লূত আঃ এর উম্মতরা যখন ব্যাবিচারে মাত্রাজ্ঞান খুইয়ে প্রকাশ্যে সমকাম শুরু করে দিল ঠিক তখনি খোদার গজবে লুত আ: এর নগরি উল্টে পাল্টে ধ্বংশ করে দিলেন আর সেখানে তৈরী হল ডেথ সী যেখানে এখন কোন প্রানি বাচতে পারে না। এটা ধর্মিও ব্যাথা। বৈজ্ঞানিক ব্যাখাটা কি তা আমরা সবাই মোটামুটি ভাবে জানি। মুসলিম রাষ্ট্রগুলিতে যা যা ঘটছে তাকি আল্লাহ দেখছেন না। দুবাইকে মুসলিম বিশ্বের খানকিপাড়া বললে মনে হয় অতিশয় উক্তি হবে না। পুরা মিডিল ইষ্টে একটি ভাল মানুষ আছে কি না সন্দহ। পাকিস্তান, আফগানিস্থান, সুদানে নারীদের ধর্ষন করে পুড়িয়ে মারছে কই এখনো ওখানে একটি ডেথ সীর দেখা পাচ্ছি না কেন? সমকাম, সহবাস ও ইনকাষ্টের দৌড়াত্বে ইউরোপ আমিরিকা, যুক্তরাজ্যে বিবাহ প্রথাটাই বিলুপ্ত হতে বসেছে। ওদের জন্মহার শুন্যের নীচে নেমে এসেছে। তাও সম্ভাবত সমকামের মত নেক্কারজনক কৃতকর্মের জন্যেই। আগে রেডিও খুললোই শোনা যেত জন্মনিয়ন্ত্রনের জন্য হোগা মারি(মায়া বড়ি)। এখন আর রেডিও শোনা হয় না। টিভি দেখেই সময় কাটাই। যদিও বাংলাদেশ টিভি দেখি না। ভারতীয় টিভির সিরিয়াল গুলি দেখতে দেখতে বিরক্ত বোধ করছি। তবে এটা স্বীকার করতে অসুবিধা নেই। ওদের টিভি গুলোতে দুঃখবোধের বিন্দুমাত্র লেশ নেই। শুধু আনন্দ করুণ। ক্লাসিক নাটকের দিন বুঝি শেষ। এখন যা যা হচ্ছে সেগুলি বাস্তবের পরিপন্থি। মানুষের আবেগ নিয়ে খেলা করাই যেন নাট্যকারদের প্রধান কাজ হয়ে দাড়িয়েছে। সমকামের বারবারন্ত না থাকলেও বাংলাদেশের চট্টগ্রামে একটি ডেখ সি হলেও হতে পারতো। কই চট্টগ্রামে তো ডেথ সীর দেখা পাচ্ছি না। কাল যদি নিউজ হেড লাইনে দেখি যুক্তরাষ্ট্র ডেথ সিতে রুপন্তরিত হয়েছে তাহলে আমি কিন্তু আর্ষ্চায্য হবো না। যুক্তরাষ্ট্রের বিলুপ্তি ঘটলে পৃখিবী হয়তো আরো কিছুদিন বেশী টিকে থাকবে। তাই মাঝে মাঝে মনে হয় আল্লাহ তখন হয়তো ছিল তাই অন্যায়ের সাজা সরাসরি প্রয়োগ করতেন এখন আল্লাহ অস্তিত্ব সংকটে পতিত হয়েছেন। সমকাম কি সুখের না অসুখের নাম তাই ভেবে ঠিক করতে পারছি না। জন্মনিয়ন্ত্রনে সমকামের ভুমিকা অস্বীকার করার উপায় নেই। সরকার এদিকটা ভেবে দেখলেও দেখতে পারেন। সমকামে উৎসাহিত করতে পারলে আমাদের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা রোধ করা সম্ভব হত। আপনারা কি বলেন।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:১৮