somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

“চাক্ষুষ সাক্ষী প্রমাণ”

১২ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৫:২৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



আমি বাস্তবিক চিন্তা করি, বাস্তবতা দেখে আমি শিখি এবং সাবধান হই।
নেংটা হয়ে নাচানাচি করা যায়, বাস্তবিক হতে হলে সাবধান হতে হয়। বাস্তবে কী হচ্ছে তা থেকে শিখতে হয়। আমরা মানুষ। অন্য সব জীবের মতন আমরা জীব। মানুষের বিবেক আছে, আছে বুদ্ধি। অনেকের বিবেক বিকৃত হয়। মানুষের মাঝে অনেক নির্বোধ আছে। সবচাইতে ভয়ঙ্কর বিষয় হলো, অদৃশ্য শত্রু। যে শত্রুকে আমরা দেখি না, এমনকি অনুভবও করতে পারি না। আমাদের দেহে ষড়রিপু আছে। ষড়রিপুকে অদৃশ্য শত্রু নিয়ন্ত্রণ করে, যা আমরা ঘুণাক্ষরেও টের পাই না। হাঁইহুই হুজুগে কোনো কাজ হয়নি এবং হবেও না। আত্মশুদ্ধি করতে হলে ষড়রিপুকে নিয়ন্ত্রণ করতে হয়।
“তুই আমার ধর্মের মা আমারে ছাইড়া দে।” এই সংলাপ আমি একদিন বলেছিলাম। খুলে বললে আপনাদের বুঝতে সুবিধা হবে। আমি তখন ক্যাবিং করতাম। দিনের ১ টায় চার নারী আমার গাড়িতে উঠেছে তাদেরকে ওয়েস্টএন্ড পৌঁছে দিতে হবে। আমি চালাতে শুরু করলে হঠাৎ একজন আমাকে পিছন থেকে জড়ি ধরে খিলখিল করে হাসতে শুরু করে। আমি চিৎকার করি এবং পলকে রেডিও হাতে লয়ে বলেছিলাম, এই বেটা, ইতাইনতে আমারে হাতাইলার।
কন্ট্রলার খিলখিল করে হেসে বলেছিল, মাইনষে পায়না আর তুমি চিল্লায়রায়নি?
তার কথার জবাব না দিয়ে হেঁকে বলেছিলাম, আমার গায়ে আবার হাত দিলে গাড়ি থেকে বেরিয়ে চেঁচামেচি শুরু করব।
বুড়ির ঘরের বুড়ি খিলখিল করে হেসে বলেছিল, এটা লন্ডন শহর। তোর কী হয়েছে?
আমি তখন দাঁত কটমট করে বলেছিলাম, আমার বউয়ে জানলে কল্লা কেটে ফেলবে। এখন গাড়ি থেকে বেরিয়ে যা।
অন্য নারীরা সবিনয়ে বলেছিল, দয়াকরে আমাদেরকে পৌঁছে দাও আর ঢং করবে না।
তা নাকি ঢং ছিল?
এখন আমার প্রশ্ন, বুড়ি না হয়ে আমি জড়িয়ে ধরলে কী হতো?
দেশে আসলে কী হচ্ছে তা বুঝতে হলে কয়েক হায়ন যাবে। দেশে এখন হুজুগ এবং হিড়িক চলছে।
আমাদেরকে সাবধান হতে হবে। একসাথে স্কুল কলেজে লেখাপড়া এবং কাজ করা এক বিষয়। রাতের বেলা একসাথে আড্ডাবাজি এবং ক্লাবিং অন্য বিষয়।
মনে রাখবে, ক্রাক কোকের অনেক দাম। কিছু পেতে হলে কিছু দিতে হয়। ক্লাবিং করে থানায় যেয়ে ধর্ষণের মামলা করলে থানার লোকরা হাসাহাসি করবেই। কারণ, ষড়রিপুর এক রিপুর নাম কাম!

মারামারি করলে নাক ফাটে দাঁত ভাঙে। ধর্ষিত হলে একটা জীবন নষ্ট হয়। বিকৃত বিবেকের মানুষ অসহায়ের সর্বনাশ করে। আবালবৃদ্ধবনিতারা অসহায়। মানা না মানা তা অন্য বিষয়। আবালবৃদ্ধবনিতার নিরাপত্তার জন্য আইন, কিন্তু আজকাল অপরাধিরা আইন ব্যবহার করে। সমাজ সবার জন্য হলেও সুশীলরা হলো সমাজের হর্তাকর্তা। সু শীল শব্দের অর্থ হলো সুন্দর ক্ষুর।
ধর্ষিতরা মামলা করতে গেলে চাক্ষুষ সাক্ষী প্রমাণ দিতে হয়। কেমনে কী হয়েছে তা বিশ্লেষণ করতে হয়।
আপনাদের মত আমিও চিৎকার করে বলতে চাই, ধর্ষণের বিশ্লেষণ কেমনে করবে? আমিও ধর্ষককে হত্যা করতে চাই। কিন্তু সমস্যা হলো, ধর্ষকের চাক্ষুষ সাক্ষী প্রমাণ পাওয়া যায় না, কিন্তু হত্যার চাক্ষুষ সাক্ষী প্রমাণ পাওয়া যায়।

অবশেষে বলতে চাই, আমার বোন, ভাগনি, মেয়ে নাতনি আছে। আমার মেয়ে সপ্তায় দুইদিন কাজ করে। আমি কাজ ছেড়ে মেয়েকে এগিয়ে আনার জন্য যাই। আধুনিকতায় আমি বিশ্বাস করি না। আমি আল্লাহে বিশ্বাস করি।

আমাকে বকাবকি করে কোনো লাভ হবে না, সাবধান হলে সবার মঙ্গল হবে।

সর্বশেষ এডিট : ১২ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৫:২৫
৩৯টি মন্তব্য ৩৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সবুজের মাঝে বড় হলেন, বাচ্চার জন্যে সবুজ রাখবেন না?

লিখেছেন অপলক , ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:১৮

যাদের বয়স ৩০এর বেশি, তারা যতনা সবুজ গাছপালা দেখেছে শৈশবে, তার ৫ বছরের কম বয়সী শিশুও ১০% সবুজ দেখেনা। এটা বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা।



নব্বয়ের দশকে দেশের বনভূমি ছিল ১৬... ...বাকিটুকু পড়ুন

আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে লীগ আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে জামাত

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৪৬


বাংলাদেশে রাজনৈতিক ছদ্মবেশের প্রথম কারিগর জামাত-শিবির। নিরাপত্তার অজুহাতে উনারা এটি করে থাকেন। আইনী কোন বাঁধা নেই এতে,তবে নৈতিক ব্যাপারটা তো অবশ্যই থাকে, রাজনৈতিক সংহিতার কারণেই এটি বেশি হয়ে থাকে। বাংলাদেশে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৪৩

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

চা বাগানের ছবি কৃতজ্ঞতা: http://www.peakpx.com এর প্রতি।

আমাদের সময় একাডেমিক পড়াশোনার একটা আলাদা বৈশিষ্ট্য ছিল। চয়নিকা বইয়ের গল্পগুলো বেশ আনন্দদায়ক ছিল। যেমন, চাষীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×