somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মা রে নিয়া ছড়া : কিছু আগলা প্যাচাল

২০ শে জুন, ২০১০ রাত ৮:১৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

২০০৪ সালের এক রাতে আমার ঘুম আসতেছিলো না। এইটা কোনো ঘটনা না।
ঘটনা হইলো, কেন আসতেছিলো না?

আজাদ গ্রুপ বা অন্য কোনো কোম্পানি একটা প্রতিযোগিতার আয়োজন করছিলো। বিষয়: মা দিবস উপলক্ষে ৮ লাইনের একখান ছড়া লেখতে হইবো। চিন্তা করলাম, ওক্কে, লিখা ফেলাই একটা; চান্সে যদি কিছু টেকা-পয়সা পাওয়া যায়। তো মাথার ভিতর ছোট কৈরা একটা লাইন আইসা পরলো, “যখন তুমি থাকবে না, মা”। ঠিক করলাম, কালকে লেইখা ফেলামু।

রাত ১ টার দিকে গেলাম ঘুমাইতে; শুইয়া শুইয়া মাথার ভিতর ওই প্রথম লাইনের সাথে তাল মিলাইয়া আরো ৪/৫ টা লাইন আইসা পরলো। মগজরে যত কই “ঘুমা !”; মগজ তত ছড়া প্রডাকশনে মন দেয়। এই করতে করতে বাজলো “পৌনে ২ টা”। মেজাজ পুরা বিলা হইয়া গেলো। ছড়ার ***রে ***।
বুঝলাম, এই মস্তিস্ক-সন্তান(Brainchild) রে ডেলিভারি(?) না দেওন পর্যন্ত শান্তি নাই। শোয়া থিকা উইঠা লেখা শুরু কইরা দিলাম। লেখতে লেখতে লাইন সংখ্যা ৩৫-৪০ পার হইলো।

হঠাৎ মনে হইলো, আইচ্ছা, আমিও তো আগে মরতে পারি; বেস্ট-কেসে একসাথেও তো মরতে পারি (If...else if...else ব্লকের মতো) ;)
সো এই ব্যপারেও তো একটা দিক-নির্দেশনা দেওয়া লাগে। নইলে কেমন একটা আধা-খ্যাচড়া ভাব থাকা যাইবো। মস্তিস্ক-সন্তান লম্বা হইতে লাগলো; আমি “নীরব-দর্শকের” মতো “লে”খতে লাগলাম :(
লাইন সংখ্যা ৭০ এর কোঠা ছাড়ল। ছোটখাটো কিছু এদিক সেদিক এডিট দিলাম।

ফাইনালি যখন নিজে একবার পুরাডা পরলাম, নিজের চোখেই পানি আইসা পরলো :’( । তখন ডিসিশন নিলাম, নাহ্, এই লেখা প্রতিযোগিতায় পাঠাইলে মা-রে ছোট করা হইবো। প্রতিযোগিতা বাদ।
আবার চিন্তা করলাম, আমার চোখেই পানি আইসা পরছে, মা তো অবশ্যই কান্না কাটি করবো। সো মা-রেও এখন দেখামু না। একটা অকেশন আসুক। তখন একটা সবাইরে স্পেশালি মা-রে একটা চমক দেওন যাইবো। এইজন্য কাউরেই পড়তে দিলাম না।
আমি আড়াইটা বা তিনটার দিকে ঘুম গেলাম। আর শেষ রাতে জন্ম হওয়া আমার মস্তিস্ক-সন্তান ভুমিষ্ট হওয়ার পর-পরই প্যাড এর ভিতর চাপা পড়ল :(

২০১০ এ একটা বিশেষ কারণে আমার সমস্ত স্থাবর-অস্থাবর কাগজ-পত্র scan করে ডিজিটাল করায় এই ছড়াটাও কম্পিউটারে চলে আসলো। জুন মাসে এইটা Google Transliterate দিয়া খুব তাড়াতাড়ি কম্পোজ কইরা ফেললাম; এই লেখাটা যখন লেখতাছি, তখনো মা-য় ছড়া দেখেনাই। ছয় বচ্ছর পাঠকের মুখ না দেখা সন্তান আমার আইজ Internet এর মুখ দেখবো :)

ছড়াটার লিংক এইখানে

ঠিক করছি, মা রে আইজ একটা প্রিন্ট করা কপি পাঠামু ।

-- কেমন সুর
-------------------------------------------------------------
কেউ যদি এইটা পইরা নিজের মা রে দিতে চান, তবে এই লিঙ্ক থিকা PDF ডাউনলোডাইয়া প্রিন্ট কইরা দিতে পারেন।

০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বিসিএস দিতে না পেরে রাস্তায় গড়াগড়ি যুবকের

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৫৫

আমাদের দেশে সরকারি চাকরি কে বেশ সম্মান দেওয়া হয়। আমি যদি কোটি টাকার মালিক হলেও সুন্দরী মেয়ের বাপ আমাকে জামাই হিসেবে মেনে নিবে না। কিন্তু সেই বাপ আবার ২০... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। আমের খাট্টা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৪



তাতানো গরমে কাল দুপুরে কাচা আমের খাট্টা দেখে ব্যাপারটা স্বর্গীয় মনে হল । আহা কি স্বাদ তার । অন্যান্য জিনিসের মত কাচা আমের দাম বাড়াতে ভুল করেনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ডাক্তার ডেথঃ হ্যারল্ড শিপম্যান

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:০৪



উপরওয়ালার পরে আমরা আমাদের জীবনের ডাক্তারদের উপর ভরশা করি । যারা অবিশ্বাসী তারা তো এক নম্বরেই ডাক্তারের ভরশা করে । এটা ছাড়া অবশ্য আমাদের আর কোন উপায়ই থাকে না... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ইতং বিতং কিচ্ছার একটা দিন!!!

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:০৩



এলার্ম এর যন্ত্রণায় প্রতিদিন সকালে ঘুম ভাঙ্গে আমার। পুরাপুরি সজাগ হওয়ার আগেই আমার প্রথম কাজ হয় মোবাইলের এলার্ম বন্ধ করা, আর স্ক্রীণে এক ঝলক ব্লগের চেহারা দেখা। পরে কিছু মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কে কাকে বিশ্বাস করবে?

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৯


করোনার সময় এক লোক ৯৯৯ এ ফোন করে সাহায্য চেয়েছিল। খবরটা স্থানীয় চেয়ারম্যানের কানে গেলে ওনি লোকটাকে ধরে এনে পিটিয়েছিলেন। কারণ, ৯৯৯ এ ফোন দেওয়ায় তার সম্মানহানি হয়েছে।

সমাজে এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×