এক অদ্ভুত ভালোলাগা কাজ করে, তবু আমাকে কবিতাই কেন লিখতে হবে জানি না। তাই সাহিত্যের সবচেয়ে শক্তিশালী এই মাধ্যমে নিজেকে নিয়ে আসা দুঃসাহসও বটে। এই জীবন বেছে নিতে হলে নাকি কোন এক কালো জাদুকর যেমন নরক স্বীকার করে নেয়, আমাকেও তেমন দুঃখ স্বীকার করে নিতে হবে।
অবশ্য আমি খুব বেশি চিন্তাশীল মানুষদের পর্যায়ে নই। সবকিছুই পরিকল্পনার বাইরে। এই যে আজ লিখছি, সেটাও। ছোটবেলায় ভাবতাম কবিতা হয়তো কোন মানুষ লেখে না। অথচ আজ সেই কবিতাকেই জীবন করে নিয়েছি। ভাবলাম সহজ জীবনে কিছু দুঃখ পেলে যদি এই সাদাকালো ছবিই স্থির হয়ে থাকে তবে মন্দ কি। তবে, আমাকে এই অন্তহীন অন্ধকারে যারা পরম যত্নে হাঁটতে শিখিয়েছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতার শেষ নেই।
কবিতা লিখে আমি কিচ্ছু পাবো না। এমন কথা শুনতে হয়েছে বহুবার। বন্ধু হারিয়েছি, প্রিয়মুখ চলে গ্যাছে। তারপরও প্রেমই লিখি। আরও স্পষ্ট করে বললে দুঃখ লিখি। কারও প্রস্থানে জন্মানো লতাগুল্মকে আমি সযত্নে মহীরুহ করে তুলেছি। সেই বিষাদ-গাছের সবচেয়ে সুন্দর শাখায় মানুষকে বসতে দেই। তাদের ভেতরের শব্দকে অনুবাদ করতে চেষ্টা করি। মানুষের জন্য সাম্যের দাবি নিয়ে মানুষ হয়েই হাঁটতে চেয়েছি চিরকাল।
যার নির্দিষ্ট একজন থাকে না তাঁর নাকি আকাশ থাকে। আমি আকাশ না পেলেও ছোটখাটো সমুদ্র পেয়েছি। অনেক প্রিয়মুখ, বন্ধু এবং প্রিয়জন। যারা আমাকে অকৃত্তিম ভালোবাসেন। ভাবতে ভালোলাগে মানুষের মিছিলে একটা প্ল্যাকার্ড আমার হাতেও আছে। তাদের নিঃসীম ভালোবাসায় হঠাৎ চোখে খড়কুটো পড়ে। মুছে ফেলি না। বরং বলতে ইচ্ছে করে 'কবিতা লিখে আমি কিছুই পাইনি কথাটা একদম সত্যি নয়'। মানুষের এই ভালোবাসার কাছে আমি নতজানু থাকি চিরকাল। তাদের পায়ের কাছে ধুলোর মতো উড়ে বেড়াই। তাই আবারও দুঃসাহস করলাম।
'হুইসেলে বেদনা থাকুক' এর পর বইমেলা ২০১৬ তে আসছে আমার দ্বিতীয় কবিতাগ্রন্থের মলাট বিষাদ লিখি না, তোমাকে লিখি।
প্রকাশনীঃ ঘাসফুল
স্টল নংঃ ১৩৭
প্রচ্ছদঃ Nobi Hossain
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:২৮