somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

চে'র বিখ্যাত সেই ছবি : যেভাবে বিখ্যাত হলো এবং আলবার্তো কোরোদা, যিনি তুললেন ।

০১ লা মার্চ, ২০১২ রাত ১:২৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


বিখ্যাত সেই ছবিটি।


ঠোঁটের ওপর হালকা গোঁফ, মুখে দাড়ি, চোখে বিষণ্নতা, অবিন্যস্ত লম্বা চুলের ওপর চ্যাপ্টা গোল টুপি। একনজরেই বলে দেওয়া যায়, এ ছবি আর দশটা ছবির চেয়ে একেবারেই ভিন্ন। অন্যায়, নিপীড়ন আর শোষণবিরোধী সংগ্রামের প্রতীক হয়ে ওঠে এই ছবি; ভেঙে দেয় দেশকালের সীমা। ৪১ বছর আগে আততায়ীর গুলিতে খুন হয়েছেন ছবির মানুষটি, কিন্তু তাঁর সেই ছবি আজও বিশ্বমানবের হূদয়পটে অম্লান। বুঝতেই পারছেন, আমরা চের বিখ্যাত সেই ছবির কথা বলছি।

১৯৬০ সালের ৫ মার্চ চের এই ছবিটি তোলেন আলোকচিত্রী আলবের্তো কোর্দা। ঠিক তার এক দিন আগেই হাভানা বন্দরে বোমা ও বিস্কোরকবোঝাই একটি ফরাসি মালবাহী জাহাজ বিস্কোরিত হয়ে মারা যায় ৮০ জন কিউবান। তাদের গণ-শেষকৃত্যানুষ্ঠানে যোগ দিতে সেদিন সেখানে গিয়েছিলেন চে। আর তখনই জ্বলে ওঠে কোর্দার ক্যামেরার ফ্ল্যাশ। ফ্রেমবন্দী হয় পৃথিবীর সর্বকালের সেরা এক আলোকচিত্র।




এই সেই ক্যামেরা



পুরো নেগেটিভ





মূল ছবি টি.




ছবির নেগেটিভ হাতে আলবের্তো কোর্দা




আলোকচিত্রী আলবের্তো কোর্দা তার তোলা ছবিটি হাতে ।




তারপর অনেক দিন ছবিটি কোথাও প্রকাশিত হয়নি। কোর্দার স্টুডিওতে যাঁরা আসা-যাওয়া করতেন, তাঁদের চোখেই শুধু পড়েছে দেয়ালে ঝুলে থাকা ক্রুদ্ধ, বিষণ্ন এক বিপ্লবীর মুখ। সাত বছর পর চের ছবিটি দেখে আকৃষ্ট হন ইতালীয় বামপন্থী প্রকাশক ও বুদ্ধিজীবী গিয়াংগিয়াকোমো ফেলত্রিনেল্লি। ইতালিতে ছবিটি নিয়ে আসেন তিনি। তাঁর মাধ্যমেই প্রথম পোস্টার আকারে ইউরোপে ছবিটি ছড়িয়ে পড়ে। ইউরোপের কয়েকটি দেশে ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদে ছাপা হওয়ার পর ছবিটি ব্যাপক সাড়া ফেলে দেয়।
চিত্রবিশ্লেষক ত্রিশা জিফ বলেন, ‘লোকে শোষণ ও বৈষম্যের অবসান চায়, চায় পরিবর্তন। সেই পরিবর্তনের প্রতীক হয়ে ওঠে চের ছবি।’


আলবের্তো কোর্দা কখনই এ ছবিটির বিনিময়ে কোনো টাকা নেন নি, কোনো প্রতিষ্ঠান এই ছবিটি ব্যবহার করতো. তখন আলবের্তো কোর্দা কে রয়ালেটির টাকা দিতে চাইলে তা সে ফিরিয়ে দিতো ।

আলবের্তো কোর্দা মামলা করেন ছবি যখন স্মিয়ার্টওফ নামের একটা ভদকার বোতলে ব্যাবহার করা হয় । এ জন্য মামলায় তিনি জয় পান এবং ক্ষতিপূরন পান ৫০,০০০ ডলার । টাকা টি তিনি পুরোটাই কিউবান হেলথ কেয়ার একটি সংস্থা কে দান করেন । তিনি টাকা টি দান করার ব্যাপারে বলেন, চে যদি বেচে থাকতো, সে ও একি কাজটি করতো

এর পর তিনি বলেন, As a supporter of the ideals for which Che Guevara died, I am not averse to its reproduction by those who wish to propagate his memory and the cause of social justice throughout the world, but I am categorically against the exploitation of Che's image for the promotion of products such as alcohol, or for any purpose that denigrates the reputation of Che[/sb



তার একটি বিখ্যাত কথা-

"Forget the camera, forget the lens, forget all of that. With any four-dollar camera, you can capture the best picture."





কোর্দা সব সময় ফিদেল এর সাথে থাকতেন, ছবি তুলতেন এবং ফিদেল ও তাকে অনেক পছন্দ করতেন ।




আর এখন টি-শার্ট, দেয়াল, আইসক্রিমের মোড়ক, সিগারেট থেকে শুরু করে কোথায় নেই এই ছবি! এমনকি ফুটবলার ডিয়েগো ম্যারাডোনা ও মুষ্টিযোদ্ধা মাইক টাইসনের শরীরে পর্যন্ত উল্কির আকারে জায়গা করে নিয়েছে এই ছবি। ‘চে গুয়েভারা নিজেই এখন একটা ব্র্যান্ড। এই ব্র্যান্ডের লোগো হচ্ছে চের সেই বিখ্যাত ছবি, যার অর্থ পরিবর্তন। ছবিটি যুদ্ধ ও বিশ্বায়নবিরোধী তথা পরিবেশবাদের প্রতীক হয়ে উঠেছে।’ বললেন ত্রিশা জিফ।

বিবিসি এবং উইকি ।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা মার্চ, ২০১২ রাত ১:৫৮
৬টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সাজানো ভোটে বিএনপিকে সেনাবাহিনী আর আমলারা ক্ষমতায় আনতেছে। ভোট তো কেবল লোক দেখানো আনুষ্ঠানিকতা মাত্র।

লিখেছেন তানভির জুমার, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:২২



১০০% নিশ্চিত বিএনপি ক্ষমতায় আসছে, এবং আওয়ামী স্টাইলে ক্ষমতা চালাবে। সন্ত্রাসী লীগকে এই বিএনপিই আবার ফিরিয়ে আনবে।সেনাবাহিনী আর আমলাদের সাথে ডিল কমপ্লিট। সহসাই এই দেশে ন্যায়-ইনসাফ ফিরবে না। লুটপাট... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজনীতির পন্ডিত, ব্লগার তানভীর জুমারের পোষ্টটি পড়েন, জল্লাদ আসিফ মাহমুদ কি কি জানে!

লিখেছেন জেন একাত্তর, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:৪৯



সামুর রাজনীতির ডোডো পন্ডিত, ব্লগার তানভীর ১ খানা পোষ্ট প্রসব করেছেন; পোষ্টে বলছেন, ইউনুস ও পাকিসতানীদের জল্লাদ আসিফ মাহমুদ ধরণা করছে, "সেনাবাহিনী ও ব্যুরোক্রেটরা বিএনপি'কে... ...বাকিটুকু পড়ুন

নীল নকশার অন্ধকার রাত

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:১৬


কায়রোর রাস্তায় তখন শীতের হিম হাওয়া বইছিল। রাত প্রায় সাড়ে এগারোটা। দুইটা বড় সংবাদপত্র অফিস: আল-আহরাম এবং আল-মাসরি আল-ইয়াউম—হঠাৎ করেই আগুনে জ্বলে উঠলো। কিন্তু এই আগুন কোনো সাধারণ দুর্ঘটনা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদি ভাই, ইনসাফ এবং একটা অসমাপ্ত বিপ্লবের গল্প

লিখেছেন গ্রু, ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:০৮



ইদানিং একটা কথা খুব মনে পড়ে। হাদি ভাই।

মানুষটা নেই, কিন্তু তার কথাগুলো? ওগুলো যেন আগের চেয়েও বেশি করে কানে বাজে। মাঝেমধ্যে ভাবি, আমরা আসলে কীসের পেছনে ছুটছি? ক্ষমতা? গদি? নাকি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আগুন যখন প্রশ্নকে পোড়াতে আসে

লিখেছেন এস.এম. আজাদ রহমান, ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৩২

আগুন যখন প্রশ্নকে পোড়াতে আসে[

স্বাধীন সাংবাদিকতার কণ্ঠরোধে রাষ্ট্রীয় ব্যর্থতা, মব-রাজনীতি ও এক ভয়ংকর নীরবতার ইতিহাস
চরম স্বৈরশাসন বা ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রেও সাধারণত সংবাদমাধ্যমের কার্যালয়ে আগুন দেওয়ার সাহস কেউ করে না। কারণ ক্ষমতা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×