বিকেলের একফোঁটা একফোঁটা করে উত্তপ্ত দীর্ঘশ্বাস
হতাশার মিসাইলে লক্ষ্যবস্তু হয়ে শেষ রক্ত বিন্দুটুকু
যখন অবেলার সর্প দংশনের মত করে শেষ হয়ে যায়
সেই রাস্তার শেষ মোড়ে দাড়িয়ে আমি আকাশের পানে চেয়ে থাকি ।
আমি জানি না ৯ লক্ষ লোকের কান্না সমস্বরে এত ভয়ংকর হয়
আমি শুধু জানি তিলত্তিমা নিলুফার রায় আমাকে বিদায় চুম্বন দিয়েছিল
আমি জানি অপ্রতিরোধ্য বেলায়েত পা হারিয়েও দৌড়িয়েছিল
আমার কষ্টটুকু পতাকার লাল রংটুকু চুষে নিয়ে নিজেই বড় হতে চায় ।
আমি কে, কতটুকু আফসোসের শেষে এতটুকু শান্তি মেলে, জানি না
সমুদ্রের ঐ শেষ মাথায় রক্তিম সূর্য কি করে পলায়ন করে, তাও জানি না
কবির তিরোধানে কত মানুষ রঙ্গিন জয়োৎসবে নিজেদের সঁপে দিতে আসে
সেটাও আমার জানা নেই, কারণ জানার জন্য তো নিজেকে বিসর্জন দিতে হয়
একটা একটা করে এক হাজার আণবিক বোমা আর একটি শান্তিচুক্তি
আমাতেই আমার বড়ত্ব যখন ফুটে উঠে তখন আমি হাসি
অভিলাষী সেই হাসি বিদ্রুপের ন্যায় অসহায়ের কান ছিন্নভিন্ন করে দেয়
আমি তাকাই, আমি কাঁদি, পাগলের ন্যায় সেই কান্না অনেকটাই তুচ্ছ ।
তুমি যদি আমাকে খুঁজে পাও কোন এক অমানিশা কুয়াশার ভিতরে
নয়তো বিশাল বিশাল পাহাড়ের খাঁজে, যেখানে যেতেই ভয় করে
নয়তো সেই অমানুষগুলোর ভিড়ের ভিতর যেখানে বুনো উল্লাস হয়
তবে আমাকেই বলে দিও, আমি তো নিজেকেই হারিয়ে খুঁজছি সেই কবে থেকে ।