somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সমুদ্র জীবনের গল্প (কেউ আমাদের বুঝে না!!:(()

০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:৩৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


মেরিনারদের জন্য এটা খুবই দুঃখজনক ব্যাপার যে কেউ সহজে তাদের বুঝতে পারে না। বাবা, মা, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব, এমনকি প্রেমিকারাও মাঝে মাঝে এমনসব কথা বলে যে তব্দা খায়া যাইতে হয়। যদি কাউকে কিছু বুঝাইতে হয়ও তাহলেও অনেক কাঠখড়, কেরোসিন, ডিজেল পুড়াইয়া বুঝানো লাগে তাও অনেক সময় বুঝে না।
শিক্ষানবিস লাইফ শেষ করে প্রথম পেশাগত পরীক্ষা দিতে ডাঙ্গায় আসলাম। সব বন্ধুরা চোখ বড় বড় করে তাকায় আর বলে, “দোস্ত চাকরি ছাইড়া দিলি??”
ভ্যাবাচেকা খায়া যাই। কি বুঝামু...
তারপর বলি, “যে না দোস্ত এক্সাম দিতে আসছি??”
: এক্সাম?? তোর আবার কিয়ের এক্সাম? তুই না পড়ালেখা শেষ করে জব পাইয়া গেলি।
: আছে একটা এক্সাম। ক্লাস-৩।
: কি কস? এই বয়সে ক্লাস-৩??
হাহ! /:)হতাশ হই। কে বুঝাবে? এত কথাও বলতে ইচ্ছা করে না। আসলে সার্টিফিকেটটার নাম ই COC-3 বা সার্টিফিকেট অব কম্পিটেন্সী-3 সংক্ষেপে বলি ক্লাস-৩।

প্রচলিত সব সনদ ই সার্টিফিকেট অব নলেজ হলেও মেরিন প্রফেশনের সনদের নাম এমন কারন এখানে প্রার্থীকে প্রমাণ করতে হয় যে তার বিষয়বস্তু সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান থাকার পরও ক্ষেত্রবিশেষে তা আবার প্রয়োগের দক্ষতাও আছে। এরকম আরও দুইটা সার্টিফিকেট ক্লাস-২ এবং ক্লাস-১ অর্জনের পর ই একজন নাবিক জাহাজের ক্যাপ্টেন হতে পারে।
এত কিছু বুঝানোর পর এক বন্ধু আবার বলেই বসলো,“ধুর শালা! আমিতো আরো মাইনষেরে বইল্লা বেড়াই আমার এক বন্ধু আছে জাহাজের ক্যাপ্টেনX((।”
টাস্কি খাই আর ভাবি, আহারে এত যদি সোজা হইত সবকিছু।/:):|
জাহাজিদের নিয়ে সবার হাজার হাজার প্রশ্ন। বন্ধু মহলের ধারণা সবসময় মেয়ে নিয়া ঘুরি আর বিভিন্ন দেশে গেলে হার্ডড্রিঙ্কসের ছড়াছড়ি।

জানি না, এই অপবাদ খালি মেরিনারদেরকেই কেন ঢালাও ভাবে দেয়া হয়। অবস্থাটা হইল, “সব পক্ষীই টার্গেট প্রাকটিস করে আর দোষ পড়ে খালি কাউয়ার।X(X(” অনেকেরই জানা নেই যে জাহাজে প্রবেশ করার পর ই Drug And Alcohol Policy নামে একটা কড়া ভাষায় লেখা চুক্তি পত্রে সব নাবিককে স্বাক্ষর করা লাগে।

কারন ড্রাগ বা এলকোহল জনিত কারনে জাহাজের একজনের জন্য সবার জীবন ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। যাদের এলকোহল নেয়ার এত ইচ্ছা হয় তারা পোর্টে নামার পর বারে গিয়ে খাক এটা নিয়া কোন সমস্যা নাই কিন্তু কথা হইল এটা ত সিভিলিয়ান রা প্রতিনিয়তই করছে। তাহলে খালি মেরিনাররাই দোষী ক্যান?? :|

এর জন্য আসলে দায়ী আগের কালের উপকথা গুলা যেখানে জাহাজের ক্যাপ্টেন মানে এক চোখে পট্টি আর হাতে লাল পানির বোতল।B-)
মেয়ে নিয়া ঘুরি। এই অভিযোগটা আসলে একেবারেই মিথ্যা না। ;) ;)
জাহাজটাই তো মেয়ে। এটা আসলে একটি পুরাতন সামুদ্রিক ঐতিহ্য। সমুদ্রে যা কিছু আছে সবই মেয়ে হিসাবে বিবেচিত। জাহাজের ক্ষেত্রে এটা আরও বেশি কারন একে সবসময় ঠিকভাবে যত্নের সাথে নিয়ন্ত্রন করা লাগে। তাহলে এটা প্রয়োজনে সবসময় পাশে থাকবে। আর তা না হলে?? সুস্বাদু খাদ্যের সাথে বিষ খাওয়ায়া খুন করে ফেলা কোন নারী চরিত্রের কথাই মনে আসে। জাহাজ ভারসাম্যের বিদ্যা শিপ স্টাবিলিটি তে পড়তে হয় in any condition Girl should not be allowed on top of Man. this will make your ship unstable and she will behave crazy and try to take your life.


এখানে G= centre of gravity আর M= metacentric height. আসলে খালি জাহাজ না। বাস্তব জগতের সব খানেই এটা ধ্রুব সত্য। (আমাদের দেশেই দেখেন।) নারীবাদী ভাই এবং আপুরা আবার ভুল বুইঝেন না। আমি নারীবিদ্বেষী না। :D
জাহাজ মেয়ে হওয়ার আরেকটা যৌক্তিক কারন হল জাহাজকে সব সময়ই সাজুগুজু করায়া রাখতে হয়।

জাহাজের ক্রুদের কাজের অর্ধেক সময় ই যায় রঙচঙ্গ করে একে চকচকে রাখতে।:P
চলবে.................................
৪টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বাংলাদেশ একদিন মাথা উঁচু করে দাঁড়াবেই

লিখেছেন নতুন নকিব, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:৫৩

বাংলাদেশ একদিন মাথা উঁচু করে দাঁড়াবেই

ছবি এআই জেনারেটেড।

ভিনদেশী আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে সত্যের বজ্রনিনাদে সোচ্চার হওয়ার কারণেই খুন হতে হয়েছে দেশপ্রেমিক আবরার ফাহাদকে। সেদিন আবরারের রক্তে লাল হয়েছিল বুয়েটের পবিত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজাকারের বিয়াইন

লিখেছেন প্রামানিক, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:০৪


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

রাজাকারের বিয়াইন তিনি
মুক্তিযোদ্ধার সন্তান
ওদের সাথে দুস্তি করায়
যায় না রে সম্মান?

কিন্তু যদি মুক্তিযোদ্ধাও
বিপক্ষতে যায়
রাজাকারের ধুয়া তুলে
আচ্ছা পেটন খায়।

রাজাকাররা বিয়াই হলে
নয়তো তখন দুষি
মেয়ের শ্বশুর হওয়ার ফলে
মুক্তিযোদ্ধাও খুশি।

রচনা কালঃ ১৮-০৪-২০১৪ইং... ...বাকিটুকু পড়ুন

দাসত্বের শিকল ভাঙার স্বপ্ন দেখা এক ক্রান্তদর্শী ধূমকেতু ওসমান হাদী।

লিখেছেন মুঃ গোলাম মোর্শেদ (উজ্জ্বল), ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৪২

বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে দেশে যে ধরণের রাজনৈতিক সংস্কৃতি চালু হয়েছে, তাহলো বিদেশী প্রভুরদের দাসত্ব বরণ করে রাজনৈতিক দলগুলোর রাষ্ট্র ক্ষমতায় গিয়ে দেশের মানুষের উপর প্রভুত্ব করা , আর... ...বাকিটুকু পড়ুন

দিপুকে হত্যা ও পোড়ানো বনাম তৌহিদী জনতা!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:০৫


পাইওনিয়ার নিটওয়্যারস বিডি লিমিটেড (Pioneer Knitwears (BD) Ltd.) হলো বাদশা গ্রুপের (Badsha Group) একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান। বাদশা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান কর্ণধার হলেন জনাব বাদশা মিয়া, যিনি একইসাথে এই... ...বাকিটুকু পড়ুন

সাজানো ভোটে বিএনপিকে সেনাবাহিনী আর আমলারা ক্ষমতায় আনতেছে। ভোট তো কেবল লোক দেখানো আনুষ্ঠানিকতা মাত্র।

লিখেছেন তানভির জুমার, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:২২



১০০% নিশ্চিত বিএনপি ক্ষমতায় আসছে, এবং আওয়ামী স্টাইলে ক্ষমতা চালাবে। সন্ত্রাসী লীগকে এই বিএনপিই আবার ফিরিয়ে আনবে।সেনাবাহিনী আর আমলাদের সাথে ডিল কমপ্লিট। সহসাই এই দেশে ন্যায়-ইনসাফ ফিরবে না। লুটপাট... ...বাকিটুকু পড়ুন

×