লড়াইর টপিকঃ
দুই রাণী রাজ্য চালান
প্রাসাদ কিবা রাজপথে;
চাহিবা মাত্র মোরা
জান দিব সাথে সাথে।
এ বলে আমার দেশ
সে বলে আমার;
'হীরা','সোনা' দু'জনাই
জনতা 'তামার'।
দুই রাণী দেশটাকে
করে নিল এজমালী;
ফুলে ফেঁপে বেড়ে উঠে
মোরা রোজ পানি ঢালি।
ভালোবেসে রাণী বলি
সযতনে হৃদয়েতে;
সুচতূর রুই তারা
ভাগাভাগি স্রেফ দু'জনেতে।
কৌশলে দেশটাকে
করে তারা দুইভাগ;
ঘাড়ে চেপে বসে আছে
বিষধর দুই নাগ।
ডানে গেলে জঙ্গি
বামে গেলে নাস্তিক;
দ্বন্দ্ব বাজিয়ে তারা
হাসে বসে খিক্ খিক্।
বারুদে পুড়ছি মোরা
গোটা জাতি জ্বলছে;
পতাকা উঁচিয়ে তারা
সদম্ভে চলছে।
দেশটা কারো বাবার নয়কো
নয়কো কারো স্বামীর;
আমরা হলুম গোলাম হোসেন
তোমরা শাহী আমির।
আর কতকাল এইভাবে তে
সইব মোরা গোলামী;
অনেক হলো,জাগো এবার
ছুটাও তাদের ভন্ডামী।
সয়েছি অনেক আর মোটে নয়
তোমরা দুটি থামো;
ছাড়ো মোদের সোনার বাংলা
ক্ষমো মোদের ক্ষমো।
শায়মাপুঃ
এই রাণী আর সেই রাণী হোক
নারী হবেন রাণী
অতি সত্য মনে রেখো
আমার মহান বাণী!
নারীরাই জগৎ সেরা
যদি না হয় বিশ্বাস
গিয়াসভাইয়ার পোস্টে
তুমি পাবে সেই আশ্বাস!!
তালা মারো সিল করো আর
রক্ষা মোটেও নাই
রাণীই হবেন নেক্সটো থেকে
রাজার জায়গা নাই!!!!!!
টোকাইঃ
হা হা হা
বাণী বলে যেই সেই
কালোত্তির্ণ সেরা
আপুনিটা মহারাণী
আমি হনু তনু ভেড়া।
গিয়াসভায়ার ব্লগে আমি
রোজ একবার ঢুঁ মারি
ফ্লাট করে রোজ এ কথাটাই
গার্লফ্রেন্ডকে গুল ছাড়ি।
সে কি আর বলতে হয়গো
রাজার বাস জাদুঘর
আমরা আছি রাণীর রাজ্যে
রক্ত বেচে দিচ্ছি কর।
(বাঁতে জারা গেহরা,সামঝা কর)
শায়মাপুঃ
এক ছিলো রাজা আর এক ছিলো রাণী
সারাদিন কাটতো টুনটুন টুনি
কত কথা কত গান কত ভালোবাসা
ছিলো কত স্বপ্নের স্নপ্নীল আশা।
গুন গুন দিন কাটে, কাটে মধুরাত
রাজা রাণী ভুলে যায় খেতে রুটিভাত
একদিন ঝড় এলো উথাল পাথাল
প্রাসাদটা ভেঙ্গেচুরে হলো দীন হাল।
আজ রাজা কোথা আছে কোথা আছে রাণী
ডোন্ট আস্ক মি ভাইয়া আই নো জানি!!!!!
টোকাইঃ
''আই নো জানি'' বলেই দিলে
সন্দেহটা জাগিয়ে;
সত্যি বলো কোথায় তাদের
নিলে তুমি ভাগিয়ে?
প্রজারাও গুন গুন
কত সুখে বসবাস;
টাকশালে হীরে-সোনা
মৌবনে মধুচাষ।
কথায় আছে অতি সুখ
কোন কালে সয়না
ঝড় এসে ভেঙ্গে দিল
উড়ে গেলো হীরামন ময়না।
রাজা রাণী কোথা হায়
প্রজা খুঁজে ফিরে;
বলছো না কেনো আজো
পুলিশ ডাকবো নাকি রে।
শায়মাপুঃ
শয়তান রাজাটারে ধরুক একটা পুলিশ
রাণী ঘুমাক মনের সুখে মাথায় দিয়ে বালিশ।
জেইলে গিয়ে রাজা বেটা জুতা করুক পালিশ
সেন্ট্রিটা রোজ ওর নামে দিক হাজার রকম নালিশ।
টোকাইঃ
বাহ বাহ,সূর দেখি তার
পাল্টে গেলো পুরো
রাণী খাবেন চর্বি গোশত
আর রাজা নলা সরু!!!
এইতো বল্লে খানিক আগে
স্বপ্ন সুখের প্রেম
সেকেন্ড বাদেই দিলে পাল্টি
শেম আপু শেম!!!
মোদ্দা কথা মেয়েরা হলো
আসল বর্ণবাদী
মন পাবেনা তাদের কভূ
যতই জীবন সাধি!!!
রাণীর জন্য এক জীবনে
কত কুমারের বিসর্জন;
কাজ ফুরালেই রাণীরা বলে
প্যায়চানা নেহি,ভাই তুম কৌন???
শায়মাপুঃ
এটা তুমি বলছো যাতা!
ভাইয়া তোমার গেছে মাথা
জানো তুমি এ কারণে
পেলে কত কবি?
বড় বড় ছ্যাক খেয়ে সব
তিনারা এখন কবি
বিশ্বকবি হতে আজও
হালের কবি সব
ছ্যাক খেয়েছেন বলেই তারা
কাব্যে করেন রব...
কত গান যে সৃস্টি হলো
রোদে এবং বৃষ্টিতে
সবই তো এই ছ্যাকের কারণ
এবং অনাসৃষ্টিতে।
গান শোননি রুবি রায়ের?
অনেক দিনের পরে
জানতে চাইলো কোথায় যেন
দেখেছিলেম তোরে?
অথচ সেই দুঃখি বালক
খইয়ে জুতোর তলা
গান গেয়েছেন এবং হলেন
প্রেমিক বিশ্ব ভোলা।
সেই গানটাই খ্যাত হলো
হরণ করলো যুবক মন
সবই এই একই খেলা
নারীর ছ্যাকের কারণ!
টোকাইঃ
রবি,কাজী,নাথ,মিত্র
বরেণ্য সব কবি;
প্রেমের আশায় প্রেম সাগরে
খেয়েছিলো খাবি
নারীর ছ্যাকায় কবি হলো
বলছো যেনো কত মজারে;
যে খেয়েছে সে-ই বুঝে
কষ্ট কি তার আহারে।
মজনু,ফরহাদ,রোমিও আরো
ভাঙ্গলো কতো যুবক মন;
তেমনি আরেক বলছি চুপি
নামটি তাহার অভাগা জেসন।
শায়মাপুঃ
প্রেমিকজনার সর্বশেষে
বললে যাহার নাম
সেটা দেখে হাসতে হাসতে
ছুটলো আমার দম।
তুমি দেখি রোমিও থেকে
টেনে আনবে দাদাজান
জুলিয়েটের এই হালেতে
রাখলে না আর মান সন্মান!!!!!!!!!
হাহাহাহাহাহাহাাহাহাহাহাহাহা
টোকাইঃ
এই নাহলে আপনা ভগ্নি
জান্টুশ আপুনি;
ভ্রাতার দুঃখে অট্ট হাসি
আপু নাকি শকূনি? (হুহ)
শায়মাপুঃ
হা হা ভাইয়া আমার
এ অভ্যাসটি এক দিনের নয়
কথায় কথায় ছড়ার বুনন
প্রাকটিসটা করতে হয়।
সেই যে ছিলো প্রতিফলন
কিংবা আমার রফিক ভাই
আরও কত মানুষ এলো
এত কিছুর হিসাব নাই!
সবার সাথে দু এক হাতে
ছড়ার খেলা খেলেছি
খেলতে গিয়েই এমনি ছড়ার
ডানা মিলতে আমি শিখেছি!
টোকাইঃ
হু হু বাবা বুঝলুম
সব হলো প্রেকটিস;
লেকচার না বাড়িয়ে
দাও কিছু টেকটিস।
নিজে হলে কলাকার
সাথে বড় ছড়াকার;
আমি হতে চাইলেই
হেসে বলো গলা কার???
সব খালি নিজে হবে
একা নেবে সব তালি;
আমি যেই বললুম
ওরে বাবা,,,,ছুটে গালি।
এটাই নিয়ম ধুলোর ধরার
চাবুক হাতে জালিম;
মারবে পিঠে সপাং সপাং
চাইলে একটু তালিম।
শায়মাপুঃ
(স্রেফ একখানা ইমো)
টোকাইঃ
ওরে হাসি মধূমাখা
মুক্তদানা ঝরছে;
গ্রীণহাউজ এফেক্ট যেনো
অভিমানী বরফ গলছে।
ঐ হাসিতেই গেলুম বাবা
ভালোবাসি আপুকে;
না জানি কত রাজপুত্তুরের
বুক ভেঙ্গেছে তোর শোকে।
শায়মাপুঃ
এই তো বেশ ছড়াকারের
মতন ছড়া শিখছো
হরদমাদম গাবুস গুবুস
ছড়ার বড়া লিখছো।
ছড়ার বড়ায় একটু পেঁয়াজ
লবন, মরিচ দিয়ে
ধনেপাতার একটু কুচি
ভেজে দেখো খেয়ে।
খুব মজাদার সেই ছড়াটা
তুমিও যেমন খাবে
তোমার বাড়ির অতিথিরাও
সেই মজাটাই পাবে।
টোকাইঃ
''হরদমাদম গাবুস গুবুস ''
হাহা হোহো হিহি;
ছন্দে ছড়ায় কাতুকুতু
ছত্রখানাও শাহী।
নাগো আপু ছড়ার রান্না
হবে নাকো এই ঘটে;
দু'চার ছত্র যাও বা লিখি
তাতেই মোর চাঁদি ফাটে।
লিখালিখি নয়কো সবার
বাম হাতের খেল;
তুমি লিখলে লাখো তালি
আমি খাই পাটকেল।
তাইতো বলি বনের ছাগু
বনের ঘাসই খাও;
লেখাজুখা মোর নহে কাম
সুমায় নষ্ট ফাও।
শায়মাপুঃ
হা হা লিখতে গিয়ে টায়ার্ড হয়ে গেছি তাই আর আজ ছড়ার খেলা খেললাম না ভাইয়ু!
(নিঃশর্ত আত্মসমর্পন)
টোকাইঃ
টায়ার্ড তুমি বলেছিলে
তাই দিয়েছিনু ছুটি;
এক ছুটিতেই উধাও হলে
মাস পেরুলো দুটি!!!
এইভাবে শায়মাপু
লেজ তুলে পালিয়েছে,
তোমারাই বলো সবে
কে হেরেছে,কে জিতেছে।
উৎসর্গঃ
শায়মাপু ছড়ারাণী
ছন্দে গাঁথেন মালা;
ছড়ায় হাতটি ভারী পাকা
হিংসেয় করে জ্বালা।
এক লাইন লিখতে আমার
ঘন্টা লাগে কামলা খাটনি;
তুমি লিখ অবলীলায়
সেকেন্ডে সব ছড়ার গাঁথনি।
আপু তুমি অলরাউন্ডার
সব কিছুতেই আগে;
যতই করি কম্পিটিশান
পাইনা তোমায় বাগে।
কোহিনূর হীরা তুমি
অলটাইম চ্যাম্পিওন;
তুমি হলে মেমসাব
আমি চাপরাশি পিওন।
ছবিঃ
ঘেটে ঘেটে আতিপাতি
নেট থেকে কোনোমতে;
সেঁটে হাঁপ ছড়লুম
দিয়োনাকো গাল তাতে।
শেষকথাঃ
তারিখটা আজ মনে আছে?
ডিসেম্বরের ঊনিশে;
শুভেচ্ছা সকলেরে
৭ম বাংলা ব্লগ দিবসে।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৭:৩৭