বুকের দেরাজে থাকে দু,চারটে গোপন প্রেমের চিঠি
তার কোন নাম ছিল কি?
রোজ রাতে যারা সমুদ্রকে আলিঙ্গন করে
তাদের কারও নাম দ্বীপান্বিতা ছিল না
দ্বীপান্বিতা কারও প্রেমিকা ছিল না
কেউ কেউ প্রেমিকার অধিক!
আমার একটি চিঠি ছিল দ্বীপান্বিতার নামে--
'যে কবি প্রেমিক হয়ে উঠলো মানুষের চোখে
প্রেমিকার হৃদয় তার কাছে মুখ্য ছিল কি না জানা নেই
যে শহর উজ্জ্বল হয়ে উঠলো কবিতায়
সেখানে কোন বিদুষী নারী থাকতো কি না সেটাও উহ্য থাক
আমি আপনাকে 'আলো' নামে ডাকি'
উত্তরে দ্বীপান্বিতা লিখেছিল--
'কোনো এক শরতে জীবন এসেছিল দু'হাতে দাড়ায়ে
মানুষের চোখে তারে কে আর চিনেছিল
যতটা হৃদয় তারে রেখেছিল লুকায়ে'
আমি এখন শরতের প্রত্যাশায় থাকি
বেনামী পত্র হয়ে পাতাঝরা বিকেলগুলো তাকিয়ে থাকে
আমি এখন জীবনের মুখোমুখি
ডাকবাক্সের দেয়ালে যে জীবন ঝুলে থাকে মানুষের চোখে!
দ্বীপান্বিতা আমাকে ভালোবাসতো কি না সে বিচারে যাচ্ছি না
যারা হৃদয়ে মিছিল করে যায় অনবরত
রাজপথে তাদের পদচিহ্ন ছিল কি না সে প্রশ্ন অবান্তর!
তবু, কোন এক রাতে
দ্বীপান্বিতা নেমে আসে রাস্তায়
বেভুলো মাতালের পকেটে অক্ষত চিঠিটার মতো
ডাক-হরকরার হাতে ধুকতে থাকা লন্ঠন
কী নির্জন! কী নির্জন!
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৫৭