somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সংসদে পিতা-মাতার ভরণ পোষণ বিল পাশ

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৭:৫৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :




সন্তান পিতা-মাতার ভরণ পোষণ না দিলে সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকা জরিমানা ও জামিন অযোগ্য বিধান রেখে পিতা-মাতার ভরণ পোষণ বেসরকারি বিল-২০১৩ আজ জাতীয় সংসদে পাস হয়েছে। এর আগে ২০১১ সালে বিলটি পাসের জন্য সংসদে উত্থাপন করেন সাংসদ মুজিবুল হক চুন্নু। পরে স্থায়ী কমিটিতে যাচাই বাছাই পূর্বক মন্ত্রীসভায় অনুমোদনের পর আইনটি পাস হয়। ‘পিতা-মাতার ভরণ-পোষণ বিল-২০১১’ বিলে পিতার ঔরসে এবং মাতার গর্ভে জন্ম নেওয়া সন্তান তার পিতা-মাতাকে ভরণ-পোষণ না করলে তা হবে জামিন অযোগ্য অপরাধ।
তবে আপোস করা যাবে। ভরণ-পোষণ না করলে বাবা-মা আদালতের আশ্রয়ও নিতে পারবেন। এক্ষেত্রে সন্তান ১ লাখ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা বা অর্থ দণ্ডসহ অনাদায়ে অনুর্দ্ধ ৩ মাসের
কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন। বিলে আরও বলা হয়, কোনো সন্তানের
স্ত্রী বা স্বামী পিতা-মাতার ভরণ-পোষণ প্রদান না করতে প্ররোচনা দিলে উক্ত স্ত্রী বা স্বামীও কিংবা অন্য সহায়তাকারী উপরিউক্ত অপরাধে অভিযুক্ত হবেন। বিলের বিধান অনুযায়ী সন্তানের আয়ের যুক্তিসঙ্গত পরিমাণ পিতামাতাকে দিতে হবে। বিলে বলা হয়েছে, ভরণ-পোষণ নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে প্রত্যেক সন্তানকে পিতা-মাতার সঙ্গে একই স্থানে বসবাস নিশ্চিত
করতে হবে। কোনো সন্তান তার
পিতা বা মাতাকে বা উভয়কে তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে বৃদ্ধনিবাস, বা অন্য কোথাও বা আলাদা আলাদভাবে বসবাস করতে বাধ্য
করতে পারবেন না। প্রত্যেক সন্তান তার পিতামাতার স্বাস্থ্য সম্পর্কে নিয়মিত খোঁজ-খবর রাখবেন।
প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা ও
পরিচর্যা করবে। তারা পৃথকভাবে বসবাস করলে সন্তানদের নিয়মিত সাক্ষাৎ করতে হবে। শুধু পিতা বা মাতার ভরণ-পোষণই নয়, পিতা বা মাতার মৃত্যুর পরও যদি দাদা-
দাদী বা নানা-নানী বেঁচে থাকেন তবে তাদেরও ভরণ-পোষণ দেওয়া নাতী-নাতনীর আইনি দায়িত্ব বলেও উল্লেখকরা হয়েছে বিলে। খসড়া আইনে বলা আছে, প্রত্যেক সন্তানকে তার পিতা-মাতার ভরণ-পোষণ নিশ্চিত করতে হবে। কোনো পিতা-মাতার
একাধিক সন্তান থাকলে সেক্ষেত্রে সন্তানরা নিজেদের মধ্যে আলোচনার ভিত্তিতে বাবা-মার
ভরণপোষণ নিশ্চিত করবে।
খসড়া আইনে অপরাধের আমল-যোগ্যতা, বিচার ও জামিন-সংক্রান্ত বিধানে বলা হয়, ‘এ
ধরনের অপরাধ প্রথম শ্রেণীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে বিচারযোগ্য হবে।
তবে কোনো আদালত এ আইনের অধীনে সংঘটিত অপরাধ সংশ্লিষ্ট সন্তানের পিতা বা মাতার লিখিত অভিযোগ ছাড়া আমলে নেবে না।
অভিযোগকারী পিতা বা মাতাকে শুনানির সুযোগ না দিয়ে কোনো আদালত অভিযুক্ত ব্যক্তিকে জামিনে মুক্তি দেবে না। এ আইনটি ঐতিহাসিক আইন এ ব্যাপারে কোনোও সন্দেহ নেই। তবে সন্তান যদি সত্যিকার অর্থে সুসন্তান না হয় তবে কোনো আইন দিয়ে কি কিছু করা সম্বব? আমাদের দেশে অনেক পরিবার আছে যে পরিবারের সন্তানেরা বিশেষ করে ছেলেরা বিয়ের পরে আর পিতা মাতার খোজ খবর রাখেন না, ফলে পিতা মাতাকে অর্ধাহারে অনাহারে দিন কাটাতে হয়। আর তাদের ছেলেরা নিজেদের বউ নিয়ে দিব্যি বিলাসীতা করে বেড়ায়। পিতা মাতা না খেয়ে দুঃখ কষ্টে দিন কাটালেও কোনো পিতা মাতা চাইবে না তার সন্তানের বিরুদ্ধে আইন আদালতে যেতে। তারপরেও এ আইন অসহায় পিতামাতার জন্য মহাজোট সরকারের দেওয়া একটি ঐতিহাসিক রক্ষা কবচ।
সন্তান পিতা-মাতার ভরণ পোষণ না দিলে সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকা জরিমানা ও জামিন অযোগ্য বিধান রেখে পিতা-মাতার ভরণ পোষণ বেসরকারি বিল-২০১৩ আজ জাতীয় সংসদে পাস হয়েছে। এর আগে ২০১১ সালে বিলটি পাসের জন্য সংসদে উত্থাপন করেন সাংসদ মুজিবুল হক চুন্নু। পরে স্থায়ী কমিটিতে যাচাই বাছাই পূর্বক মন্ত্রীসভায় অনুমোদনের পর আইনটি পাস হয়। ‘পিতা-মাতার ভরণ-পোষণ বিল-২০১১’ বিলে পিতার ঔরসে এবং মাতার গর্ভে জন্ম নেওয়া সন্তান তার পিতা-মাতাকে ভরণ-পোষণ না করলে তা হবে জামিন অযোগ্য অপরাধ।
তবে আপোস করা যাবে। ভরণ-পোষণ না করলে বাবা-মা আদালতের আশ্রয়ও নিতে পারবেন। এক্ষেত্রে সন্তান ১ লাখ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা বা অর্থ দণ্ডসহ অনাদায়ে অনুর্দ্ধ ৩ মাসের
কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন। বিলে আরও বলা হয়, কোনো সন্তানের
স্ত্রী বা স্বামী পিতা-মাতার ভরণ-পোষণ প্রদান না করতে প্ররোচনা দিলে উক্ত স্ত্রী বা স্বামীও কিংবা অন্য সহায়তাকারী উপরিউক্ত অপরাধে অভিযুক্ত হবেন। বিলের বিধান অনুযায়ী সন্তানের আয়ের যুক্তিসঙ্গত পরিমাণ পিতামাতাকে দিতে হবে। বিলে বলা হয়েছে, ভরণ-পোষণ নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে প্রত্যেক সন্তানকে পিতা-মাতার সঙ্গে একই স্থানে বসবাস নিশ্চিত
করতে হবে। কোনো সন্তান তার
পিতা বা মাতাকে বা উভয়কে তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে বৃদ্ধনিবাস, বা অন্য কোথাও বা আলাদা আলাদভাবে বসবাস করতে বাধ্য
করতে পারবেন না। প্রত্যেক সন্তান তার পিতামাতার স্বাস্থ্য সম্পর্কে নিয়মিত খোঁজ-খবর রাখবেন।
প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা ও
পরিচর্যা করবে। তারা পৃথকভাবে বসবাস করলে সন্তানদের নিয়মিত সাক্ষাৎ করতে হবে। শুধু পিতা বা মাতার ভরণ-পোষণই নয়, পিতা বা মাতার মৃত্যুর পরও যদি দাদা-
দাদী বা নানা-নানী বেঁচে থাকেন তবে তাদেরও ভরণ-পোষণ দেওয়া নাতী-নাতনীর আইনি দায়িত্ব বলেও উল্লেখকরা হয়েছে বিলে। খসড়া আইনে বলা আছে, প্রত্যেক সন্তানকে তার পিতা-মাতার ভরণ-পোষণ নিশ্চিত করতে হবে। কোনো পিতা-মাতার
একাধিক সন্তান থাকলে সেক্ষেত্রে সন্তানরা নিজেদের মধ্যে আলোচনার ভিত্তিতে বাবা-মার
ভরণপোষণ নিশ্চিত করবে।
খসড়া আইনে অপরাধের আমল-যোগ্যতা, বিচার ও জামিন-সংক্রান্ত বিধানে বলা হয়, ‘এ
ধরনের অপরাধ প্রথম শ্রেণীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে বিচারযোগ্য হবে।
তবে কোনো আদালত এ আইনের অধীনে সংঘটিত অপরাধ সংশ্লিষ্ট সন্তানের পিতা বা মাতার লিখিত অভিযোগ ছাড়া আমলে নেবে না।
অভিযোগকারী পিতা বা মাতাকে শুনানির সুযোগ না দিয়ে কোনো আদালত অভিযুক্ত ব্যক্তিকে জামিনে মুক্তি দেবে না। এ আইনটি ঐতিহাসিক আইন এ ব্যাপারে কোনোও সন্দেহ নেই। তবে সন্তান যদি সত্যিকার অর্থে সুসন্তান না হয় তবে কোনো আইন দিয়ে কি কিছু করা সম্বব? আমাদের দেশে অনেক পরিবার আছে যে পরিবারের সন্তানেরা বিশেষ করে ছেলেরা বিয়ের পরে আর পিতা মাতার খোজ খবর রাখেন না, ফলে পিতা মাতাকে অর্ধাহারে অনাহারে দিন কাটাতে হয়। আর তাদের ছেলেরা নিজেদের বউ নিয়ে দিব্যি বিলাসীতা করে বেড়ায়। পিতা মাতা না খেয়ে দুঃখ কষ্টে দিন কাটালেও কোনো পিতা মাতা চাইবে না তার সন্তানের বিরুদ্ধে আইন আদালতে যেতে। তারপরেও এ আইন অসহায় পিতামাতার জন্য মহাজোট সরকারের দেওয়া একটি ঐতিহাসিক রক্ষা কবচ।
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হাদির হত্যাকান্ড ও সরকারের পরবর্তি করণীয়!

লিখেছেন আহলান, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৫১

হাদির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা। সে দেশকে ভালোবেসে, দেশের মানুষকে ইনসাফের জীবন এনে দিতে সংগ্রাম করেছে। তাকে বাঁচতে দিলো না খুনিরা। অনেক দিন ধরেই তাকে ফোনে জীবন নাশের হুমকি দিয়ে এসেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মব রাজ্যে উত্তেজনা: হাদির মৃত্যুতে রাজনৈতিক পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪২

রোম যখন পুড়ছিল নিরো নাকি তখন বাঁশি বাজাচ্ছিল; গতরাতের ঘটনায় ইউনুস কে কি বাংলার নিরো বলা যায়?



বাংলাদেশ প্রেক্ষাপটে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদটি সবসময় ছিল চ্যালেঞ্জিং।‌ "আল্লাহর... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্টেরিম সরকারের শেষদিন : গঠিত হতে যাচ্ছে বিপ্লবী সরকার ?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:২২


ইরাক, লিবিয়া ও সিরিয়াকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার আন্তঃদেশীয় প্রকল্পটা সফল হতে অনেক দিন লেগে গিয়েছিল। বাংলাদেশে সে তুলনায় সংশ্লিষ্ট শক্তিসমূহের সফলতা স্বল্প সময়ে অনেক ভালো। এটা বিস্ময়কর ব্যাপার, ‘রাষ্ট্র’... ...বাকিটুকু পড়ুন

মব সন্ত্রাস, আগুন ও ব্লাসফেমি: হেরে যাচ্ছে বাংলাদেশ?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:৫২


ময়মনসিংহে হিন্দু সম্প্রদায়ের একজন মানুষকে ধর্মীয় কটূক্তির অভিযোগে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। মধ্যযুগীয় এই ঘটনা এই বার্তা দেয় যে, জঙ্গিরা মবতন্ত্রের মাধ্যমে ব্লাসফেমি ও শরিয়া কার্যকর করে ফেলেছে। এখন তারই... ...বাকিটুকু পড়ুন

তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

লিখেছেন কিরকুট, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪




ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।


দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×