somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

চটকদার বিজ্ঞাপনে উচ্চ শিক্ষার নামে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতারণাঃ বিভ্রান্ত না হয়ে বিস্তারিত খোঁজ নিয়ে ভর্তি হো্ন

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:০৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


উচ্চ শিক্ষার চাহিদা পূরণ সম্প্রসারণ ও সুলভকরণের মাধ্যমে একটি দক্ষ জনগোষ্ঠী সৃষ্টির মহৎ উদ্দেশ্যে নিয়ে ১৯৯২ সালে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ জারি করা হয়। খুলে যায় উচ্চ শিক্ষার অবারিত দ্বার। কিন্তু শুধুমাত্র জবাবদিহিতা ও নিয়মিত পর্যবেক্ষণ কর্মসূচীর অভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠ বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে লেখাপড়ার কাংখিত মান অর্জিত হচ্ছেনা। প্রায় পতিবছরই ভর্তির মওসুম এলে নামকরা সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রীরা ভর্তির জন্য ভীড় করে। যারা সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পায়না তাদের অনেক ভীড় জমায় বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে। তবে এইসব বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোনটি কলেজ কোনটি বিশ্ববিদ্যালয় তা বোঝার উপায় নাই। কখনো সাইনবোর্ড দেখেও বিশ্ববিদ্যালয় চিনে নিতে ভুল হয়। বেসরকারী এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেকগুলোই রয়েছে নগরীর ব্যস্ততম বাণিজ্যিক এলাকা ও আবাসিক এলাকায়। কোন কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবন সাধারণ মানের স্কুলের চেয়েও শ্রীহীন। বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য অপরিহায লাইব্রেরী, খেলার মাঠ, বিজ্ঞানাগারসহ অবকাঠামোগত আধুনিক সুযোগ সুবিধা নেই অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে।


হাত বাড়ালেই মিলবে বিশ্ববিদ্যালয় শুধু মিলবেনা আধুনিক সুযোগ সুবিধা ও পড়া লেখার সুস্থ্য পরিবেশ। নগরীর ব্যস্ততম এলাকায় যত্রতত্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার নিয়ম না থাকলেও ধানমন্ডি, লালমাটিয়া, মালিবাগ, গুলশান, উত্তরারমত ব্যস্ততম এলাকায় অপরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠছে এই সকল বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়। ফলে এলাকার আবাসিক চরিত্রও দিনেদিনে পাল্টে যাাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) এর তথ্য অনুযায়ী ৫১টি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে শুধুমাত্র ২টি স্থায়ী ক্যাম্পাসে গমন করেছে আর ২টির মেয়াদ ৪ বছর পূর্ণ হয়েছে।


বাকী ৪৭টিই আইণ লংঘন করে চলছে। ফলে এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের আর পরিচালনার বৈধতা নেই। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে স্থায়ী ক্যাম্পাসে গমন ব্যর্থতাই নয়, আরও বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। শিক্ষার নামে সনদ বিক্রি, গলাকাটা টিউশন ফি আদায়, শিক্ষকদেও প্রতিশ্র“ত বেতন-ভাতাদি না দেওয়া, আউটার ক্যাম্পাস খোলা, শিক্ষার্থীদেও ভর্তি করে শিক্ষাদান না করেই সনদ প্রদানসহ অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে। স¤প্রতি দশটি সুনির্দিষ্ট শর্ত পূরণ সাপেক্ষে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিধান রেখে জাতীয় সংসদে বহুল আলোচিত ও প্রতীক্ষিত বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় বিল ২০১০ পাস হয়েছে।


পাস হওয়া এ বিল অনুসারে স্থায়ীভাবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য ঢাকা ও চট্রগ্রাম মেট্্েরাপলিটন এলাকায় কমপক্ষে ১ একর এবং অন্যন্য এলাকায় কমপক্ষে ২ একর জায়গা থাকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এই বিলে ৫৩টি ধারা রয়েছে। বিলের ৩৯ ধারায় বলা হয়েছে সরকারের পূর্বানুমোদন ব্যতীত বাংলাদেশের কোন স্থানে বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে স্নাতক, স্নাতকোত্তর, ডিপ্লোমা বা সার্টিফিকোট কোর্স পরিচালনা বা কোন ডিগ্রি প্রদান করা যাবেনা। বিলের ৮৯ নম্বর ধারায় বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় আইন ভঙ্গের শাস্তি সম্পর্কে বলা হয়েছে , বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কোন ব্যক্তি বিধি ভংগ করলে অনূর্ধ্ব ৫ বছর কারাদন্ড অথবা ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত অর্থদন্ড বা উভয়দন্ডে দন্ডিত হতে পারেন।


উচ্চ শিক্ষায় আগ্রহী সকল শিক্ষার্থীকে চটকদার বিজ্ঞাপনে বিভ্রান্ত না হয়ে বিস্তারিত খোঁজ নিয়ে ভর্তি হবার অনুরোধ রইল
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:০৪
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=হিংসা যে পুষো মনে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৫৮


হাদী হাদী করে সবাই- ভালোবাসে হাদীরে,
হিংসায় পুড়ো - কোন গাধা গাধিরে,
জ্বলে পুড়ে ছাই হও, বল হাদী কেডা রে,
হাদী ছিল যোদ্ধা, সাহসী বেডা রে।

কত কও বদনাম, হাদী নাকি জঙ্গি,
ভেংচিয়ে রাগ মুখে,... ...বাকিটুকু পড়ুন

গণমাধ্যম আক্রমণ: হাটে হাঁড়ি ভেঙে দিলেন নূরুল কবীর ও নাহিদ ইসলাম !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:০৫


জুলাই গণঅভ্যুত্থানের রক্তস্নাত পথ পেরিয়ে আমরা যে নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলাম, সাম্প্রতিক মব ভায়োলেন্স এবং গণমাধ্যমের ওপর আক্রমণ সেই স্বপ্নকে এক গভীর সংকটের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। নিউ এজ... ...বাকিটুকু পড়ুন

রিকশাওয়ালাদের দেশে রাজনীতি

লিখেছেন এস.এম. আজাদ রহমান, ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৪৯

রিকশাওয়ালাদের দেশে রাজনীতি

সবাই যখন ওসমান হাদিকে নিয়ে রিকশাওয়ালাদের মহাকাব্য শেয়ার করছে, তখন ভাবলাম—আমার অভিজ্ঞতাটাও দলিল হিসেবে রেখে যাই। ভবিষ্যতে কেউ যদি জানতে চায়, এই দেশটা কীভাবে চলে—তখন কাজে লাগবে।

রিকশায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিএনপিকেই নির্ধারণ করতে হবে তারা কোন পথে হাটবে?

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:০৫




অতি সাম্প্রতিক সময়ে তারেক রহমানের বক্তব্য ও বিএনপির অন্যান্য নেতাদের বক্তব্যের মধ্যে ইদানীং আওয়ামীসুরের অনুরণন পরিলক্ষিত হচ্ছে। বিএনপি এখন জামাতের মধ্যে ৭১ এর অপকর্ম খুঁজে পাচ্ছে! বিএনপি যখন জোট... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় আগ্রাসনবিরোধী বিপ্লবীর মৃত্যু নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৩৭



শরিফ ওসমান হাদি। তার হাদির অবশ্য মৃত্যুভয় ছিল না। তিনি বিভিন্ন সভা-সমাবেশ, আলোচনা ও সাক্ষাৎকারে বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি অনেকবার তার অস্বাভাবিক মৃত্যুর কথা বলেছেন। আওয়ামী ফ্যাসিবাদ ও ভারতবিরোধী... ...বাকিটুকু পড়ুন

×