উচ্চ শিক্ষা লাভের পর সকলের স্বপ্ন থাকে সরকারি একটি চাকুরি করা। যদিও দেশে এখন সরকারি চাকরির চেয়ে অনেক বেশি বেতন ভাতা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান দিয়ে থাকে তারপরও সরকারি চাকুরির সম্মান সমাজে আলাদা ভাবে দেওয়া হয়।সরকারি চাকুরিতে আজ প্রবেশের সবচেয়ে বড় বাধা কোটা পদ্ধতি। যারা কোটা প্রত্যাশী তাদের আমি ছোট করছি না। মুক্তিযোদ্ধা ও প্রতিবন্ধীদের দেখভালের দায়িত্ব যেমন সরকারের তাদের প্রতি নজর রাখার দায়িত্ব আমাদেরও। তাই বলে তাদের কোটা দেওয়ার পক্ষে আমি নই ।তাদের সরকার কোটি টাকার সম্পদ দিয়ে দিক। তাই বলে চাকরি কেন? একজন ছাত্র ছোট বেলা থেকে কোটা দিয়ে স্কুলে ,কলেজে,বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে চাকরি লাভ করলে তাদের মেধার বিকাশ ঘটানো বা চর্চার কোন দরকার পড়ে না, শুধু পাশ নম্বর পেলেই সে সব পাই। একজন কোটা দিয়ে চিকিৎসা বিজ্ঞানে পড়ে কোটা দিয়ে হাসপাতালে চাকুরি পেলে তার দ্বারা উত্তম সেবা আশা করতে পারি না।এতদিন মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের কোটা থাকলেও বর্তমান সরকার নাতি নাতিনিদের জন্য আবার কোটা রেখেছে আপনারা রাজনীতিবিদ আপনাদের চাকুরি করা লাগে না তাই সব পদে কোটা থেকে লোক নিয়োগ দিলেও আপনাদের যায় আসে না । আমরা আমজনতা আমারা এমপি মন্ত্রী হবার আশা করি না তাই আমাদের কাছে ছোট একটি চাকুরি অনেক বড়। তাই আমাদের স্বপ্ন নিয়ে ছিনিমিনি খেলবেন না। আমারা আমাদের মেধার মূল্যায়ন চাই । সরকার উচ্চশিক্ষিতদের চাকুরি দিক, না হলে স্বীকার করুক যে আমাদের দেওয়া সার্টিফিকেট এর কোন মূল্য নাই ।এটা দিয়ে কোন লাভ নেই আমরা তোমাদের মাকাল ফলের মত একটি সারশূণ্য সনদ দিয়েছি। আমি শুধু চাকুরি চাই না ,কারণ সকল বেকারকে চাকুরি দেওয়া সম্ভব নয় ।তাই যোগ্যদের চাকুরি দিয়ে আর বাকীদের স্বল্প সুদে ঋণ দিয়ে ব্যবসা করার সুয়োগ প্রদান করা হোক । আমারা বেকাররা কখনই সংঘটিত নয় তাই স্বাধীনতার এত বছর পরেও কোন বেকার আন্দোলন গড়ে উঠেনি। যে দেশে সামান্য বিষয়ে হরতাল পালন করা হয় সে দেশে এত বেকারের সমস্যা নিয়ে কি একটি মানববন্ধন করা যায় না? আসুন বেকার দলে দলে আন্দোলনের পতাকা তলে, কর্ম আমাদের অধিকার ,দিতে বাধ্য হবে সরকার।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:২৯