নির্যাতন , নিপীড়ন বা ধর্ষনের কারন বেপর্দা , এমন মন্তব্য করা মানে পরোক্ষ ভাবে অপরাধ ও অপরাধীকে সমর্থন করা ।
অন্যায় কারী আর অন্যায় সমর্থন কারী সমান অপরাধী ( আল- কোরআন )
-----------------------------------------------------------------------------------
দুধের শিশু, এমনকি মৃত লাশ ধর্ষণের নজিরও মানব সমাজে আছে ।
শিশু কিংবা লাশকে পর্দা করার কথা নিশ্চয়ই কোথাও বলা হয়নি ?
তাহলে এদের অপরাধ কি ?
ধর্ষণ , নির্যাতন বা নিপীড়ন কারীরা কোন মসজিদের ইমাম বা কোথাকার ছাত্র সেটা কথা নয় , বিষয় হচ্ছে অপরাধ । কোন আযুহাতেই আপরাধীর পক্ষ নেয়া যায় না ।
আপরাধকে আরাল করতে আর অপরাধীকে বাচাতে আমরা পবিত্র ধর্ম ইসলাম এর অপব্যখ্যা করি ।
ইসলাম ধর্মের মুল ভিত্তি আল- কোরআন ও আল - হাদিসের কোথাও কি বলা হয়েছে যে কারো পেট বুক দেখা গেলেই তাকে ধরে ধর্ষণ কর ?নির্যাতন , নিপীড়ন কর ? অবশ্যই বলা নেই ।
যারা এইসব বলে আমার পবিত্র ধর্ম ইসলামকে কুলসিত করার চেষ্টা করছে আমি তাদের প্রতি ঘৃণা পোষন করছি । সাথে সাথে এদের বিচার দাবি করি ।
ইসলাম নারী পুরূষ উভয়কেই পর্দা করার কঠিন নির্দেশ দিয়েছে । আমরা মুসলমান তাই আমাদের আবশ্যই এই নির্দেশ মানা ফরজ ।মুসলিম নারী -পুরূষ উভয়কেই এই ব্যপারে শতভাগ সচেতন হতে হবে ও মানতেই হবে ।
না মানলে ইহকাল ও পরকালে কি কি সাজা হবে তার ও বিশদ বর্ণনা দেয়া আছে পবিত্র গ্রন্থ আল- কোরআন ও আল - হাদিসে ।
সেখানে কোথাও এমন নির্দেশনা নাই যে , বেপর্দা হলে নির্যাতন বা নিপীড়ন কর ( নাউযুবিল্লা ) ।
ইসলাম নারী তথা মা, মেয়ে ও বোনের সম্মান রক্ষা করার কঠিন নির্দেশনা দিয়েছেন ।
মাকে দিয়েছেন সবচেয়ে সম্মানিত স্থান । সন্তানের জান্নাত মায়ের পায়ের নিচে ।
নির্যাতন , নিপীড়ন ও ধর্ষণ কারী ধর্মেরও শত্রু,সমাজেরও শত্রু-এদের কঠিন শাস্তি দেয়া উচিত।
বিভিন্ন সামাজিক,রাষ্ট্রীয়, ধর্মীয় মেলা বা হাজার হাজার নারী পুরূষের মিলনস্থলে নারীরা হয়রানির স্বীকার হয় বা হবার সম্ভাবনার কথা কারো অজানা নয়,তাই মা বোন/নারীদের উচিত এসব স্থানে যাবার আগে নিরাপত্তার বিষয়টা চিন্তা করা আর সরকারের ও উচিত এসব স্থানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
মানুষ যারা তাদের উচিৎ হবে সত্য ও ন্যায়ের পথে থেকে অন্যায়ের প্রতিবাদ করা ।