comScore এর সার্চ ইঞ্জিন বিষয়ক ২০০৮ সালে প্রকাশিত এক রিপোর্টে গুগল এখন শীর্ষে অবস্থান করছিল, যদিও এর পতন হয়েছে ৬১.৮% থেকে ৬১.৫% এ। ডিসেম্বর ২০০৭ এ প্রথম মার্কেট শেয়ারের পতন ঘটে (যখন এটি ৫৮.৬% থেকে ৫৮.৪% হয়)। এর বিপরীতে মাইক্রোসফট ২০০৮ প্রথম সফলতা পায়, মাসের পর মাস ধরে ক্রমবর্ধমান নিম্ন পতনের পর মাইক্রোসফট মে ২০০৮ এ ৮.৫% থেকে বেড়ে জুন ২০০৮ এ ৯.২% এ উন্নিত হয়। ধারনা করা হয় মাইক্রোসফট তার Live Search Cashback এর কারনে এই সফলতা পেয়েছে।
গুগলের অবনতি বিষয়ে মাইক্রোসফট এবং ইয়াহু খুব একটা বেশি খুশি হওয়ার অবকাশ নেই, আসুন দেখি কে কেমন মার্কেট শেয়ার নিয়ন্ত্রণ করছিল (২০০৮ সালে):
* Google: ৭.১ বিলিয়ন
* Yahoo: ২.৪ বিলিয়ন
* Microsoft: ১.১ বিলিয়ন
* Ask: ৫০১ মিলিয়ন
* AOL: ৪৭১ মিলিয়ন
আমি এসব বলছি শুধু এটা প্রমাণ করার জন্যই যে সার্চ ইঞ্জিনে ওয়েব সাইট সাবমিট করার জন্য টাকা খরচ করা (আমি directory submission এর কথা বলছি না) অপব্যয় ছাড়া কিছুই নয়। ব্যক্তিগত ভাবে আমি Google, Yahoo! এবং MSN ছাড়া অন্য কোন সার্চ ইঞ্জিনকে পরোয়া করি না। তাহলে কিভাবে এই সার্চ ইঞ্জিনগুলোতে সর্বোচ্চ ট্রাফিক এবং দ্রুত ইনডেক্স করা সম্ভব হবে?
বিভিন্ন SEO পদ্ধতি ব্যবহার ছাড়াও আমি সবসময় নিশ্চিত করি যে আমার সাম্প্রতিক Sitemap যেন এসব সার্চ ইঞ্জিনে জমা থাকে। Sitemap বিভিন্ন ধরনের হতে পারে, কিন্তু XML Sitemap সার্চ ইঞ্জিনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং এটি ইন্টারনেটে সহজলভ্য অনলাইন ও অফলাইন টুল দিয়ে তৈরী করা যায়। XML Sitemaps সবচেয়ে ভাল অনলাইনে Sitemap তৈরীর টুল। কিন্তু এই ফ্রি টুলটি ৫০০ লিংকের বেশি তৈরী করতে পারে না। যাই হোক আমি ব্যক্তিগত ভাবে Vigos gSitemap ব্যবহার করি। এটি ফ্রি ডাউনলোড করা যায়, অগণিত লিংক তৈরী করা যায় এবং এমনকি এর সাহায্যে ওয়েব সাইটে আপলোড করা যায়। তবে Wordpress ভক্তদের জন্য সুখবর আছে, Google XML Sitemaps plugins ব্যবহার করলে ব্লগ বা ওয়েব সাইটে নতুন ব্লগ পোষ্ট করার সাথেক সাথে sitemap টিও আপডেট হওয়ার সাথে সাথে সার্চ ইঞ্জিনে জমা হয়ে যাবে। তবে এক্ষেত্রে আপনাকে Wordpress MU ভার্সন ব্যবহার করতে হবে।
কিভাবে সার্চ ইঞ্জিনে সাইটম্যাপ সাবমিট করা যায়?
কেউ কেউ Google Site Submit এবং Live Search URL Submission ব্যবহার করার উপদেশ দেয়। কিন্তু এই টুলগুলো স্প্যামারদের অত্যাচারে প্রায় অকেজো হয়ে পড়েছে বিধায় আমি এ’দুটো কমই ব্যবহার করি। এর পরিবর্তে আমি Sitemap আপলোড করার জন্য Google Webmasters Tools, Yahoo! Site Explorer এবং Live Webmaster ব্যবহার করি।
Sitemap ব্যবহারের সুবিধাগুলো কি কি?
সবচেয়ে বড় সুবিধা হল সার্চ ইঞ্জিনের বটগুলো খুব সহজেই ওয়েবসাইটের নতুন কনটেন্টগুলো খুঁজে পায় এবং তাদের সহজেই কনটেন্টগুলো ইনডেক্স করতে পারে। যদি কোন পেজ হোমপেজ থেকে ৩ লিংক দূরত্বে থাকে তাহলে বট খুব কম সময়ই এ সব পেজ খুজে পায়। সাইটম্যাপ ওয়েবসাইটের সবগুলো পেজের লিংক প্রকাশ করে বলে খুব সহজেই গভীরতম পেজগুলোও ইনডেক্স হয়ে যায়। আমার পরামর্শ হল হোমপেজ থেকে ৩ লিংকের বেশি দুরত্বে পেজ তৈরী না করাই ভাল, এটা SEO এর জন্য ভাল নয়।
সূত্র: বাংলা ভাষায় সর্ব প্রথম সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন ব্লগ
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই মার্চ, ২০০৯ রাত ১২:১৬