কাজল রশীদ
ক,
দানার আকাশে বিদীর্ণ ছায়াপথ , চিরল চাঁদ উকি দেয়
কাজলঘন মেঘপুঞ্জের আড়ালে। ঢোড়াসাপের জীবন, দিবাস্বপ্ন সঞ্ঝারী।
মজ্জার কৌশলে আর দেবিপূজার দর্শনে পাহাড় ক্ষয়ে যায় নীল মোমে।
পিচ্ছিল পথ ধরে চলে ক্লান্ত জনপদ ধূলোর মিছিলে।
খ,
এখানে বৃষ্টি সমেত কোন নিরীহ তারা
পাথর ব্যাথায় কেঁপে ওঠে না আলোহীন ছায়াপথে ।
নাওয়ের ছইর ভাঙে জলের আয়না , অথৈ সাগরে
সোনারাঙ্গা জনপদ মাড়িয়ে জলের কার্নিশে ।
মেঘের খোলস খুলে জেগে উঠো চাঁদের চারা ।
গ,
বনেলা পথ , অরণ্যে নামে বিদ্যুতের ঝড়
চৈত্রের ট্রেনে আকখুটে যাত্রা ।
বৃষ্টির শহরে আগুন, চক্ষুলজ্জায় ।
বৃষ্টির অপেক্ষায় ফায়ারব্রিগেড ।
ছায়াপথে নেমে এলো শন শনে বৃষ্টি ।
এখানে বৃষ্টি অপার্থিব , পৃথিবী জলবিছুটি ।
ঘ,
ছায়াপথে নেমে এলো গন্ধমের ঘ্রাণ , নীরস কান্না,
ছিপছিপে রোগা নক্ষত্রের রাতে।
চাঁদহীন আকাশে মেঘের ভেলায় উড়ে নীরব পাখি ।
স্বপ্নচারী প্রজাপতি উদ্বাস্তু বাগানে হাটে অঙ্কুরিত রক্তবীজে ।
মহান যিসাসা আলপনা আঁকেন মৃত্যু যন্ত্রণায়
ঙ,
পরস্ব মেলায় তোমার সাথে দেখা সখী
আমি রাশিয়া ফেরত জালালী কইতর ।
সারা রাত্রিময় নিধুবনে ফুটাই বীর্যফুলের কবর
অমৃতের জিঞ্জিরে বাঁধি পরচ্ছন্দ আসর।
যে গোয়ালে শুয়ে আছো অন্যপূর্বা সে তো বন্ধুর ঘর ।