somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অনুগল্পঃ বিশ্বাস

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সুমনের হাত পিছনে বাঁধা। কপাল বেয়ে এই শীতেও ঘাম পড়ছে। পরনের কালো শার্টটাও ঘামে ভেজা কিন্তু এই মাঝরাতে তা বোঝার উপায় নেই। আশুলিয়ার এই জায়গাটা এমনিতেই নিরব। এখন এই মাঝরাতে ঝিঁ ঝিঁ পোকার ডাক ছাড়া আর কোন শব্দও নেই। বহু দূরের কোন একবাড়ি থেকে কেবল একটা ছোট শিশুর কান্নার শব্দ আসছে। এখানে বিশাল জায়গা জুড়ে বালি ফেলা হয়েছে। প্লট করে বিক্রি করবে কোন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান।
সুমনের মনে পড়ল ‘আসগর ভাই’ এর কথা। সুমন আসগর ভাই-এর হয়ে কাজ করে। সুমন, মিলন, কালাম আর আসগর ভাই একসাথে থাকলে ওদের বাপের নাম ভুলিয়ে দিত। সাথে কিছু অস্ত্র নিলে ওরা চারজন চল্লিশ জনের সমান।
‘এই শালা হারামজাদা। দাঁড়ায়ে আছোস কেন? দৌড় দে!’
সুমন বাস্তবে ফিরে আসে। সে জানে এখন কিছুতেই দৌড়ানো যাবে না। হাঁটাও যাবে না। কারন সে কিছুদূর এগুলেই তারা গুলি করবে। তাকে যেভাবেই হোক দাঁড়িয়ে থাকতে হবে। দাঁড়িয়ে সময় নষ্ট করতে হবে। আসগর ভাই নিশ্চয়ই এতক্ষনে তার খোঁজ বের করে ফেলেছে। তাকে ছাড়া আসগর ভাই অচল। রাত ৯টার দিকে সুমনকে তারা তুলে এনেছে। এখন কয়টা বাজে সুমন জানেনা কিন্তু ১২টার বেশি তো অবশ্যই বাজে। আসগর ভাইএর পক্ষে তাকে খুঁজে পাওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র।
তাদের একজনের মোবাইল ফোনটা বেজে উঠে। ‘হ্যাঁ ভাই। না এখনো শেষ হয়নি। এসব কাজে তাড়াহুড়ো করা যায়না। হ্যাঁ আপনাকে জানাবো’।
সুমনের হঠ্যাৎ মৃত্যুভয় পেয়ে বসে। তাহলে কি সব শেষ? এক্ষনি সে মারা যাবে? তার ঘাড়ে ঠান্ডা একটা স্রোত বয়ে যায়। পা ভারি হয়ে আসে। পেছনে গাড়ির ইঞ্জিন স্টার্ট হওয়ার শব্দ হল। লোক গুলোর মাঝে ব্যস্ততা বেড়ে যায়। সুমন বুঝতে পারে সে দাঁড়িয়ে আছে দেখে লোক গুলোই পিছিয়ে যাচ্ছে। কারন নুন্যতম একটা দূরত্ব থাকতে হবে তার আর পিস্তলের মাঝখানে। তা নাহলে এটাকে ক্রস্ ফায়ার বলা যাবেনা। গুলির শব্দের সাথে সাথে সুমনের কোন কিছু চিন্তা করার ক্ষমতা চিরদিনের মত থেমে গেল।

সেই লোকটার মোবাইল আবার বেজে উঠল। ‘হ্যাঁ আসগর ভাই। কাজ শেষ। আরে নাহ, আমি আপনার কাজ করব আর আপনে আমার। এইটা কোন ব্যাপার নাকি?
৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সবুজের মাঝে বড় হলেন, বাচ্চার জন্যে সবুজ রাখবেন না?

লিখেছেন অপলক , ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:১৮

যাদের বয়স ৩০এর বেশি, তারা যতনা সবুজ গাছপালা দেখেছে শৈশবে, তার ৫ বছরের কম বয়সী শিশুও ১০% সবুজ দেখেনা। এটা বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা।



নব্বয়ের দশকে দেশের বনভূমি ছিল ১৬... ...বাকিটুকু পড়ুন

আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে লীগ আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে জামাত

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৪৬


বাংলাদেশে রাজনৈতিক ছদ্মবেশের প্রথম কারিগর জামাত-শিবির। নিরাপত্তার অজুহাতে উনারা এটি করে থাকেন। আইনী কোন বাঁধা নেই এতে,তবে নৈতিক ব্যাপারটা তো অবশ্যই থাকে, রাজনৈতিক সংহিতার কারণেই এটি বেশি হয়ে থাকে। বাংলাদেশে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৪৩

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

চা বাগানের ছবি কৃতজ্ঞতা: http://www.peakpx.com এর প্রতি।

আমাদের সময় একাডেমিক পড়াশোনার একটা আলাদা বৈশিষ্ট্য ছিল। চয়নিকা বইয়ের গল্পগুলো বেশ আনন্দদায়ক ছিল। যেমন, চাষীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×