লন্ডনগামী বিমানে উঠার আগ পর্যন্ত কোনদিন এরোপ্লেনে চড়া হয়নি। এজন্য প্রথম যাত্রায় প্রচন্ড উত্তেজনা অনুভব করছিলাম। ঢাকা থেকে বাংলাদশ বিমান যাত্রা শুরু করে দুবাই হয়ে লন্ডন যাবে ফ্লাইটটি। প্রত্যাশা ছিল জানালার পাশের আসনটি পাব। কিন্তু দুবাইগামী এক ভদ্রলোকের সিটটি হওয়ায় মনটটা একটু খারাপ হলো। তারপরও দূর থেকে যতটুকু সম্ভব বাইরের জগৎটা দেখতে লাগলাম। নামে উইন্ডো হলেও আসলে এগুলো কাঁচের ছোট ভেন্টিলেটারের মতো, এজন্য তফাতে বসে তেমন কিছু দেখার সুযোগ ছিল না। প্রায় সাড়ে তিন ঘন্টায় দুবাই পৌছিলাম।
দুবাইয়ে যাত্রা বিরতি শেষে বিমানটি যখন আকাশে উড়াল দিল তখন লক্ষ্য করলাম পাশের আসনটি ফাঁকা। দুবাইয়ে ভদ্রলোক নামার পর নতুন করে কেউ উঠেনি। অনেকটা তড়িঘড়ি করে উইন্ডোর পাশে গিয়ে বসলাম। ঈগল পাখির মত বিমানের বিশাল ডানা দু'টি বিরামহীনভাবে আমাদের নিয়ে উড়ছে। নীচে সারি সারি তুলার মত সাদা সাদা মেঘের পাহাড়। দেখে মনে হলো মাটি ও আকাশের মাঝামাঝি আরেকটি পৃথিবী। যেখানে কোন জনমানব নেই, পশু পাখি নেই। নেই কোন কোলাহল। নেই হত্যা, নেই রাহাজানি, নেই লোভ। এ যেন মেঘ পরীর রাজ্য। পৃথিবীটা তো আরো বৈচিত্রময়। এখানে ফুল ফুটে, নাম না জানা হাজারো পাখি সূর দেয়, আছে মানুষের সুখ-দুঃখ, আবেগ-অনুভূতি। তারপরও পৃথিবীটাকে নিষ্ঠুরর মনে হয়। হ্যা, আমরা মানব জাতিই সুন্দর এ পৃথিবীটাকে ধাপে ধাপে কলঙ্কিত করেছি। মানুষ হয়ে মানুষকে হত্যা করেছি। অন্যের সম্পদ লুট করেছি। প্রকৃতির সৌন্দর্য বিনষ্ট করেছি। যুদ্ধ ও জঙ্গিপনায় লাখ লাখ মানুষ হত্যা করেছি, যা এখনো চলছে। ধনী ও দরিদ্রের মাঝে প্রতিনিয়ত ব্যবধান বাড়িয়ে চলেছি।
বিমানটি যখন ইরাক ও তুরস্কের পাহাড়ি অঞ্চল দিয়ে উড়ে যাচ্ছিল মনে হলো জনমানবশূন্য একটা পৃথিবী। দিনটি রোদ্রোজ্বল হওয়ায় এত উপর থেকেও নীচের পৃথিবীটা স্পস্ট দেখা যাচ্ছিল। এটি মূলত কুর্দি অধ্যুসিত এলাকা। যাকে এক সময় কুর্দিস্তান বলা হতো (কুর্দিরা এখনো কুর্দিস্তান বলে)। পাকিস্থান-আফগানিস্তান হয়ে ইরান-ইরাক-তুরস্ক পর্যন্ত পাহাড়ি এ অঞ্চলটি বিস্তৃত। শত শত বছর থেকে অনেক উপজাতি সম্প্রদায় এ অঞ্চলে বসবাস করে । মনে মনে ভাবি পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের এরকম অসম্ভব সুন্দর পাহাড়ঘেরা প্রকৃতির মাঝে ভয়ংকর তালেবান জঙ্গি কিভাবে জন্ম নিল? সুন্দর প্রকৃতির মাঝে বেঁড়ে উঠা মানুষ তো হিংস্র হওয়ার কথা নয়!! তাহলে এই পাহাড়টাকে নরক বানাতে, সহজ সরল ও সুন্দর এ মানুষগুলোকে ধর্মের লেবাসদারী কিছু মানুষ এবং কোট টাই পরা ক্যাপিটালিজমের বার্তা বাহকরাই কী নিজেদের স্বার্থে জঙ্গি বানিয়েছে? জানিনা, হিসাব মেলাতে পারি না।
লোহিত সাগর পার হয়ে বিমানটি যখন পূর্ব ইউরোপের দেশ রুমানিয়ায় ঢুকলো তখন সবকিছু যেন অন্য রকম মনে হতে লাগলো। সবকিছু কেমন যেন সুন্দর করে গোছানো, ছিমছাম। বড় বড় রাস্তায় ছোটবড় হরেক রকম গাড়ি ছুটাছুটি করছে। বেশি করে চোখে পড়লো বিশাল সাইজের লম্বা মালবাহী লরিগুলোকে। যেখানে গাছপালা ও উদ্যান আছে সেখানে শুধুই সুন্দর সুন্দর গাছের সারি। যদিও এগুলো কৃত্রিমভাবে তৈরী তারপরও অনেক সুন্দর লাগছিল। বিশাল সুন্দর পার্ক ও চাষের জমিও চোখে পড়লো। তবে এসব জমিগুলো আমাদের মতো ছোট ছোট টুকরো টুকরো করা নয়। একেকটি এলাকাকে একটি মাত্র জমি মনে হলো। যেখানে গমের চাষ, শুধুই গম। ফুল-ফলের চাষ হলেও তাই। অবাক লাগলো মানুষের বসতি দেখে। আমাদের মত বিচ্ছিন্নভাবে ছড়ানো ছিটানো জনবসতি নেই। মানুষের বসতিগুলো একসাথে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনায় বানানো। শহরগুলোকেও মনে হলো পরিকল্পিত ও পরিপাটি। যদিও নীচে কি অবস্থা এত দূর থেকে পুরোপুরি বলা মুশকিল, তারপরও সুবিন্যস্ত, শৈল্পিক মনে হলো।
হাঙ্গেরি, অস্ট্রিয়া, জার্মানী ও ফ্রান্সের আকাশসীমায়ও একই অবস্থা চোখে পড়ল। তবে পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলোর রাস্তা-ঘাট অনেক বেশি ব্যস্ত লাগলো, পূর্বের তুলনায়। শহরগুলোও তুলনায় কিছুটা বড়। তবে বাড়ি-ঘরগুলো দেখতে পূর্ব ইউরোপের মতো। সুন্দর সুন্দর পার্ক, বিশাল স্টেডিয়াম, ব্যস্ত এয়ারপোর্ট সবই চোখে পড়লো। বিমানটি যত পশ্চিম দিকে ধাবিত হয়েছে, দেশগুলোকে ততো পরিপাটি ও সাজানো গোছানো লেগেছে।
ফ্রান্স পেরিয়ে বিমানটি যখন ইংলিশ চ্যানেল পার হচ্ছিল, চোখে পড়লো শত শত ছোট বড় জাহাজ। উপর থেকে সমুদ্রের নীল জলরাশির মধ্যে জাহাজগুলোকে এতো সুন্দর লাগছিলো যে, সত্যি ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। ধীরে ধীরে বিমানটি ইংল্যান্ডের আকাশসীমায় প্রবেশ করলো। মাইকে এনাউন্স করা হলো- আমরা এখন ইংল্যান্ডের আকাশসীমায় প্রবেশ করেছি, অল্প কিছুক্ষণ পর আমরা লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্ধরে ল্যান্ড করবো।
লন্ডনের আকাশে প্রবেশের পর বিমানটি অনেকটা নীচ দিয়ে চক্কর দিতে লাগলো ফলে বাড়ি-ঘর, অফিস-আদালত সবই স্পস্ট দেখা যাচ্ছিল। লন্ডনের মাঝ দিয়ে এঁকে বেঁকে বয়ে যাওয়া টেমস নদীকে খুব সুন্দর লাগছিল। নদীতে সুন্দর সুন্দর স্টিমার ও টুরিস্ট বোট চলছিল। উপর থেকে নদীর পানিও স্বচ্ছ দেখাচ্ছিল। অবাকের বিষয় নদীটির দুই তীর খুব সুন্দর করে বাঁধানো। দুই পারে বিশাল বিশাল রাস্তা। ল্যান্ডিংয়ের সিরিয়াল পেতে দেরী হওয়ায় প্রায় ত্রিশ মিনিট বিমানটি লন্ডনের আকাশে চক্কর দিলো। তবে আমার মোটেও বিরক্ত লাগছিল না। নিজেকে প্রশ্ন করলাম এত বিশাল রাস্তাঘাট, সুন্দর গোছানো পরিবেশ, সুশৃংখল গাড়ি চলাচল, পার্কিং, দালানকোঠা, ব্যস্ততম অথচ পরিচ্ছন্ন বিশাল শহর, সাজানো গোছানো বিশাল বড় বড় পার্ক ব্রিটিশরা কিভাবে তৈরী করলো?
হিথ্রো বিমান বন্দর যেমন বিশাল, তেমনি ব্যস্ত। নেই কোন বাড়তি জৌলুস। সবকিছু সাজানো গোছানো, সুশৃংখল। হিত্রো হলো পৃথিবীর সবচেয়ে ব্যস্ততম এয়ারপোর্ট। এখানে প্রতি আড়াই মিনিটে একটি বিমান উঠানামা করে। লন্ডনের কাছাকাছি স্টানস্টেড, গেটউইকও সমান ব্যস্ত। তবে লুটন, সাউথ এ্যন্ড ও লন্ডনের অভ্যন্তরে সিটি এয়ারপোর্টের ব্যস্ততাও কম নয়। সিটি এয়ারপোর্টে প্রতি পাঁচ মিনিটে একটি করে বিমান উঠানামা করে। তবে এ বিমানগুলো আকারে ছোট। শুধুমাত্র ইউরোপের মধ্যেই যাতায়াত করে। আছে প্রাইভেট বিমানও। পৃথিবীর প্রায় সব বিমান সংস্থার এয়ারক্রাফটগুলো লন্ডনের কোন না কোন এয়ারপোর্টে প্রতিদিন ল্যান্ড করে। আমি ভেবে পাইনা কিভাবে এরা সুশৃংখল ভাবে এতো বিশাল দায়িত্ব পালন করে। শুধু ল্যান্ডিং মানি হিসাবে প্রতি বছর হাজার হাজার কোটি টাকা ব্রিটিশ সরকার পায়।
এছাড়া উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার সাথে এশিয়া ও ইউরোপের দেশগুলোতে আসা যাওয়া করতে অনেক বিমান হিত্রোতে যাত্রা বিরতি করে। বিমান থেকে নেমে মাত্র কয়েক মিনিটের ব্যবধানে ইমিগ্রেশন পার হয়ে বের হলাম। অবাকের বিষয় ঢাকাতে ইমিগ্রেশন করতে প্রায় দুই ঘন্টা লেগেছিল। হিত্রোতে ঘন্টায় কয়েক হাজার যাত্রীর ইমিগ্রেশন হলেও কিভাবে এরা এত দ্রুত সার্ভিস দেয় আমার কল্পনায় আসলো না। লাগেজ পেতেও অপেক্ষা করতে হয়নি। এয়ারপোর্টের ঠিক নীচেই আন্ডারগ্রাউন্ড স্টেশন। লন্ডনের পাতাল রেল এয়ারপোর্ট সহ লন্ডনের প্রতিটি এলাকায় জালের মতো ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। তবে চাইলে ট্যাক্সি/ক্যাবেরও ব্যবস্থা আছে।
আমাদের সমাজে একটি কথা প্রচলিত আছে কোন ছেলের জুতা পলিশ করা থাকলে, পরিপাটি হলে বোঝা যায় ছেলেটি গোছানো। এটি কতটুকু সত্য বা মিথ্যা জানি না। তবে মানুষের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, পোষাক-আশাক, আচার-ব্যবহারে অনেকটা অনুমান করা যায় লোকটি কেমন হতে পারে। পুরো ইউরোপটা সুন্দর ও গোছানো দেখে আমিও এমন অনুমান করেছি। অবশ্য পরবর্তী সময়ে অনুমানের সত্যতাও পেয়েছি।
ইউরোপিয়ানরা শত শত বছর পরিশ্রম করে আজকের এ অবস্থানে এসেছে। অনেক ত্যাগ, পরিশ্রম ও বিপ্লবের ফসল এখনকার উন্নত ও সমৃদ্ধ ইউরোপ। যদিও ইউরোপের অনেক দেশ যুগে যুগে উপনিবেশ স্থাপন করে অত্যাচার, জুলুম ও লুটপাট করেছিল পৃথিবীর অনেক দেশে। তারপরও অস্বীকারের কোন সুযোগ নেই ঔপনিবেশিক শাসনের সময়ে দেশগুলোর উন্নয়নেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে তারা। বিশ্বব্যাপী শিক্ষা, স্বাস্থ্য, গবেষণায়ও ইউরোপিয়দের অবদান অস্বীকারের কোন সুযোগ নেই। অবকাঠামো উন্নয়ন, যোগাযোগ ব্যবস্থা, ব্যবসা-বাণিজ্যের বিশ্বায়নেও তাদের অবদান ব্যাপক। আজকের যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড তার বড় উদাহরণ। এছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকা, ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা ইত্যাদি দেশগুলোর উন্নয়নেও ইউরোপিয়ানরা অবদান রেখেছে। ইউরোপিয়ানরা ছিল মূলত ব্যবসায়ী। এজন্য প্রয়োজনে অন্য দেশগুলো শাসন করলেও নিজেদের দেশ ও জাতির উন্নয়নই ছিল তাদের আসল উদ্দেশ্য।
আমার এক বন্ধু যার বাড়ি বাংলাদেশের রাজশাহী অঞ্চলে। তার বউ বুলগেরিয়ান। লন্ডনে একসাথে কাজ করতে গিয়ে তাদের পরিচয়, ভাব বিনিময়। চূড়ান্ত পরিণতিতে বিয়ে। সে বউ নিয়ে বুলগেরিয়া থেকে ঘুরে আসলে জিজ্ঞেস করেছিলাম দেশটি দেখতে কেমন? উত্তরে বল্ল যেমন সুন্দর, তেমন নিরিবিলি ও পরিপাটি। সবচেয়ে ভাল লেগেছে দেশটি খুব নিট এন্ড ক্লিন অর্থাৎ খুব পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন। তাঁর কথা শুনে কিছুটা অবাক হলাম। কারণ পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলো থেকে পূর্ব ইউরোপের দেশগুলো অর্থনৈতিকভাবে এখনও অনেকটা পিছিয়ে। পূর্ব ইউরোপের অনেক দেশ ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের অন্তরভূক্ত হওয়ায় বিনা ভিসায় পশ্চিম ইউরোপের ধনী দেশগুলোতে অনায়াসে যেতে পারে। বুলগেরিয়া ই ইউ (EU) সদস্যভূক্ত দেশ হওয়ায় এ সুযোগে উপকৃত হয়েছে।
ইউরোপের শাসকরা আমাদের উপমহাদেশের শাসকদের মতো নিজেদের দেশের মালিক মনে করে না। তারা একজন দক্ষ ম্যানেজার হিসাবে নিজেদের পরিচালিত করে। তাদের চোখে দেশটা হলো একটি প্রতিষ্ঠান যার মালিক জনগন। এজন্য তারা দক্ষ হাতে দেশটা পরিচালনা করে যাতে জনগনের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জিত হয়। না পারলে বা ব্যর্থ হলে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সরে যায় বা যেতে হয়। কোন ব্যবসা/সেবা খাত যখন একক মালিকানায় চলে, যার মালিক ও পরিচালক একজন থাকেন সেটি কোন অবস্থাতে বৃহৎ লাভজনক কোম্পানি হতে পারেনা। কারণ এখানে নেই কোন জবাবদীহি ও দায়বদ্ধতা, মালিকের ইচ্ছাটাই আসল। মিথ্যা আবেগ, গলাবাজি আর দখলদারিত্বের মনোভাব দিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করা যায় না। রাষ্ট্র যন্ত্র চালাতে লাগে প্রতিভা, দক্ষতা এবং সুষ্ঠু পরিকল্পনা।
চার্লি চ্যাপলিনের মুভিগুলো প্রায় একশত বছর আগে রেকর্ড করা হলেও দেখা যায় লন্ডনের মাটির তৈরী সুবিশাল রাস্তা, প্রশস্ত ফুটপাত। এখনো লন্ডনের রাস্তার পাশের ফুটপাত বিশাল বড় বড়। কোন কোন জায়গায় রাস্তার চেয়ে ফুটপাত বড়। তারা আমাদের মতো নিজেদের পকেট ভারী করার জন্য পাঁচ বছর মেয়াদী কোন পরিকল্পনা করে না। এদের পরিকল্পনা থাকে কমপক্ষে শত বছরের। তারা যেমন মেধাবী তেমন দূরদর্শী। এসব দেশগুলোতে সবচেয়ে মেধাবীরা রাজনীতি করে। আর আমাদের দেশের সবচেয়ে মেধাবীরা সরাসরি রাজনীতি করা দূরে থাক, মান সম্মানের ভয়ে রাজনীতি নিয়ে কথা পর্যন্ত বলে না। সাহস করে পার্লামেন্ট ইলেকশনে নমিনিশন দিলেও বেশিরভাগ সময় এদের নমিনিশন বাজেয়াপ্ত হয়। যেমন দেশ, তেমন ভোটার!!
দক্ষ ব্যবস্থাপকের ছোয়ায় একটি ব্যবসা/সেবা খাত কত পরিবর্তন হয় তার বাস্তব উদাহরণ হলো বিটিভি ও দেশের শীর্ষ স্থানীয় প্রাইভেট টেলিভিশন চ্যানেলগুলো। দেশের সরকারী ব্যাংক ও প্রাইভেট ব্যাংকের ক্ষেত্রেও একই উদাহরণ দেওয়া যায়। দেশের সরকারি বিমান সংস্থা ও রেলের ক্ষেত্রেও একই পরিবর্তন দেখা যেত দক্ষ ব্যবস্থাপকের হাতে পড়লে। দেশের প্রচলিত গণতান্ত্রীক প্রক্রিয়ায় আমাদের মূদ্রার এপিট, ওপিট দেখা হয়ে গেছে। তাই আমরা টসের গণতন্ত্র চাই না। খারাপের মধ্যে অপেক্ষাকৃত কম খারাপ শাসকের আমাদের প্রয়োজন নেই। প্রয়োজন একজন দক্ষ ম্যানেজারের।।
ফটো ক্রেডিট,
গুগল।
উৎসর্গ: লেখাটি আমার অত্যন্ত প্রিয়ভাজন ব্যক্তিত্ব শ্রদ্ধেয় সনেট কবিকে উৎসর্গ করলাম।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে মে, ২০১৮ রাত ৩:০৩