এক.
মনের কোনে এক শালিকে
উদাস নয়ন শুন্য ডাকে-
সকাল থেকে মায়ার সাঁঝে,
অচিন সময় ভুলের বাঁকে।
পথের ধারে বটের তলে-
গ্রামের সকল অলস লোকে,
সুখের ঢেঁকুর গল্পছলে
ভাব জমাতো মুগ্ধ সুখে।
এখন সেটা ক্রোধের শ্মশান,
সত্য দাহের চিতার আগুণ!
মিথ্যেরা সব ভিড় করেছে,
প্রসব করে হিংসা দ্বিগুণ।
মায়ের আঁচল ছায়ার অতল,
শোকের মাতম ঘৃণার বহর..
ন্যায়ের ছায়া বিলাপ করে,
দিবা-নিশি,অষ্ট-প্রহর!!
দুই.
সিঁথিতে কাজল মাখি-নয়নে সিঁদুর,
মিথ্যায় শুরু হয়,কোলাহল ভোর।
এখানে রমণী গুলো,নদীর বদলে
দরিয়ার সাধ খোঁজে-শাওয়ারের জলে।
মধুমতি ধানসিঁড়ি ব্যস্ত সড়ক,
সারাক্ষণ বেঁচে থাকা মরুর দোযখ।
পদ্মার বুক ফাটে,জলহীন তৃষ্ণায়,
সে শরীরে রুগ্নতা-হাহাকার বেদনায়।
স্বপ্নের গায়ে তাই-শ্যাওলা আবাদ,
হাইব্রিড ডিজিটাল,প্রতারক ফাঁদ।
বিবেকের লেনদেনে-সস্তার দর,
ভুঁড়ি মোটাতাজা হয়-ক্ষমতার বর।
তিন.
বৃষ্টি নামুক-চোখের পাতায়
রূপের নদী-মনের খাতায়,
হৃদয় ভরা জোছনা ভাসুক
ইচ্ছে নদের শাখায় শাখায়।
লাল সবুজের জঠর জুড়ে
স্বপ্ন বুনুক আশার বীজ,
দুঃশাসনের প্রবল জোয়ার
অনল শিখায় পুড়াক নিজ।
সুখের সাথি,ভালো থেকো-
ভালো থেকো-দুঃখের বীজ,
স্বজন কিম্বা কূজন সবে-
শান্তিতে থাক উপর নীচ।
শান্তিতে থাক রাতের তারা
সব পাওয়া আর বঞ্চিতেরা,
বাংলাদেশের আকাশ ভেঙে
স্বস্তি নামুক বৃষ্টি ধারা!!!
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:০৫