গত কিছুদিন থেকে ভাবছি বহুল প্রচলিত "চেতনা" শব্দটি নিয়ে কিছু লেখব। পাঠক মহলে বেশ পরিচিত এ শব্দটির প্রচার ও প্রসারের ব্যাপকতা দিনকে দিন বাড়ছে। বিশেষ করে "একাত্তরের চেতনা'', ''মুক্তিযুদ্ধের চেতনা'' এবং ''স্বাধীনতার চেতনা'' নিয়ে ইদানিং অনেক তর্ক-বিতর্ক ও আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। একাত্তরের চেতনা বিষয়টা কী? এই চেতনা কী নির্দিষ্ট কোন দল বা মতের মানুষের চিন্তা ও ইচ্ছার বহিঃপ্রকাশ? নাকি একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ ও জাতির চিন্তা-চেতনা ও আশা-আকাংখার প্রতীক?
কেউ কেউ মনে করেন যারা মুক্তিযুদ্ধের মালিকানা ও একক কৃতিত্বের দাবি করেন তারা যা বলবেন, যা করবেন তা-ই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। এতে তা চেতনার বিপরীত হলেও কোন সমস্যা নেই! যারা এর বিরোধিতা করবেন এবং তাদের চেতনা নিয়ে প্রশ্ন তুলবেন তারা ''রাজাকার'' অথবা "স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তি"।
চেতনা (conciousness/sensibility) হলো মনের একটি ধর্ম বা বৈশিষ্ট্য যাকে আরো অনেকগুলো মানসিক বৈশিষ্টের সমষ্টি হিসেবে গণ্য করা হয়। যেমন- আত্মমাত্রিকতা, আত্মচেতনা, অনুভূতিশীলতা, পৃথকীকরণ ক্ষমতা এবং নিজের সত্তা ও আশেপাশের পরিবেশের মধ্যকার সম্পর্ক অনুধাবনের ক্ষমতা। এক কথায় বলতে গেলে চেতনা মানে চৈতন্য, সংজ্ঞা, হুস ও অনুভূতি।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের অনকেগুলো গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্যের মধ্যে অন্যতম ছিল বৈষম্যের অবসান করা। চাকরির ক্ষেত্রে বাঙালিদের প্রতি পশ্চিম পাকিস্তানীদের বৈষম্য ছিল চোখে পড়ার মতো। বাঙালিদের সব রকম যোগ্যতা থাকার পরও পদোন্নতি ও মর্যাদার ক্ষেত্রে সীমাহীন বৈষম্য করা হত। অপেক্ষাকৃত কম যোগ্যতা নিয়ে পশ্চিম পাকিস্তানীরা সহজে পদোন্নতি পেত এবং বাঙালিদের তুলনায় অধিক সুযোগ সুবিধা পেত। এটা ছিল বাঙালি জাতির জন্য চরম অপমানের ও কষ্টের।
পাকিস্তানীদের অন্যায় আচরণ, বৈষম্য, নির্যাতন, শোষণ ও বঞ্চনার ফলে বাঙালিরা নিজেদের দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক মনে করতেন। বিশেষ করে পূর্ব পাকিস্তানের হিন্দুরা সবচেয়ে বেশী বৈষম্যের স্বীকার হতেন। এজন্য পূর্ব পাকিস্তানের মানুষ নিজেদের অধিকার ও মর্যাদা আদায়ের জন্য প্রথমত স্বায়ত্তশাসনের দাবী উত্থাপন করেছিল। যা পরবর্তী সময়ে মুক্তিযুদ্ধে রূপ নেয়।
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে ত্রিশ লক্ষ তাজা প্রাণ ঝরে গেল। তাদের রক্তের বন্যায় সাতরিয়ে অর্জিত হলো বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ অর্জন স্বাধীনতা। আমরা কী পেরেছি তাদের স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ে তুলতে? একটি অন্যায় অত্যাচার ও শোষণমুক্ত সোনার বাংলা গড়তে? তারা স্বপ্ন দেখেছিলেন ক্ষুধামুক্ত, বৈষম্যমুক্ত একটি সমাজ, একটি রাষ্ট্রের। এটাই ছিল তাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। আমরা স্বাধীনতার এত বছর পরও কী পেরেছি ত্রিশ লক্ষ শহীদের তালিকা করতে? তাদের নাম ঠিকানা জাতির সামনে তুলে ধরতে? না, পারিনি। তাহলে এটা কী মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থী নয়?
স্বাধীনতার পর মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে দেশটির নাম দেওয়া হয় ''গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ''। অর্থাৎ বাংলাদেশের জনগনের নিজেদের শাসন করার অধিকার সহ একটি সার্বভৌম ভূমি, যেখানে বাঙালিরা নিজেদের বৈশিষ্ট্য ও স্বকীয়তা নিয়ে সব ধরনের বৈষম্য ও সামাজিক ন্যায়বিচার পরিপন্থী কর্মকাণ্ড থেকে মুক্ত থাকবে।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাথে ''চেতনা'' শব্দটির বৈশিষ্ট্যগত কিছু পার্থক্য আছে। কেননা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা কিছু নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য ও চিন্তা-ধারার উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছিল। এজন্য মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বুঝতে হলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের পটভুমি জানাটা জরুরী। আমরা জানি, বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন হয়েছিল নিজের মাতৃভাষায় কথা বলা, নিজেদের অনুভূতি প্রকাশ করা ও লেখার অধিকারের চেতনা নিয়ে। আর সেই চেতনাকে ভিত্তি করে সমগ্র জাতি স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন করে ভাষার অধিকার আদায় করেছিল।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বুঝতে হলে যুদ্ধের পূর্ববর্তী দেওয়া ঘোষণাগুলো এবং ৩রা মার্চ, ১৯৭১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের দেওয়া বিভিন্ন দফাগুলো পর্যালোচনা করতে হবে। তাদের ঘোষিত ৬ দফা, ১১ দফা ও স্বাধীনতার ইশতেহার জানতে হবে। শুনতে হবে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষনটি, বুঝতে হবে এর মর্মবাণী।
ছয় দফায় যে বিষয়ে দাবি জানানো হয়েছিল সেগুলো হলো-
(১) শাসনতান্ত্রিক কাঠামো ও রাষ্ট্রের প্রকৃতি।
(২) কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতা।
(৩) মুদ্রা ও অর্থ বিষয়ক ক্ষমতা।
(৪) রাজস্ব কর ও শুল্ক বিষয়ক ক্ষমতা।
(৫) বৈদেশিক বাণিজ্য বিষয়ক ক্ষমতা।
(৬) আঞ্চলিক সেনাবাহিনী গঠনের ক্ষমতা।
আসুন দেখি ১১ দফা কর্মসূচীতে কী ছিল-
(১) শিক্ষা সমস্যার আশু সমাধান। অর্থাৎ হামুদুর রহমান শিক্ষা কমিশন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল আইন বাতিল করা এবং ছাত্রদের সকল মাসিক ফি কমিয়ে আনা।
(২) প্রাপ্তবয়স্ক ভোটে প্রত্যক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে সংসদীয় গনতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্টা করা। পত্রিকাগুলোর স্বাধীনতা দেওয়া এবং দৈনিক ইত্তেফাকের প্রকাশনার নিষেধাজ্ঞা তুলে ফেলা।
(৩) ছয় দফা দাবির প্রেক্ষিতে পূর্ব পাকিস্তানে পুনঃ স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠা করা।
(৪) পশ্চিম পাকিস্তানের সকল প্রদেশগুলোকে স্বায়ত্তশাসন দিয়ে একটি ফেডারেল সরকার গঠন করা।
(৫) ব্যাংক, বীমা, পাটকল সহ সকল বৃহৎ শিল্প জাতীয়করণ করা।
(৬) কৃষকদের উপর থেকে কর ও খাজনা হ্রাস এবং পাটের সর্বনিম্ন মূল্য ৪০ টাকা ধার্য করা।
(৭) শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরী, চিকিৎসা, শিক্ষা ও বাসস্থানের ব্যবস্থা করা এবং শ্রমিক আন্দোলনের অধিকার দেওয়া।
(৮) পূর্ব পাকিস্তানের বণ্যা নিয়ন্ত্রণ ও জল সম্পদের সার্বিক ব্যবহারের ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
(৯) জরুরী আইন, নিরাপত্তা আইন ও অন্যান্য নির্যাতনমূলক আইন প্রত্যাহার করা।
(১০) সিয়াটো (seato), সেন্ট্রো (centro)-সহ সকল পাক-মার্কিন সামরিক চুক্তি বাতিল এবং জোট বহির্ভূত নিরপেক্ষ পররাষ্ট্রনীতি গ্রহণ করা।
(১১) আগরতলা মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তি সহ দেশের বিভিন্ন কারাগারে আটক ছাত্র, শ্রমিক, কৃষক ও রাজনৈতিক কর্মীদের মুক্তি এবং অন্যান্যদের উপর থেকে গ্রেফতারি পরোয়ানা প্রত্যাহার করা।
এবার দেখি স্বাধীনতার ইশতেহারে কী ছিল-
(১) স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ গঠন করে পৃথিবীর বুকে একটি বলিষ্ঠ বাঙালি জাতি সৃষ্টি ও বাঙালির ভাষা, সাহিত্য, কৃষ্টি ও সংস্কৃতি বিকাশের ব্যবস্থা করা।
(২) স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ গঠন করে অঞ্চলে অঞ্চলে, ব্যক্তিতে ব্যক্তিতে বৈষম্য নিরসন কল্পে সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতি চালুর জন্য কৃষক শ্রমিক রাজনীতি চালু করা।
(৩) স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ গঠন করে ব্যক্তি, বাক ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা সহ নির্ভেজাল গনতন্ত্র কায়েম করা।
এই তিনটি ধারা বিশ্লেষণ করলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়। যেমন-
(১) সবার জন্য শিক্ষা নিশ্চিত করা। যেখানে ধনী গরীবের কোন বৈষম্য থাকবে না।
(২) প্রত্যক্ষ ও নিরপেক্ষ ভোটের মাধ্যমে সংসদীয় গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা।
(৩) সংবাদপত্রের অবাধ স্বাধীনতা।
(৪) কৃষক ও শ্রমিকদের অধিকার আদায় এবং তাদের রাজনীতিতে অংশগ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি করা। শ্রমিকদের উপযুক্ত মজুরী, শিক্ষা, চিকিৎসা ও বাসস্থানের ব্যবস্থা করা এবং তাদের অধিকার আদায়ের আন্দোলন গুলোকে অনুমতি দেওয়া।
(৫) নির্যাতনমূলক যাবতীয় আইন প্রত্যাহার করা সহ দেশের স্বার্থ বিরোধী যে কোন আইন বাতিল করা।
(৬) স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ গঠনের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী নিজেদর ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতির বিকাশ করা।
(৭) মানুষের মধ্যে অর্থনৈতিক ও সামাজিক বৈষম্য দূর করে একটি ন্যায় ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করা।
(৮) আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা।
(৯) মানুষের বাক স্বাধীনতার পূর্ণ অধিকার নিশ্চিত করা।
(১০) অসাম্প্রদায়িক চেতনায় একটি দেশ গড়ে তোলা, যেখানে সবাই সমমর্যাদায় বসবাস করবে।
এক কথায় বলতে গেলে একটি মর্যাদাবান বাঙালি জাতি, বৈষম্যহীন সমাজ ব্যবস্থা ও সকল মানুষের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণে গনতান্ত্রীক রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করাই হচ্ছে ''মুক্তিযুদ্ধের চেতনা''। এই চেতনা কোন নির্দিষ্ট দল বা গোষ্ঠীর ইচ্ছার বহিঃপ্রকাশ নয় বা এর মালিকানার কৃতিত্ব কারো নেই। যারা মুক্তিযুদ্ধের উল্লেখিত চেতনা পুরোপুরি অনুধাবন করে নিজেদের মধ্যে ধারণ করবেন তারাই এই চেতনার বাহক। এই চেতনা দেখা যায় না, ছোয়া যায় না। শুধু অনুভব করা যায় হৃদয়ের গভীর বদ্ধ কুটিরে। একে লালন করতে হয় গভীর ভালবাসা ও মমতা দিয়ে, একান্ত আপন মনে।
মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের মূল্য দেশ গঠনে অবদান রেখে পরিশোধ করাই হলো চেতনা; কয়েক লক্ষ মুক্তিযোদ্ধার আত্মত্যাগের মর্মবাণী অনুধাবন করাই হলো চেতনা; মুক্তিযুদ্ধে নিহত মানুষদের নির্ভুল তালিকা করাই হচ্ছে চেতনা; মুক্তিযুদ্ধে সকল মুক্তিযোদ্ধার অবদান স্বীকার করা হলো চেতনা; বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর অবদান স্বীকার করাই হলো চেতনা; মুক্তিযুদ্ধের আগে ও পরে যারা দেশ গঠনে ও জনমত তৈরীতে অবদান রেখেছেন তাদের কথা স্বরণ রাখাই হলো চেতনা। দেশকে ঐক্যবদ্ধ রাখাই হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। পাশাপাশি, ভূয়া মুক্তিযোদ্ধাদের খুঁজে বের করে তাদের বিচারের আওতায় আানাও চেতনা; যারা ভূয়া মুক্তিযোদ্ধাদের টাকার বিনিময়ে তালিকাভূক্ত করতে সহযোগিতা করেছে তাদের চিহ্নিত করে শাস্তি দেওয়াই হচ্ছে চেতনা। আর চেতনার নামে যারা দেশকে বিভক্ত করছে, নতুন প্রজন্মকে বিভ্রান্ত করছে তাদের পরিত্যাগ করাও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা।
এছাড়া যারা দেশপ্রেমের নামে, চেতনার নামে ক্ষমতায় থেকে দেশ বিক্রি করে, ব্যাংকের টাকা মারে, শেয়ারবাজার হরিলুট করে, বিদেশে রেমিটেন্স পাচার করে, অবৈধভাবে নামে বেনামে কোটি কোটি টাকার সম্পদের পাহাড় গড়ে, ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে বিদেশে সেকেন্ড হোম/বেগম পাড়ার বাসিন্দা হয় এরাই হচ্ছে আসল স্বাধীনতার চেতনা বিরোধী, মুখোশধারী নব্য রাজাকার ও দেশদ্রোহী।
চেতনার বিপরীত শব্দ হলো- অচৈতন্য বা অজ্ঞতা। আরেকটু খোলাসা করে বল্লে মূর্খতা। এজন্য যত্র-তত্র প্রয়োজনে কিংবা অপ্রয়োজনে চেতনা শব্দটির ব্যবহার দেশ ও জাতির জন্য ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনে। বিশেষ করে কোন বিশেষ উদ্দেশ্যে অথবা কোন বিশেষ দল বা শ্রেণীর মানুষকে উপযুক্ত কারণ ছাড়া জাতীয় চেতনা বিরোধী বলে আখ্যায়িত করলে জাতির মধ্যে বিভক্তি ও ঘৃণা আগ্নেয়গিরির লাভার মতো ছড়িয়ে পড়ে। মানুষকে আক্রমন করে, অপমান করে চেতনার বাণী প্রচার করা যায় না। এজন্য আগে যিনি চেতনার কথা বলবেন তাকে জাতীয় চেতনার ধারক ও বাহক হতে হবে। আর তা প্রচার করতে হবে সুন্দর করে নিজের কর্ম ও চিন্তা-চেতনা দিয়ে। কাউকে চেতনার নামে অপমান করাকে বলে মূর্খতা, আর নিজে প্রথমে চেতনা ধারণ করে তা দেশব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়া হলো চৈতন্য।
একটি ঘটনার বিবরণ দিয়ে লেখাটি শেষ করবো, কিছুদিন আগে আমার পরিচিত এক ভদ্রলোক বলেন, উনাদের গ্রামে একজন মহা প্রতাপশালী ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা আছেন। রাজনৈতিক হাত বেশ লম্বা হওয়ায় তিনি মুক্তিযোদ্ধা বাছাই কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন। কয়েকদিন আগে, একটি জেলায় প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা বাছাই করে ফিরে এসে ছেলেকে ৮৩,০০০ টাকা দামের আইফোন কিনে দিয়েছেন!! এজন্য বলি কী সরষের মধ্যে গুপটি মেরে বসে থাকা ভূতটি তাড়াতে হবে সবার আগে। না হলে চেতনা চেতনা বলে গলা ফাটালেও চেতনার দেখা মিলবে না।।
ফটো ক্রেডিট,
গুগল।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই মে, ২০১৮ সকাল ৭:২৯