somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

হারিয়ে যাবে ভিড়ে

০৪ ঠা মে, ২০১৭ বিকাল ৫:০৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



"পরমাত্মীয়"

অধ্যাত্মতত্ত্বে তাত্ত্বিক হতে চেয়ে জেনেছি, আত্মা হলো আল্লাহর আদেশ। আত্মা এবং দেহের সমন্বয়ে সত্তা। সত্তায় আত্মা যোগ হলে জীব জীবন্ত হয়, আত্মা বিয়োগ হলে হয় জীবনান্ত। আত্মা অচিন্ত্য এবং অবিনশ্বর। পরমাত্মা এবং পরমাত্মীয়ের সাথে সম্পর্কচ্ছেদ করলে অত্যহিত হয়। আত্মা আমাদের জীবনীশক্তি। আত্মসাধনা এবং কায়সাধনায় সত্তা সংসিদ্ধ হলে দেহান্তে প্রশান্ত আত্মা স্বর্গে প্রত্যাবর্তন করে। তা প্রমাণসিদ্ধ এবং মৃত্যু অবধারিত জেনেও শৌভিকরা বিশ্বাস করে, তিথ্যমৃতযোগে কুমারীর রক্ত পান করলে অমর হতে পারবে। এমন এক শৌভিকের আবির্ভাব আউলিয়ার দেশে হয়েছিল। জাদুবলে মায়াবন বানিয়ে শবসাধনা করতো। ঐন্দ্রজালিক এবং সম্মোহনবিদ্যায় সে পারর্দশী ছিল। তার আহারবিহারে ভক্তরা বিত্রস্ত হলেও সে বিভ্রান্ত হত না। কানাকানি থেকে জানাজানি হলে গুরুমন্ত্র শিখতে যেয়ে যুবকরা নিয়ন্ত্রিত হতো। কোনোএক বৃহস্পতির বারবেলায় সূর্যগ্রহণের পূর্ণগ্রাস শুরু হলে, আকর্ষণশক্তিবিশিষ্ট তেগ কোষ থেকে বার করে শিষ্যদেরে দিকে তাকিয়ে বলল, ‘অবশ্যম্ভাবী, পূর্ণগ্রাসে পূর্বাভাস। আরাধ্যতিথিতে অমরত্ব লাভ করব।’
অপলকদৃষ্টে তার দিকে তাকিয়ে এক শিষ্য স্বগতোক্তি করে, ‘পঞ্চামৃতে অত্বর মুত্যু হয়। কদ্দিন আগে তুই নুন পান্তা খেয়েছিস। সত্বর মৃত্যু স্বাদ আস্বাদ করবে।’
হিংস্রদৃষ্টে তার দিকে তাকিয়ে শৌভিক বলল, ‘আমার সাথে চালবাজি করলে অকালমৃত্যু হবে। তোরা আমার চেলা। গুরুমারা বিদ্যা শিখে আমি দক্ষিণায় গুরুকে মৃত্যু উপহার দিয়েছিলাম। তোদেরকে বশ করে আমি নিরাপৎসু হয়েছি। স্বত্বর অমরত্ব উপভোগ করব। কেউ আমাকে স্পর্শ করতে পারবে না।’
নির্বাক শিষ্যরা ঠায় দাঁড়িয়ে থাকালে শৌভিক চিৎকার করে বলল, ‘যা, নন্দিরগাঁওর নন্দিনীকে নিয়ে আয়। সুন্দরী আজ ষোড়শী হয়েছে। কালক্ষেপে কালান্তর হলে কালান্তক হবে।’
আদিষ্ট শিষ্যরা যখন ভয়ে আড়ষ্ট তখন মৌজার রাখালরা গরু নিয়ে নন্দিরগাঁওর গোঠে যায়। অন্যরা যখন রাখালি করে তখন মাসুম নামের রাখাল বটগাছে হেলান দিয়ে বসে বাঁশি বাজায়। মোহনসুরে সম্মোহিত হয়ে নন্দিরগাঁওর জমিদারের মেয়ে দৌড়ে বেরোলে মা চিৎকার করে ডাকেন, ‘মালীহা, দাঁড়া।’
পিছন ফিরে না তাকিয়ে মালীহা দৌড়ে বটতলে যেয়ে মাসুমের মুখোমুখি হয়ে বলল, ‘তোমার ভালোবাসার জন্য আমি নিরাকুল হয়েছি। বাঁশির সুর আমাকে বশ করেছে। ভালোবেসে আমাকে বিবশ করো।’
মাসুম পিছু হেঁটে হাসার চেষ্ট করে বলল, ‘আমি এক গরুরাখাল। রাখালি করার জন্য গরু নিয়ে গোঠে এসেছি। ঘাস খেয়ে গরুরা তাজা হলে আমার পাতে ভাত পড়বে।’
‘আমাকে ভালোবাসলে গোঠের গরু কিনে দেব।’
এমন সময় শিষ্য অনুশিষ্যরা তাদেরকে আক্রমণ করে এবং আঁধীঝড়ে পরিবেশ বিপর্যস্ত হয়। শিষ্য দৌড়ে যেয়ে মালীহার হাত ধরে মাসুমের দিকে তাকিয়ে ব্যস্তকণ্ঠে বলল, ‘দৌড়ে দিগন্তরপুর যা, চাইলেও আমি তোকে সাহায্য করতে পারব না।’
শিষ্যের দিকে তাকিয়ে মালীহা বলল, ‘তাকে সাহায্য করো নইলে অমঙ্গল হবে।’
‘আমি এখন নিয়ন্ত্রিত এবং ওরা আড়ে-হাতে লেগেছে। তোড়-জোড়ে লাভ হবে না। আড়ে-দিঘে দৌড়ালে আমাকেও মেরে ফেলবে। আমাকে বিশ্বাস কর, আমি তোকে সত্যি ভালোবাসি। তোর ভালোবাসার জন্য আমি ভেলকিবাজ হয়েছি। এখন জোরাজুরি করলে অঙ্গল হবে।’

২৫ বছরে এই উপন্যাস শেষ করে নিজে প্রকাশ করেছি। আজ দেখতে চাই ২৫ বছরে কী করলাম?

বইর প্রচ্ছদ বিজ্ঞাপন হলে এবার হয়তো আমাকে ব্যান করা হবে।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা মে, ২০১৭ বিকাল ৫:০৫
৪১টি মন্তব্য ৪১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

লিখেছেন কিরকুট, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪




ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।


দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুখ গুজে রাখা সুশীল সমাজের তরে ,,,,,,,,

লিখেছেন ডঃ এম এ আলী, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০৫


দুর্যোগ যখন নামে আকাশে বাতাশে আগুনের ধোঁয়া জমে
রাস্তা জুড়ে কখনো নীরবতা কখনো উত্তাল প্রতিবাদের ঢেউ
এই শহরের শিক্ষিত হৃদয়গুলো কি তখনও নিশ্চুপ থাকে
নাকি জ্বলে ওঠে তাদের চোখের ভেতর নাগরিক বজ্র
কেউ কেও... ...বাকিটুকু পড়ুন

নজরুল পরিবারের প্রশ্ন: উগ্রবাদী হাদির কবর নজরুলের পাশে কেন?

লিখেছেন মাথা পাগলা, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:০১



প্রায় অর্ধশতাব্দী আগে কাজী নজরুল ইসলামের দেহ সমাধিস্থ করা হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদের পাশে। শনিবার বাংলাদেশের স্থানীয় সময় বিকেল ৪টে নাগাদ সেখানেই দাফন করা হল ভারতবিদ্বেষী বলে পরিচিত ইনকিলাব মঞ্চের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির আসল হত্যাকারি জামাত শিবির কেন আলোচনার বাহিরে?

লিখেছেন এ আর ১৫, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৫৪


গত মাসের শেষের দিকে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পারওয়ারের ছেলে সালমান, উসমান হাদির সঙ্গে খু*নি ফয়সালের পরিচয় করিয়ে দেন। সেই সময় হাদিকে আশ্বস্ত করা হয়—নির্বাচন পরিচালনা ও ক্যাম্পেইনে তারা... ...বাকিটুকু পড়ুন

দিপুকে হত্যা ও পোড়ানো বনাম তৌহিদী জনতা!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:০৫


পাইওনিয়ার নিটওয়্যারস বিডি লিমিটেড (Pioneer Knitwears (BD) Ltd.) হলো বাদশা গ্রুপের (Badsha Group) একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান। বাদশা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান কর্ণধার হলেন জনাব বাদশা মিয়া, যিনি একইসাথে এই... ...বাকিটুকু পড়ুন

×