somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

কাওসার চৌধুরী
জন্মসূত্রে মানব গোত্রভূক্ত; এজন্য প্রতিনিয়ত 'মানুষ' হওয়ার প্রচেষ্টা। 'কাকতাড়ুয়ার ভাস্কর্য', 'বায়স্কোপ', 'পুতুলনাচ' এবং অনুবাদ গল্পের 'নেকলেস' বইয়ের কারিগর।

লাস ভেগাসকে পেছনে ফেলে ঢাকা মহানগরী এখন ক্যাসিনো ক্যাপিট্যাল। চাঁদাবাজি, মাদক আর গডফাদারদের তীর্থভূমি।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:০২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


'ক্যাসিনো' এবং 'কুজিন' শব্দ দু'টি নিয়ে অনেকেই দ্বন্ধে পড়েন। কেউ কেউ ক্যাসিনোকে কুজিন ভেবে ভেতরে ঢুঁকে দৌড়ে পালান; আবার কেউ কেউ কুজিনকে ক্যাসিনো ভেবে সমস্যায় পড়েন। এই তো কিছুদিন আগে আমাদের জাতীয় ক্রিকেট দলের ম্যানেজার দল নিয়ে বিদেশে গুরুত্বপূর্ণ ট্যুরে গিয়ে ক্যাসিনোকে কুজিন ভেবে ভেতরে প্রবেশ করে খবরের শিরোনাম হলেন। পরে অবশ্য তিনি খেলতে নয়, খেতে গিয়েছিলেন বলে গণমাধ্যমের কাছে স্বীকার করেছেন! যদিও ভিডিও ফুটেজ দেখে তার ডিনার করার কোন দৃশ্য চোখে পড়েনি। তিনি স্ব-জ্ঞানে ক্রেডিট কার্ড ভাঙ্গিয়ে জুয়া খেলছেন এমন দৃশ্যই আমাদের চোখে পড়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের লাস ভেগাসকে ক্যাসিনো ক্যাপিটাল বলা হয়। এছাড়া লন্ডন, বেইজিং, সিঙ্গাপুর, নিউইয়র্ক, হংকং, ম্যানিলা কোথায় নেই ক্যাসিনো? কুজিন হলো রেস্টুরেন্ট এবং ক্যাসিনো হলো ফাইভ স্টার ফেসিলিটির জুয়ার আসর। স্যুটেড-বুটেড পৃথিবীর ধনী আর এডিকটেড জুয়াড়িরা এখানে এসে টাকার খেলায় মত্ত হয়। কেউ হন লাখপতি থেকে মিলিয়নিয়ার, আবার কেউ বিলিয়ন ডলারও লস করেন। প্রতিদিন এই গ্যাম্বলিং ইন্ডাস্ট্রিতে হাজার হাজার কোটি টাকা হাত বদল হয়। ধনী এবং টুরিস্ট বেস্টিত শহরগুলোতে ক্যাসিনো ব্যবসা জমজমাট।

লন্ডনে বড় বড় ক্যাসিনোগুলোর সবচেয়ে বড় গ্যাম্বলারা হলো তেল সমৃদ্ধ আরব দেশগুলোর শেখ পরিবার; তাদের পুরুষ, মহিলা সমান তালে জুয়ার আসরে আসে। এরপর আছে চায়নিজ এবং রাশিয়ানরা। এসব ক্যাসিনো সরকারকে উচ্চহারে ট্যাক্স পরিশোধ করে। দেশগুলো মূলত বিদেশীদের টাকা হাতিয়ে নিতে এসব এক্সপেন্সিভ জাঁকজমকপূর্ণ অসংখ্য জোয়ার আসর বসায়। ক্যাপিটালিজমের এই দুনিয়ায় নীতি-নৈতিকতার চেয়ে ব্যবসার মুনাফাটাই তাদের কাছে আসল।

জানা গেছে, বাংলাদেশে প্রায় ৬০টি ক্যাসিনো আছে খোদ রাজধানী ঢাকায়; যার বেশিরভাগই বিভিন্ন ক্লাব কেন্দ্রিক। শুধু কী তাই? অনুমোদনহীন এসব ক্যাসিনোর খবর নাকি সরকারের নীতিনির্ধারণী মহল, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থা কেউ জানে না! অবশেষে র‌্যাব এর মাজিস্ট্রেট যখন অভিযান পরিচালনা করলেন তখন সবার টনক নড়লো। দায়িত্বশীলদের মুখ থেকে এক্সপ্রেশন বের হলো, 'ওহ! তাই নাকি? কখনো শুনিনি তো'!

এই অবৈধ টাকার ভাগ রাজনীতিবিদ, পুলিশ প্রশাসন, দুদক এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্তা ব্যক্তিরা পেতো। এদের সরাসরি সাপোর্ট ছাড়া মাদক ব্যবসা, ক্যাসিনো ব্যবসা, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি কোনটিই সম্ভব নয়। এরা সবাই মাস শেষে যার যার ভাগ বুঝে নিয়ে চুপচাপ থাকতো। দেশের মানুষ গোল্লায় যাক নিজেদের পকেট ভারী করাই এই দায়িত্বশীল ডাকাতদের ঈমানী দায়িত্ব।

ফকিরাপুল ইয়ংমেনস ক্লাব, ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিং, কলাবাগান ক্রিড়াচক্র, ওয়ারী এবং ওয়ান্ডারার্স এগুলো একটা সময় এদেশের ক্রিকেট, ফুটবল ও হকিতে নেতৃস্থানীয় ক্লাব ছিল। মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ নিয়ে গড়ে উঠা মুক্তিযোদ্ধা ক্রিড়াচক্র ক্লাবের কথাই যদি বলি, গত কয়েক বছর আগেও ক্লাবটি দেশের শীর্ষস্থানীয় ফুটবল ক্লাব ছিল। কিন্তু এগুলো এখন সোনালী অতীত। তাদের ক্রিড়া নৈপুণ্য তলানীতে ঠেকলেও খেলাধূলায় এখনো মাঠ মাতাচ্ছে জোর কদমে। সফলতাও আসছে নগদে।

অবাক হলেন?


না, অবাক হওয়ার কিছু নেই। এসব ক্লাব এখন জুয়া/ক্যাসিনো খেলায় ক্রিড়া নৈপুণ্য দেখাতে গিয়ে গতানুগতিক খেলাধূলা থেকে সরে এসেছে। এখন এরা ক্যাসিনো ব্যবসায় একে অন্যকে পেছনে ফেলে কোটি কোটি টাকা কামানোর ধান্দায় দিনকে রাত করছে। আগেও নাকি এসব ক্লাবের আয়ের বড় উৎস ছিল হাউজি বা জুয়ার আসর। আর এখন তো রীতিমত ফাইভ স্টার হোটেল বানিয়ে মদ-জুয়া-বেশ্যাবৃত্তি করাচ্ছে ক্লাবগুলোর কর্তা ব্যক্তিরা। একদম সরকার, প্রশাসন আর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নাকের ডগায় বসে! এসব ক্লাবের নেতৃত্ব এখন কোন ক্রিড়া সংগঠকের হাতে নেই; এগুলো পরিচালনা করছে রাজনৈতিক পরিচয় সর্বস্ব ভয়ঙ্কর গুন্ডা, টেন্ডারবাজ, চাঁদাবাজ আর গডফাদাররা।

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় কোন ক্যাসিনো ব্যবসা আছে কিনা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে খোদ বোর্ড প্রধান যখন জুয়াড়ি হয়, তার জুয়া খেলার ভিডিও ভাইরাল হয় তখন সন্দেহ কিছুটা হলেও সবার মনে উঁকি দেবে।

একটা সময় ক্লাবগুলো ছিল শুধুই খেলাকেন্দ্রিক। ফকিরাপুল ইয়ংমেনস ক্লাব, ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিং, ওয়ান্ডারার্স, ওয়ারীর মতো দলগুলো ঢাকার মাঠ কাঁপিয়েছে ফুটবল কিংবা হকি দিয়ে। এখন এই ক্লাবগুলোর বড় অংশেরই জুয়ার টাকায় জৌলুশ বেড়েছে, কিন্তু মাঠের খেলায় আর মনোযোগ নেই।

গতকাল রাজধানীর নিকেতন থেকে জুয়া আর চাঁদাবাজির আরেক ভয়ঙ্কর গডফাদার বর্তমান যুবলীগের নেতা (আগে যুবদল ছিল) জি কে শামীম এর অফিসে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা ও প্রায় ২০০ কোটি টাকার স্থায়ী আমানতের (এফডিআর) কাগজ পেয়েছে র‌্যাব। সে ঢাকার মতিঝিল, খিলগাঁও এলাকার টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ করতো। গণপূর্ত অধিদপ্তরের যাবতীয় ঠিকাদারী তার কনট্রোলে চলতো। যে র‌্যাব তাকে গ্রেফতার করেছে তাদের নির্মাণাধীন বড় কনস্ট্রাকশনের কাজগুলো এখন জি কে শামীমের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান করছে!

ঠিকাদারী মাফিয়া এই শামীম। ভয়ঙ্কর আগ্নেয়াস্ত্রে সজ্জিত ছয়জন দেহরক্ষী নিয়ে সে চলাফেরা করতো। তাহলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নামে এসব দেহরক্ষী বাহিনী মানুষকে তুলে এনে গুম করে দেয়! শামীমের আস্তানায় নাকি একটি গোপন টর্চার সেলের সন্ধান পাওয়া গেছে!

বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পে মাত্রাতিরিক্ত ব্যায়, অপচয় এবং দুর্নীতির ভয়াবহ যে তথ্য আমরা পাই তার পেছেনে এই শামীমদের মতো গডফাদার ঠিকাদারদের হাত থাকে। এরা বিভিন্ন চ্যানেলে টাকা ঢেলে সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীদের দিয়ে প্রকৃত ব্যয়ের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি ব্যয় দেখিয়ে প্রকল্প অনুমোদন করায়। পরে টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু হলে হুমকি, ধমকি এবং প্রয়োজনে টর্চার করে বাকিদের শায়েস্তা করে একাই কাজটি বাগিয়ে নেয়। এদের হাত এতো লম্বা যে, কোন এক আলৌকিক শক্তির বলে একটি হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারের পর্দার দাম ৩৭ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা হয়! এরা তাদের উপরের রাজনৈতিক গুরু আর মাফিয়াদের এই টাকার হিস্যা দিয়ে বিল পাশ করে। এরা দেশের কোটি কোটি মানুষের টেক্সের পয়সায় বডিগার্ড পালে, বিদেশি দামী মদ গিলে, দেশে বিদেশে ক্যাসিনো খেলে/খোলে, টর্চার সেল বানায়, হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করে।

ছাত্রলীগ-যুবলীগ-সেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের পাশাপাশি জেলার শীর্ষ নেতাদের তালিকা করলে দেখা যাবে এদের অধিকাংশই চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজ, দখলদার, মাদক ব্যবসায়ী, খুনি এবং এলাকায় গডফাদার হিসাবে পরিচিত ভয়ঙ্কর গুন্ডা। এদের একাধিক দেহরক্ষী আছে। অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবসায়ও এরা জড়িত। এরা কেন্দ্রীয় নেতাদের ছত্রছায়ায় অফিসের দেয়ালে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি টাঙিয়ে এসব অপকর্ম করছে। এরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আর বঙ্গবন্ধুর আদর্শের বুলি আওড়িয়ে মানুষকে ধোঁকা দিচ্ছে। গ্রুপিং রাজনীতির নামে তৈরী করছে ভয়ঙ্কর গুন্ডা বাহিনী।

গত বুধবার র‍্যাব অভিযান চালিয়ে ফকিরাপুলের ইয়ংমেনস ক্লাব, মতিঝিলের ঢাকা ওয়ান্ডারার্স ক্লাব, গুলিস্তানের মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র এবং বনানীর গোল্ডেন ঢাকা বাংলাদেশ সিলগালা করে দেয়। তবে বিষয়টি এমন নয় যে ওই দিন কিংবা দিন কয়েক আগে প্রথম ক্যাসিনো চালু হয়েছে মতিঝিলের ক্লাবপাড়ায়। পাঁচ–ছয় বছর ধরেই এই চারটি ক্লাবসহ মোহামেডান ও ব্রাদার্সে ক্যাসিনো ব্যবসা চলে আসছিল।


আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, খেলাসংশ্লিষ্ট লোকজন এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের একাধিক সূত্র বলেছে, ক্যাসিনোগুলো ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী (সম্রাট), সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া এবং এ কে এম মমিনুল হক (সাঈদ) এবং স্বেচ্ছাসেবক লীগের একজন শীর্ষ নেতা চালাতেন। তাঁরা ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকবেন এবং ক্লাবগুলোর কাজকর্ম নিয়ে কোনো আলোচনা হবে না—এমনটাই মনে করে আসছিলেন সবাই।

জানা যায়, ক্লাবগুলোতে জুয়াটা রমরমা হয়ে উঠতে শুরু করে নব্বইয়ের দশক থেকে। ক্লাবগুলো তখন মাত্র মতিঝিল এলাকায় এসেছে। খেলাধুলার খরচ বেড়ে যাওয়ায় অনুদানের টাকায় ক্লাবগুলো আর চলতে পারছিল না। তখনই একটি দুষ্ট চক্র ক্লাবে ঢুকে পড়ে। তারা ক্লাবের ঘর ভাড়া নিয়ে ওয়ান–টেন (ছোট তির ছুড়ে মারার খেলা) ও রামি (তাসের খেলা) নামের খেলা চালু করে। প্রতি রাতে ক্লাবগুলোকে এরা ৩০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত দিত। যারা জুয়ার আসর বসাত, তারা রাজনৈতিক নেতা, মহল্লার মাস্তান ও পুলিশকে নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা দিত।

গত কিছুদিন আগে নারায়ণগঞ্জের একটি কারখানায় র‌্যাবের এই মাজিস্ট্রেট অভিযান চালিয়ে কয়েক হাজার লিটার দুধ জব্দ করেন। পরীক্ষা করে দেখা যায় এসব দুধে কোন 'দুধ' এর অস্তিত্ব নেই; সব কেমিক্যাল আর পানি। প্রতিদিন তারা ২০ হাজার লিটার কেমিক্যাল মিশ্রিত বিষ ঢাকাবাসীকে খাওয়াতো! এছাড়া নকল ঔষধ, নকল প্রসাধনী, নকল শিশু খাদ্য তো খুবই কমন বিষয়। এসব কারখানার মালিক ও শ্রমিকরা স্বীকার করেছে থানা পুলিশকে ম্যানেকজ করেই এই ব্যবসা তারা পরিচালনা করে নির্বিঘ্নে। তাহলে ঢাকার এই অবৈধ ক্যাসিনোগুলোর কথা আইন শৃঙ্খলা বাহিনী জানতো না? বিশ্বাস হয়!

বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর কয়েক হাজার ধনকুবের তাদের বৈধ-অবৈধ কোটি কোটি টাকা উড়িয়ে দিতে বিদেশের ক্যাসিনোগুলোতে ভীড় করেন। এসব জুয়াড়িদের পছন্দের গন্তব্য সিঙ্গাপুর, ম্যাকাও, হংকং, ম্যানিলা এবং ব্যাংকক। প্রতি বছর ঠিক কত হাজার কোটি টাকা এই সখের নেশায় বাংলাদেশ থেকে হাওয়া হয়ে যায় তার সঠিক হিসাব কারো কাছে নেই।

ঢাকাকে যারা ভবিষ্যৎ নিউইয়র্ক/সিঙ্গাপুর ভাবেন তারা ভবিষ্যৎ ক্যাসিনো সিটি হিসাবে লাসভেগাসও ভাবতে পারেন। কারণ, অনুমোদন ছাড়াই যে শহরে ৬০টি ক্যাসিনো থাকে সেখানে বৈধ অনুমোদন থাকলে ৬০০টি ক্যাসিনো বসবে। এটা হবে বিশ্ব রেকর্ড।

এদেশের লক্ষ লক্ষ হতাশ যুবক ভবিষ্যৎ অন্ধকার দেখে ইয়াবা আর ফেন্সিডিল গিলে জীবনী শক্তি বিনাশ করছে। আর আরেকদল মাফিয়া দেশের সম্পদ লুটে ক্যাসিনো খুলছে; দামী ব্রান্ডের মদ গিলে উদযাপন করছে। অতিরিক্ত টাকা দেশে বিনিয়োগ না করে বিদেশে পাচার করছে। পরিবার-পরিজনকে বিভিন্ন দেশে সেটেলড করে নিশ্চিত নিরাপদ ভবিষ্যৎ ঠিকানার নিশ্চয়তা দিচ্ছে। একটি সূত্র মতে, গত ১৩ বছরে এসব দুর্নীতিবাজরা প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে।

যারা বুড়িগঙ্গাকে টেমস রিভার, গুলিস্তানকে লাস ভেগাস, বুটানিক্যাল গার্ডেনকে প্যারিস, মতিঝিলকে ম্যানহাটন, হাতিরঝিলকে সিঙ্গাপুর, ঢাকার বস্তির টং ঘরগুলোকে মালদ্বীপ, ঢাকার ফ্লাইওভারকে টাওয়ার ব্রিজ, সদরঘাটকে হংকং এবং ফার্মগেটকে অলগেট মনে করেন অন্তত তাদের জন্য ঢাকাকে ক্যাসিনো সিটির মর্যাদা দেওয়া হোক। আর ঢাকা সিটিকে অভিজাত শ্রেণীতে তুলতে হলে ক্যাসিনোতে নিয়মিত মদ-জুয়ার আসর বসাতে হবে। না হলে সিঙ্গাপুরের সাথে কম্পিটিশনে পেছনে পড়ে যাবে!


ফটো ক্রেডিট,
গুগল। [প্রয়োজনীয় লিঙ্ক লেখায় সংযুক্ত করা আছে ]
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ভোর ৪:২১
২৫টি মন্তব্য ২৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জামায়াত শিবির রাজাকারদের ফাসির প্রতিশোধ নিতে সামু ব্লগকে ব্লগার ও পাঠক শূন্য করার ষড়যন্ত্র করতে পারে।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৯


সামু ব্লগের সাথে রাজাকার এর সম্পর্ক বেজি আর সাপের মধ্যে। সামু ব্লগে রাজাকার জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ। তাদের ছাগু নামকরণ করা হয় এই ব্লগ থেকেই। শুধু তাই নয় জারজ বেজন্মা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাওরের রাস্তার সেই আলপনা ক্ষতিকর

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৫৯

বাংলা বর্ষবরণ উদযাপন উপলক্ষে দেশের ইতিহাসে দীর্ঘতম আলপনা আঁকা হয়েছে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম হাওরের ‘অলওয়েদার’ রাস্তায়। মিঠামইন জিরো পয়েন্ট থেকে অষ্টগ্রাম জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই আলপনার রং পানিতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছবির গল্প, গল্পের ছবি

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:১৫



সজিনা বিক্রি করছে ছোট্ট বিক্রেতা। এতো ছোট বিক্রেতা ও আমাদের ক্যামেরা দেখে যখন আশেপাশের মানুষ জমা হয়েছিল তখন বাচ্চাটি খুবই লজ্জায় পড়ে যায়। পরে আমরা তাকে আর বিরক্ত না করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×