এই পথে কবি সমরেশ দেবনাথ থাকেন,
এ পথেই ফেরিওয়ালা "কাগজ, কাগজ" বলে প্রতিরোজ হাঁকেন,
"কাগজ! কত করে কেজি দাও?" গলা বাড়ালেন কবির স্ত্রী,-
"কাগজ ঢের আছে, আর কিছু ম্যাগাজিন দেব ফ্রি।"
এমন কথা মানাবে নাকি কবি-স্ত্রীর মুখে:
এই সব ভাবনায় ডুবে কবির গলিতে পড়ি ঢুকে।
এই পথে কোনওখানে কবির দুঃখী-স্ত্রী ফেরিওয়ালাকে ডাকেন,
এই পথে কোনওখানে কবি সমরেশ দেবনাথ থাকেন।
অনেক তো হল থাকা, আর কত থাকাথাকি;
এ'বার যাবার পথে কবিকেও নেব সাথে ডাকি?
কবিকে জানি না আমি, হয়তো বা নিতান্তই অতি সাধারণ,
ব্যবসায়ী-কবি যারা, হয়তো বা মোটে নন তাদের মতন,
আরও কত কবি যারা চড়েছেন মার্গীয় তাজী ঘোড়ায়,
সমঝদার যাহাদের বউরাও ইর্ষাতুর বাকিদের মগজ পোড়ায়,
সুফিবাদ-উত্তরবাদ-বিনির্মাণবাদ শেষে-
যেইখানে কামনা তাহাদের স্বেদে এসে মেশে,
সেই ভীড়ে পায় নাই ঠাঁই, হয়তো এ কবি সমরেশ,
উন্মাদ-উন্মার্গ নিয়ে খোঁজে তবু কবিতার দেশ।
নগদ কিছুই নাই, বাকি যা কিছু, তারও দেখো কি যে মহা ঘোর,
রঙিন-বুদ্বুদবাসী কবি আজও কোন কল্পনায় আকণ্ঠ বিভোর।
অনেক তো হল থাকা, আর কত থাকাথাকি,
এ'বার যাবার পথে কবিকেও সাথে নেব ডাকি?
"সমরেশ, চলুন তবে, থাকা শেষে যাই?"
কড়া নেড়ে কবি-গৃহে কোনও দিন যদিবা শুধাই,
"উনিতো বাড়িতে নেই, কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন-"
দরোজা খুলেই হয়তো বলবেন কবি-গৃহবাসী লক্ষী-ঠাকরুন।
"নেই তবে! এই পথে সমরেশও যান!" ভেবে
যাবো ফের ভিন্নদিন, যেই পথে জমে থাকে কবি-স্ত্রীর অভিমান!
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে আগস্ট, ২০০৯ রাত ১:০৯