ঐ একটা উত্তরই আসবে, যেটা আমি প্রথমেই বলেছি যে “পৃথিবীতে যতো গুলো অবজেক্ট আছে ঠিক ততোগুলো বিষয় আছে জ্ঞান অর্জনের” । যেই সংখ্যাটা কোটির নিচে কখনই আসবে না। কিন্তু সেই তুলনায় তোমার হাতে সময় আছে মাত্র কয়েক দশক বছর বা কয়েক শত মাস বা কয়েক হাজার দিন বা কয়েক লাখ ঘন্টা ।

তাই আমাদের যখন জ্ঞান অর্জনটা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে তাই ভাবছি এখন থেকে মন দিয়েই সেটা অর্জন করবো। না পারলেও করার চেষ্টা করবো। তোমাকেও এই একই পরামর্শ দেবো। তাহলেই একদিন জ্ঞানী বা বিজ্ঞানী হতে পারবে। কিন্তু পরিপূর্ণ জ্ঞান কোন দিনই অর্জন করতে পারবে না । এটা সাধারণ মানুষের সাধ্যের বাইরে (এই তো ধরা খাইছো ! কনক তুমি তো সব সময় বলো যে মানুষ পারেনা এমন কিছুই নেই! Nothing is impossible ! তাহলে এটা কিভাবে সাধ্যের বাইরে হলো? - আরে বলছি বলছি, এর জন্যই তো বলেছি সাধারণ মানুষের সাধ্যের বাইরে। অসাধারণ মুনষের সাধ্যের বাইরে না। আমাদের আদি পিতা আদম (আঃ) কে আল্লাহ তায়ালা পৃথিবীর সমস্ত বিষয়ে, সমস্ত অবজেক্ট সম্পর্কে জ্ঞান দান করেছিলেন। যেটা ছিল গড গিফ্টেড জ্ঞান। তাই এটা অবশ্যই প্রমানিত হয় যে মানুষের মাথাতে পৃথিবীর সব কিছু ঢোকানো সম্ভব, সো নাথিং ইজ ইম্পসিবল ইন দিস ওয়ার্ল্ড :D )। যেহেতু সময় কম তাই সময় থাকতেই সচেতন হও । কোটি কোটি বিষয়ের দরকার নেই। তার ভিতরে অন্তত একটি বিষয়ে তোমার জ্ঞান অর্জন করা খুবই দরকার এবং খুব ভালোভাবেই করা দরকার। না হলে জীবনে কিছুই পাবে না। কিচ্ছু না । জীবনটাই বৃথা যাবে। এখন কোন বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করতে হবে সেটাও কি বলে দিতে হবে নাকি? সবই যদি আমি বলে দিই তবে তুমি করবে কি? এসব ফালতু পোস্ট না পড়ে সেটা খুজে বের করো এবং এখনই শুরু করো। জ্ঞান অর্জনেরও নিদিৃষ্ট কোন সীমারেখা এবং বয়স বা সময় নেই । Happy Learning :D !

~
© কনক ২০১৬

ফেসবুকে আমিঃ Káñàk The-Bøss
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ১১:২৬
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সৎ মানুষ দেশে নেই,ব্লগে আছে তো?

লিখেছেন শূন্য সারমর্ম, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:৪৮








আশেপাশে সৎ মানুষ কেমন দেখা যায়? উনারা তো নাকি একা থাকে, সময় সুযোগে সৃষ্টিকর্তা নিজের কাছে তুলে নেয় যা আমাদের ডেফিনিশনে তাড়াতাড়ি চলে যাওয়া বলে। আপনি জীবনে যতগুলো বসন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×