মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বলতে অামাদের রাজনৈতিক সমাজ যা-ই বোঝাক না কেন,অামরা যারা সাধারণের কাতারে তারা শুধু বেচেঁ থাকার মৌলিক উপাধানসমূহকে এবং নিজেদের অধিকারসমূহকে বুঝে থাকি। এ দু'টো মানবাধিকার থেকে অামরা বঞ্চিত। বঞ্চিত হওয়ার পেছনে দেশের সরকার তথা সামগ্রিক পটভূমি যতটা দায়ী তার চেয়েও অধিকতর দায়ী অামাদের স্বভাবগত বাঙালীয়ানা।অামরা অধিকার চাই অাবার সান্তনা পুরস্কার নিতেও সিদ্ধহস্ত। যার ফলে চেঙ্গিস খানরা চেঙ্গিস খান-ই থেকে গেছে এতদিন।
প্রধানমন্ত্রীকে অান্তরিক মোবারকবাদ। সা কা চৌ'র অহমকে চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দেয়ার জন্য। অভদ্রলোক কয়েকদিন পূর্বেও বাঙালীকে অপমান করে যেভাবে কথা বলে ছিল, তা নজীরবিহীন। অামরা ভুল করব যদি এটা মনে করি, উনি মেজাজ হারিয়ে বলেছেন। ওনারা এমন ঔদত্য পূর্ণ অাচরণ সব সময়ই করেছেন। এই ওনারা কারা? যারা জমিদার প্রথা রহিত হওয়ার পরেও জমিদারী ভাবসাব ধারণ করে অলিক তৃপ্তি বোধ করতেন। সা কা চৌ'র মতো অনেকেই অামাদের সমাজে বর্তমান।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য সকল শ্রেনী-পেশার মানুষের ত্যাগ-অাত্মত্যাগ অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে। কিন্তু বর্তমান পুজিবাদী সমাজব্যবস্থায় সকল মানুষের অধিকার কতটা সংরক্ষিত? ভেবে দেখার সময় শেষ। বাস্তবায়নের সময় কি এখনও হয়নি? স্বাধীনতার চেতনাবোধে মানুষে মানুষে 'ভেদাভেদ' ছিল কি? ছিল না। এই একটা উপাদানের অনুপস্থিতি স্বাধীনতা অান্দোলনকে বেগবান করেছে,স্বাধীনতাকে করেছে ত্বরাণ্বিত। অথচ অামাদের পুজিবাদী সমাজ তথা রাষ্ট্র,একটা ভেদাভেদহীন সমাজব্যবস্থা বিনির্মাণে এখনো উদাসীন। তাদের এ সংকীর্ণ মানসিকতা অামাদের দেশের মসৃণ পথচলাকে কি ব্যহত করছে না।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের পদক্ষেপ নিয়ে জাতিকে কালিমা মুক্ত করেছেন।এবার সামনে চলার পালা। যার শুরুহোক এখনই। সকলের সমান অধিকার নিশ্চতকরাসহ মৌলিক গণতান্ত্রিক অধিকারসমূহ সুষ্ঠভাবে বাস্তবায়নের মধ্যদিয়ে।