সংসদে পিতা-মাতার ভরণ পোষণ বিল পাশ
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
সন্তান পিতা-মাতার ভরণ পোষণ না দিলে সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকা জরিমানা ও জামিন অযোগ্য বিধান রেখে পিতা-মাতার ভরণ পোষণ বেসরকারি বিল-২০১৩ আজ জাতীয় সংসদে পাস হয়েছে। এর আগে ২০১১ সালে বিলটি পাসের জন্য সংসদে উত্থাপন করেন সাংসদ মুজিবুল হক চুন্নু। পরে স্থায়ী কমিটিতে যাচাই বাছাই পূর্বক মন্ত্রীসভায় অনুমোদনের পর আইনটি পাস হয়। ‘পিতা-মাতার ভরণ-পোষণ বিল-২০১১’ বিলে পিতার ঔরসে এবং মাতার গর্ভে জন্ম নেওয়া সন্তান তার পিতা-মাতাকে ভরণ-পোষণ না করলে তা হবে জামিন অযোগ্য অপরাধ।
তবে আপোস করা যাবে। ভরণ-পোষণ না করলে বাবা-মা আদালতের আশ্রয়ও নিতে পারবেন। এক্ষেত্রে সন্তান ১ লাখ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা বা অর্থ দণ্ডসহ অনাদায়ে অনুর্দ্ধ ৩ মাসের
কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন। বিলে আরও বলা হয়, কোনো সন্তানের
স্ত্রী বা স্বামী পিতা-মাতার ভরণ-পোষণ প্রদান না করতে প্ররোচনা দিলে উক্ত স্ত্রী বা স্বামীও কিংবা অন্য সহায়তাকারী উপরিউক্ত অপরাধে অভিযুক্ত হবেন। বিলের বিধান অনুযায়ী সন্তানের আয়ের যুক্তিসঙ্গত পরিমাণ পিতামাতাকে দিতে হবে। বিলে বলা হয়েছে, ভরণ-পোষণ নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে প্রত্যেক সন্তানকে পিতা-মাতার সঙ্গে একই স্থানে বসবাস নিশ্চিত
করতে হবে। কোনো সন্তান তার
পিতা বা মাতাকে বা উভয়কে তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে বৃদ্ধনিবাস, বা অন্য কোথাও বা আলাদা আলাদভাবে বসবাস করতে বাধ্য
করতে পারবেন না। প্রত্যেক সন্তান তার পিতামাতার স্বাস্থ্য সম্পর্কে নিয়মিত খোঁজ-খবর রাখবেন।
প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা ও
পরিচর্যা করবে। তারা পৃথকভাবে বসবাস করলে সন্তানদের নিয়মিত সাক্ষাৎ করতে হবে। শুধু পিতা বা মাতার ভরণ-পোষণই নয়, পিতা বা মাতার মৃত্যুর পরও যদি দাদা-
দাদী বা নানা-নানী বেঁচে থাকেন তবে তাদেরও ভরণ-পোষণ দেওয়া নাতী-নাতনীর আইনি দায়িত্ব বলেও উল্লেখকরা হয়েছে বিলে। খসড়া আইনে বলা আছে, প্রত্যেক সন্তানকে তার পিতা-মাতার ভরণ-পোষণ নিশ্চিত করতে হবে। কোনো পিতা-মাতার
একাধিক সন্তান থাকলে সেক্ষেত্রে সন্তানরা নিজেদের মধ্যে আলোচনার ভিত্তিতে বাবা-মার
ভরণপোষণ নিশ্চিত করবে।
খসড়া আইনে অপরাধের আমল-যোগ্যতা, বিচার ও জামিন-সংক্রান্ত বিধানে বলা হয়, ‘এ
ধরনের অপরাধ প্রথম শ্রেণীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে বিচারযোগ্য হবে।
তবে কোনো আদালত এ আইনের অধীনে সংঘটিত অপরাধ সংশ্লিষ্ট সন্তানের পিতা বা মাতার লিখিত অভিযোগ ছাড়া আমলে নেবে না।
অভিযোগকারী পিতা বা মাতাকে শুনানির সুযোগ না দিয়ে কোনো আদালত অভিযুক্ত ব্যক্তিকে জামিনে মুক্তি দেবে না। এ আইনটি ঐতিহাসিক আইন এ ব্যাপারে কোনোও সন্দেহ নেই। তবে সন্তান যদি সত্যিকার অর্থে সুসন্তান না হয় তবে কোনো আইন দিয়ে কি কিছু করা সম্বব? আমাদের দেশে অনেক পরিবার আছে যে পরিবারের সন্তানেরা বিশেষ করে ছেলেরা বিয়ের পরে আর পিতা মাতার খোজ খবর রাখেন না, ফলে পিতা মাতাকে অর্ধাহারে অনাহারে দিন কাটাতে হয়। আর তাদের ছেলেরা নিজেদের বউ নিয়ে দিব্যি বিলাসীতা করে বেড়ায়। পিতা মাতা না খেয়ে দুঃখ কষ্টে দিন কাটালেও কোনো পিতা মাতা চাইবে না তার সন্তানের বিরুদ্ধে আইন আদালতে যেতে। তারপরেও এ আইন অসহায় পিতামাতার জন্য মহাজোট সরকারের দেওয়া একটি ঐতিহাসিক রক্ষা কবচ।
সন্তান পিতা-মাতার ভরণ পোষণ না দিলে সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকা জরিমানা ও জামিন অযোগ্য বিধান রেখে পিতা-মাতার ভরণ পোষণ বেসরকারি বিল-২০১৩ আজ জাতীয় সংসদে পাস হয়েছে। এর আগে ২০১১ সালে বিলটি পাসের জন্য সংসদে উত্থাপন করেন সাংসদ মুজিবুল হক চুন্নু। পরে স্থায়ী কমিটিতে যাচাই বাছাই পূর্বক মন্ত্রীসভায় অনুমোদনের পর আইনটি পাস হয়। ‘পিতা-মাতার ভরণ-পোষণ বিল-২০১১’ বিলে পিতার ঔরসে এবং মাতার গর্ভে জন্ম নেওয়া সন্তান তার পিতা-মাতাকে ভরণ-পোষণ না করলে তা হবে জামিন অযোগ্য অপরাধ।
তবে আপোস করা যাবে। ভরণ-পোষণ না করলে বাবা-মা আদালতের আশ্রয়ও নিতে পারবেন। এক্ষেত্রে সন্তান ১ লাখ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা বা অর্থ দণ্ডসহ অনাদায়ে অনুর্দ্ধ ৩ মাসের
কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন। বিলে আরও বলা হয়, কোনো সন্তানের
স্ত্রী বা স্বামী পিতা-মাতার ভরণ-পোষণ প্রদান না করতে প্ররোচনা দিলে উক্ত স্ত্রী বা স্বামীও কিংবা অন্য সহায়তাকারী উপরিউক্ত অপরাধে অভিযুক্ত হবেন। বিলের বিধান অনুযায়ী সন্তানের আয়ের যুক্তিসঙ্গত পরিমাণ পিতামাতাকে দিতে হবে। বিলে বলা হয়েছে, ভরণ-পোষণ নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে প্রত্যেক সন্তানকে পিতা-মাতার সঙ্গে একই স্থানে বসবাস নিশ্চিত
করতে হবে। কোনো সন্তান তার
পিতা বা মাতাকে বা উভয়কে তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে বৃদ্ধনিবাস, বা অন্য কোথাও বা আলাদা আলাদভাবে বসবাস করতে বাধ্য
করতে পারবেন না। প্রত্যেক সন্তান তার পিতামাতার স্বাস্থ্য সম্পর্কে নিয়মিত খোঁজ-খবর রাখবেন।
প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা ও
পরিচর্যা করবে। তারা পৃথকভাবে বসবাস করলে সন্তানদের নিয়মিত সাক্ষাৎ করতে হবে। শুধু পিতা বা মাতার ভরণ-পোষণই নয়, পিতা বা মাতার মৃত্যুর পরও যদি দাদা-
দাদী বা নানা-নানী বেঁচে থাকেন তবে তাদেরও ভরণ-পোষণ দেওয়া নাতী-নাতনীর আইনি দায়িত্ব বলেও উল্লেখকরা হয়েছে বিলে। খসড়া আইনে বলা আছে, প্রত্যেক সন্তানকে তার পিতা-মাতার ভরণ-পোষণ নিশ্চিত করতে হবে। কোনো পিতা-মাতার
একাধিক সন্তান থাকলে সেক্ষেত্রে সন্তানরা নিজেদের মধ্যে আলোচনার ভিত্তিতে বাবা-মার
ভরণপোষণ নিশ্চিত করবে।
খসড়া আইনে অপরাধের আমল-যোগ্যতা, বিচার ও জামিন-সংক্রান্ত বিধানে বলা হয়, ‘এ
ধরনের অপরাধ প্রথম শ্রেণীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে বিচারযোগ্য হবে।
তবে কোনো আদালত এ আইনের অধীনে সংঘটিত অপরাধ সংশ্লিষ্ট সন্তানের পিতা বা মাতার লিখিত অভিযোগ ছাড়া আমলে নেবে না।
অভিযোগকারী পিতা বা মাতাকে শুনানির সুযোগ না দিয়ে কোনো আদালত অভিযুক্ত ব্যক্তিকে জামিনে মুক্তি দেবে না। এ আইনটি ঐতিহাসিক আইন এ ব্যাপারে কোনোও সন্দেহ নেই। তবে সন্তান যদি সত্যিকার অর্থে সুসন্তান না হয় তবে কোনো আইন দিয়ে কি কিছু করা সম্বব? আমাদের দেশে অনেক পরিবার আছে যে পরিবারের সন্তানেরা বিশেষ করে ছেলেরা বিয়ের পরে আর পিতা মাতার খোজ খবর রাখেন না, ফলে পিতা মাতাকে অর্ধাহারে অনাহারে দিন কাটাতে হয়। আর তাদের ছেলেরা নিজেদের বউ নিয়ে দিব্যি বিলাসীতা করে বেড়ায়। পিতা মাতা না খেয়ে দুঃখ কষ্টে দিন কাটালেও কোনো পিতা মাতা চাইবে না তার সন্তানের বিরুদ্ধে আইন আদালতে যেতে। তারপরেও এ আইন অসহায় পিতামাতার জন্য মহাজোট সরকারের দেওয়া একটি ঐতিহাসিক রক্ষা কবচ।
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
জামায়াত শিবির রাজাকারদের ফাসির প্রতিশোধ নিতে সামু ব্লগকে ব্লগার ও পাঠক শূন্য করার ষড়যন্ত্র করতে পারে।
সামু ব্লগের সাথে রাজাকার এর সম্পর্ক বেজি আর সাপের মধ্যে। সামু ব্লগে রাজাকার জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ। তাদের ছাগু নামকরণ করা হয় এই ব্লগ থেকেই। শুধু তাই নয় জারজ বেজন্মা... ...বাকিটুকু পড়ুন
হাওরের রাস্তার সেই আলপনা ক্ষতিকর
বাংলা বর্ষবরণ উদযাপন উপলক্ষে দেশের ইতিহাসে দীর্ঘতম আলপনা আঁকা হয়েছে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম হাওরের ‘অলওয়েদার’ রাস্তায়। মিঠামইন জিরো পয়েন্ট থেকে অষ্টগ্রাম জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই আলপনার রং পানিতে... ...বাকিটুকু পড়ুন
ছবির গল্প, গল্পের ছবি
সজিনা বিক্রি করছে ছোট্ট বিক্রেতা। এতো ছোট বিক্রেতা ও আমাদের ক্যামেরা দেখে যখন আশেপাশের মানুষ জমা হয়েছিল তখন বাচ্চাটি খুবই লজ্জায় পড়ে যায়। পরে আমরা তাকে আর বিরক্ত না করে... ...বাকিটুকু পড়ুন
বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!
কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন
অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?
এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন