স্যাটেলাইটের ইতিহাস খুব বেশিদিন আগের নয়। ১৯৫৭ সালের ৪ অক্টোবর তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন স্পুটনিক-১ (Sputnik 1) স্যাটেলাইট প্রথমবারের মতো মহাশূণ্যে পাঠায়। একই বছর ২ নভেম্বর স্পুটনিক-২ নামক আরেকটি কৃত্রিম উপগ্রহ তারা মহাশূণ্যে পাঠায়। এর কয়েকমাস পর ১৯৫৮ সালের ২ ফেব্রুয়ারি এক্সপ্লোরার-১ (Explorer 1) নামে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রথমবারের মত কৃত্রিম উপগ্রহ মহাশূণ্যে পাঠায়। আর তখন থেকে আজ অবধি পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ শত শত স্যাটেলাইট তাদের প্রয়োজন মতো আকাশে উড়িয়ে দিয়েছে।
অনেক দিন থেকে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের আকাশে উড়া নিয়ে কথা শুনা যাচ্ছিল। তবে তা কখন, কোথায় ও কিভাবে আকাশে উড়বে তার সঠিক তথ্য সাধারন মানুষের জানা ছিল না। সরকারের পক্ষ থেকে কখনো এর অগ্রগতি নিয়ে কোন সংবাদ প্রচারিত হয়নি। এজন্য হঠাৎ করে যখন বঙ্গবন্ধু-১ আকাশে উড়ার তারিখ ঘোষণা করা হলো তখন অনেকের মনে এক ধরণের অবিশ্বাস ও এর সফলতা নিয়ে কৌতুহল দেখা দেয়। বিষয়টিতে শেষ পর্যন্ত রাজনৈতিক রঙ লাগে। এই সুযোগে অনেকেই জেনে অথবা না জেনে যার যার মত করে বিষয়টি নিয়ে কথাবলা/তথ্য দেওয়া শুরু করলেন। এর দায় কিছুটা হলেও সরকারের আছে।
স্যাটেলাইট হলো মহাকাশে উৎক্ষেপিত একটি উপগ্রহ। মূলত রকেটের মাধ্যমে এটিকে কক্ষপথে পাঠানো হয়। প্রতিটি স্যাটেলাইটে থাকে সোলার সেল ও উচ্চক্ষমতাসমৃদ্ধ ব্যাটারী। এতে একটি কম্পিউটার বসানো থাকে, যার সাথে নীচের কন্ট্রোল স্টেশনের যোগাযোগ স্থাপন করা হয়। এছাড়া উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন ক্যামেরা ও এন্টেনা যুক্ত থাকে। এ পর্যন্ত দুই হাজারের বেশি স্যাটেলাইট পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ মহাকাশে পাঠিয়েছে। যার অর্ধেকের বেশি মালিকানা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের। বাকিগুলোর উল্লেখযোগ্য অংশ রাশিয়া ও চীনের।
যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা রাজ্যের অকল্যান্ডের কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে অত্যাধুনিক 'ফ্যালকন ৯' (Falcon 9) রকেটের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু-১ উৎক্ষেপন করা হয়। এটি বাংলাদেশের প্রথম বাণিজ্যিক উপগ্রহ। এটির উৎক্ষেপনের দায়িত্বে ছিল বিখ্যাত মহাকাশ অনুসন্ধান ও রকেট নির্মাতা প্রতিষ্ঠান স্পেস-এক্স। উৎক্ষেপনের পর বিশ্বের ৫৭তম স্যাটেলাইটের অধিকারী দেশ হিসাবে বিশ্বের মানচিত্রে বাংলাদেশের নাম লেখা হলো। স্যাটেলাইটটি নির্মাণে ব্যায় হয়েছে ২ হাজার ৯০২ কোটি টাকা। সরকার নিজস্ব তহবিল থেকে দিয়েছে ১ হাজার ৫৪৪ কোটি টাকা। বাকি ১ হাজার ৩৫৮ কোটি টাকা সরকার ঋণ হিসাবে নিয়েছে।
বঙ্গবন্ধু১ ফ্লোরিডা থেকে উৎক্ষেপন করা হলেও এটি নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনা করা হবে বাংলাদেশ থেকে। এজন্য গাজীপুরের জয়দেবপুরে এবং রাঙামাটির বেতবুনিয়ায় 'বিটিসিএল' এর নিজস্ব জমিতে নির্মাণ করা হয়েছে দুটি ‘গ্রাউন্ড স্টেশন’। এটি পরিচালনার জন্য সরকার "বাংলাদেশ কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট কোম্পানী লিমিটেড" (BTCL) নামে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছে। স্যাটেলাইটটি পরিচালনার জন্য বেশ কয়েকজন কর্মী (১৮ জন প্রক প্রকৌশলী) ফ্রান্সে দীর্ঘ দিন এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন এবং প্রশিক্ষণ শেষে এর উপরে ইন্টার্নশিপ করে দেশে ফিরেছেন।
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর কারিগরি নকশা তৈরী, প্রস্তুতকরণ ও কক্ষপথে উৎক্ষেপনের দায়িত্বে ছিল ফ্রান্সের বিখ্যাত "থ্যালেস এলেনিয়া স্পেস কোম্পানি", স্যাটেলাইটটির আয়ুষ্কাল ধরা হয়েছে ১৫ বছর। এ স্যাটেলাইটের মূল কাজ হলো টিভি সম্প্রচার, ভি-সেট ও ডিটিএইচ। এক কথায় বলতে গেলে এটি একটি টেলি-কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট। আর ভূ-পৃষ্ট থেকে এই কমিউনিকেশন স্থাপিত হয় স্যাটেলাইটের ট্রান্সপন্ডারের মাধ্যমে।
ট্রান্সপন্ডার (Transponder), যন্ত্রটিকে ট্রান্সমমিটার রেস্পন্ডারও বলা হয়ে থাকে। এটি এমন একটি যন্ত্র যা কোন একটি উৎস থেকে সংকেত গ্রহণ করে এবং প্রাপ্ত বার্তাটিকে অলিম্পিফাই করে তা আবার এমনভাবে ভূ-পৃষ্টের অন্য কোন উপগ্রহে ফেরৎ পাঠায় যাতে বহুসংখ্যক গ্রাহক ঐ সিগন্যাল/সংকেত একসাথে গ্রহণ করতে পারে। এটা অনেকটা টিভি বা রেডিও রিলে স্টেশনের মত। স্যাটেলাইট কমিউনিকেশনে একটি ট্রান্সপন্ডার ভূ থেকে আপলিঙ্কে তরঙ্গ গ্রহণ করে পৃথিবীর দিকে ডাউন লিঙ্কে তা অন্য উপগ্রহে সংকেত পাঠায়।
ভি-সেট নেটওয়ার্ক (v set network) - ভয়েস ডেটা ও ইন্টারনেট সার্ভিসযুক্ত প্রাইভেট নেটওয়ার্ক।
ডিটিএইচ (Direct to Home) - ডিজিটাল টেলিভিশন ও রেডিও ফ্রিকুয়েন্সি।
বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটে ২৬টি কে-ইউ ব্যান্ড এবং ১৪টি সি ব্যান্ড ট্রান্সপন্ডার আছে। মহাকাশে এটি ১১৯ দশমিক ১ দ্রাঘিমার কক্ষপথে ঘুরবে। কে-ইউ ব্যান্ডের আওতায় রয়েছে বাংলাদেশ ছাড়াও দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোও বঙ্গপসাগর। বঙ্গবন্ধু-১ এ শুধুমাত্র ট্রান্সপন্ডার বসানো আছে। এজন্য অন্যান্য কাজের জন্য স্পেসিফাইজ স্যাটেলাইটের কাজ বিএস ১ দিয়ে সম্ভব নয়। হয়তো অদূর ভবিষ্যতে সরকার আরো স্যাটেলাইট মহাশূণ্যে প্রেরণ করবে।
ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশনস ইউনিয়ন বা আইটিইউতে বাংলাদেশের নিজস্ব অরবিটাল পজিশন ৬৯ ডিগ্রি ও ১০২ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশে পাওয়ার জন্য ২০০৭ সালে আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, পাকিস্তান, ইসরায়েল, জাপান, সাইপ্রাস, আর্মেনিয়া ও উজবেকিস্তান তাতে আপত্তি জানায়। প্রক্রিয়াগত কারণে এ ধরনের আপত্তি অস্বাভাবিকও নয়। দেনদরবার এখনো চলছে।
বর্তমানে দেশের স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল, ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান ও ভি-সেট সংস্থা তাদের সার্ভিসের জন্য বিভিন্ন বিদেশী স্যাটেলাইট ভাড়া করে কাজ চালাচ্ছে। এজন্য বছরে তাদেরকে প্রায় ১৪ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করতে হয়। এখন তারা চাইলে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট দিয়ে সহজে তা করতে পারবে। তবে বিদেশি কোম্পানিগুলোর সাথে তাদের চুক্তি শেষ না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
প্রতিটি স্যাটেলাইট নির্দিষ্ট কাজের জন্য তৈরী করা হয়। এজন্য বিশ্বের প্রভাবশালী দেশগুলোর অসংখ্য স্যাটেলাইট মহাশূণ্যে পাঠায়। বিশেষ করে (১) যোগাযোগ স্যাটেলাইট (Communication satellite) (২) আবহাওয়া স্যাটেলাইট (weather satellite) (৩) দিক নির্দেশক স্যাটেলাইট (navigational satellite) (৪) পৃথিবী পর্যবেক্ষণ স্যাটেলাইট (earth observation satellite) (৫) সামরিক স্যাটেলাইট (military satellite) (৬) মহাকাশীয় স্যাটেলাইট (astronomical satellite) (৭) পুনরুদ্ধার স্যাটেলাইট (recovery satellite) উল্লেখযোগ্য।
ফ্রান্সের থ্যালেস এলেনিয়া স্পেসের তৈরি স্যাটেলাইটটির ওজন জ্বালানিসহ ৩ হাজার ৭০০ কেজি। স্যাটেলাইটটির জন্য নির্ধারিত কক্ষপথ সমুদ্রপৃষ্ঠ হতে ৩৬ হাজার বর্গ কিলোমিটার ওপরে। এয়ার ট্রাফিকের কারণে কক্ষপথের ওই নির্দিষ্ট স্থানে পৌঁছিতে আট থেকে ১২ দিন সময় লাগবে। এরপর স্যাটেলাইটটি বাংলাদেশ থেকে নিয়ন্ত্রণের জন্য নির্মিত দুটি গ্রাউন্ড স্টেশনের সঙ্গে পুরোপুরি যোগাযাগ করতে সক্ষম হবে। তবে বাণিজ্যিক কার্যক্রমে যেতে আরো তিন মাস সময় লাগতে পারে।
-- টিভি চ্যানেলগুলো তাদের সম্প্রচার কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য স্যাটেলাইট ভাড়া করে। এক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধু ১ স্যাটেলাইট চ্যানেলের সক্ষমতা বিক্রি করে বৈদেশিক মুদ্রা আয় হবে। আবার দেশের ভিটি চ্যানেলগুলো যদি এই স্যাটেলাইটের সক্ষমতা কেনে তবে দেশের টাকা দেশেই থাকবে। এর মাধ্যমে ডিটিএইচ বা ডিরেক্ট টু হোম ডিশ সার্ভিস চালু সম্ভব।
-- বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটের ৪০টি ট্রান্সপন্ডারের মোট ফ্রিকোয়েন্সি ক্ষমতা হলো ১ হাজার ৬০০ মেগাহার্টজ। এর ব্যান্ডউইডথ ও ফ্রিকোয়েন্সি ব্যবহার করে ইন্টারনেটবঞ্চিত অঞ্চল যেমন পার্বত্য ও হাওড় এলাকায় ইন্টারনেট সুবিধা দেয়া সম্ভব। প্রত্যন্ত অঞ্চলে ইন্টারনেট ও ব্যাংকিং সেবা, টেলিমেডিসিন ও দূরনিয়ন্ত্রিত শিক্ষাব্যবস্থা প্রসারেও ব্যবহার করা যাবে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট।
-- বড় প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় মোবাইল নেটওয়ার্ক অচল হয়ে পড়ে। তখন এর মাধ্যমে দুর্গত এলাকায় যোগাযোগব্যবস্থা চালু রাখা সম্ভব হবে।
https://in-the-sky.org/satmap_planetarium.php?utc=1526512627&gotosat=43463
[বাংলাদেশ থেকে মহাশূণ্যে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট লাইভ ট্রেকিং লিঙ্ক]
১৯৬৯ সালের ১৬ই জুলাইয়ের কথা এখনো মনে আছে। সেদিন এ্যাপোলো ১১ রকেটে চড়ে মার্কিন মহাকাশবিদ নীল আর্মস্ট্রং, মাইকেল কলিন্স ও এডউইন অলড্রিন চাঁদের দেশে পাড়ি দিতে পৃথিবী থেকে অভিযান শুরু করেন। ঠিক চার দিনের মাথায় পৃথিবীর প্রথম মানুষ হিসাবে নীল আর্মস্ট্রং চাঁদের মাটিতে পা দেন। ছোটবেলা এ কাহিনীটা প্রাইমারিতে একটি বইয়ে পড়েছিলাম। তখন রকেট কী? জানতাম না, স্যাটেলাইট কী? বুঝতাম না। কিন্তু এতো বছর পরও এখনো এ্যাপোলো ১১ ও নীল আর্মস্ট্রংদের কথা মুখস্থ আছে।
২০১৮ সালের ১২ মে বাংলাদেশ সময় ভোর ২:১৪ তে ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে ফ্যালকন ৯ রকেটে চড়ে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট বাংলাদেশের পতাকা বুকে বহণ করে মহাকাশে পাড়ি দেয়; ফলশ্রুতিতে মহাশুণ্যে জন্ম নেয় একবিন্দু বাংলাদেশের। হ্যা, মহাশূণ্যে একটুকরো লাল সবুজের বাংলাদেশ। এই নামগুলো বর্তমান প্রজন্মের তরুণদের মনে গেঁথে থাকবে বাকী জীবন। এগুলো তাদেরকে কৌতুহলী করবে, স্যাটেলাইট নিয়ে, রকেট নিয়ে, বিভিন্ন গ্রহ-উপগ্রহ নিয়ে, মহাশূণ্য নিয়ে ভাবতে অনুপ্রাণিত করবে। যার ফলশ্রুতিতে আগামী বিশ-পঁচিশ বছর পর আমরাও পেতে পারি একজন নীল আর্মস্ট্রং, একজন বিশ্বখ্যাত এস্ট্রনমার, একজন ফ্যালকন ৯ ইঞ্জিনিয়ার। কারণ, ভাবনা থেকেই বড় কিছুর শুরু হয়।
ছোটবেলা আমার কিশোর মনে চাঁদে অভিযানের যে চিত্রটি এখনো গেঁথে আছে তার সাথে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটের মহাশূণ্যে যাত্রার বেশ কিছু গুণগত পার্থক্য আছে। কারণ এ স্যাটেলাইটের মালিক আমরা, আমেরিকা নয়। কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটের মহাশূণ্যে যাত্রার ক্ষণটি টিভিতে, ইন্টারনেটে অনেকে তা লাইভ দেখেছেন; কিন্তু চাঁদে প্রথম মানুষের অভিযানের খবর পড়েছি অনেক বছর পর। অনেকটা রূপকথার মতো। নতুন প্রজন্ম আমাদের বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ইন্টারনেট ঘেটে, পত্রিকা পড়ে এবং টিভিতে দেখে এর সম্বন্ধে আরো বিস্তারিত জানার সুবিধা হয়েছে। যেটা আমার কিশোর বেলায় কল্পনাতীত ছিল।
কলম্বাস বিশাল আটলান্টিক পাড়ি দিয়ে আমেরিকা আবিষ্কার করেন নাই, কোন লাভের উদ্দেশ্যে; রাশিয়া স্পুটনিক-১ মহাশূণ্যে প্রেরণ করে নাই, কোন লাভের উদ্দেশ্যে ; আমেরিকা এ্যাপোলো-১১ রকেট মহাশূণ্যে পাঠায় নাই, কোন লাভের উদ্দেশ্যে; নীল আর্মস্ট্রং চাঁদে অভিযানে যান নাই, কোন লাভের উদ্দেশ্যে। এগুলোর মূলে ছিল আবিষ্কারের নেশা ও অজানাকে জানার সীমাহীন আকাঙ্খা। আরেকটি উদাহরন দেই, একটি ছেলে/মেয়ে ম্যাট্রিক পাশ করতে পারবে না এই চিন্তা করে বাবা-মায়েরা কিন্তু তাকে স্কুলে পাঠায় না, যদিও অনেকে ম্যাট্রিক পরীক্ষায় ফেল করে। সরকার প্রতি বছর শিক্ষাখাতে হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যায় করে, শুধু কী বছর শেষে লাভের আশায়?
এগুলো হলো দীর্ঘ মেয়াদী বিনিয়োগ, যার ফল খেতে ধৈর্য ধরতে হয়। এজন্য দরকার ভাল জাতের ফলের চারা রোপন করে গাছটিকে তিলে তিলে বড় করা। পাশাপাশি লাগে পরিশ্রম ও সঠিক দিক নির্দেশনা। যে জাতি গাছই রোপন করতে পারে না, তাদের ফল খাওয়ারও কোন সুযোগ নেই।।
ফটো ক্রেডিট,
গুগল।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৪