গত রমজান মাস, আমরা ২ বন্ধু ১ সাথে গেলাম সিলেটের ১ মসজিদে তাব্লিগে। আমরা শাবিপ্রবিতে বিবিএ পড়ি। সাথে ছিল আমাদের ভার্সিটির ( শা০বি০প্র০বি) জামাত। আমার বন্ধু আমার তুলনায় অনেক বেশি বড়লোক, তাই বলে আমি আবার ছোটলোক নয় , বলতে পারেন আমি মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে। অনেকে মনে করেন তাবলিগে গেলে মানুষ টিক মত খাওয়া দাওয়া করতে পারেনা, আসলে আমার মতে কথাটা ভুল। তাবলিগে গেলে আমার খাওয়ার রুচি নরমাল বাসা থেকে বেড়ে যায়, কারন আল্লাহ তা'আলার রহমত আছে । আমার বন্ধুটার খাওয়া দাওয়ার মাঝে এই জন্য কোনো অসুবিধা হয় নি। সে খুব ভাল ভাবেই তার ৪ দিনের সফর কাটিয়েছিল। রীতিমত আমিও বাসায় বেক করলাম সে ও করলো। মাত্র কয়েকদিন পর দিলো মেডিকেল এডমিশন এর রিজাল্ট । আমি তো চান্স পাইনি , আমার বন্ধু টাও চান্স পায় নি, পরে ভারসিটি ভর্তি পরিক্ষা (সাভজেক্ট চেঞ্জ করার জন্য) আবার দিয়ে ও চান্স পায় নি। আমি আমার দিল্কে ফিটিং করেছি এই ভাবে যে "আল্লাহ যা করেন ভালোর জন্য করেন" । কিন্তু বন্ধুটা এখন চান্স না পাওয়ার দুঃখ মিটায় আল্লাহর সাথে।এতো ইবাদাত করার পর ও কেন আল্লাহ মেডিকেল এ চান্স দিলো না। সে প্রচুর পড়ালেখা করেছিল এবং শেষে তাব্লিগে সময় লাগানোর ফলে ওর কনফিডেন্স ছিলো চান্স পাওয়ার। কিন্তু ভর্তি পরিক্ষায় লাক জিনিস্টার ও দরকার আছে। তার লাক ও ফেভার করে নি , তাই এখন সে নাস্তিকতার চরম পর্যায়ে চলে গেছে। কি সব আজে বাজে বলে আল্লাহর নামে, ( নাউজুবিল্লাহ) আমার অই সকল ওয়ারড গুলা মুখে আনতে গাঁ শিউরে উঠছে। আমি তাকে বুজালাম , দেখ , তর এবাদাতের মাঝে ত্রুটি থাকতে পারে। এই জন্য আল্লাহর সাথে বেয়াদবি কথা বার্তা কইস না !!! নাউজুবিল্লাহ।আমি ইছা করলে ফেইসবুকে তার লেখা লিঙ্ক গুলা এখানে দিতে পারতাম ,কিন্তু দিবোনা। আমার এখন কাজ হলো তাকে দ্বিনের রাস্তায় ফিরিয়ে নিয়ে আসা। আমি ১ চিল্লা অর্থাৎ ৪০ দিনের তাবলিগের সাথী হয়ে কি তাকে ফিরিয়ে আনতে পারবনা?? আমি ওকে ফিরিয়ে আনবো ইনশাল্লাহ,
ইট হেজ বিকাম এ চেলেঞ্জ ফর মি! আপনারা আমার বন্ধুর হেদায়াতের জন্য আল্লাহর কাছে দুয়া করবেন এবং আমার জন্য ও দুয়া করবেন যাতে করে আমি তাকে আবার আল্লাহর রাস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে আসতে পারি।
আর সব সময় একটা কথা মনে রাখবেন, সব চেয়ে ক্লোজেস্ট জিনিস হলো "মৃত্যু"
মৃত্যুর ভয় আপনার দিলের মধ্যে রাখেন, আখেরাতে বিশ্বাস করেন, পাপ আপনার থেকে দূরে থাকবে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।





