একাডেমিক বিষয়ে অনেক বিজি, কিচু লেখার টাইম নাই। তবুও ওয়ামির
View this link
পোস্ট টা পড়ে মনেহলো চারটা কথা বলি, যদি কিচু মনে না করেন,
বাংগালী হিসাবে আমরা একটু বেশি আবেগি। ভালোমন্দ বুঝি না এই আবেগ ই আমদের গরবো, এই আবেগই আমাদের পরিচয়। এই আবেগ না থাকলে আমাদের স্বাধীনতা আসতো না। যাই হোক, আমাদের রক্তে, মজ্জায় যে আবেগ তা মাঝে মধ্যে একটু নিয়ন্ত্রণ হারাবে সেটা অস্বাভাবিক নয়।
স্বাধীনতা উত্তর কতিপয় মুক্তিযুদ্ধাদের অনিয়ন্ত্রিত আবেগ হয়তোবা বঙবন্ধু দ্বারা রাজাকারদের ক্ষমার পথকে সুগম করেছে। আর যদি করে থাকে সেটার পরিনতি স্বাধীনতাপ্রেমী, দেশপ্রেমী জনগন বোধকরি টের পাচ্ছেন। মানুষরুপী হায়েনারা এখন রাজাকার বিরোধিদের চারপায়া বা বেজন্মা বলার সাহসপায়। আমদের অনিয়ন্ত্রিত আবেগ ২৮ অক্টোবরের জন্ম দেয় আর হয়েনাদের আরো সুফিতে পরিনত করে।
ব্লগে সুফিরুপী অনেক হায়েনার বাচ্চা কিলবিল করে। যারা কাভারের নিচের জন্তুটিকে চিনতে পারে তারা প্রায়শই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। কে কিভাবে দেখে জানি না আমার কাছে আমাদের স্বাধিনতা যুদ্ধে একটি বিষয় পরিস্কার হয় সেটা হলো ' মানবতার বিজয় কখনো ধরমের দোহাই দিয়ে আটকানো যায় না' ।
আমি নিজেকে একজন মুসলমান দাবী করি। একজন ভালো মুসলমান হতে না পারলেও তা হবার গাইডলাইন কমবেশি ভালো করেইজানি। ধরমের অমৃত সুধাকে আমি অমৃতই দেখতে চাই। ব্যবসা ভালো হবার জন্য আমি গোয়ালিনির দুধে পানি দিয়ে ভেজাল করার পক্ষে না। পানি যদি দিবে তবে বোতলের গায়ে লিখে দাও ২০% ভেজাল। কেনো ভন্ডামি???? কেনো হিপোক্রেসী? কেনো দুধের পবিত্রতার অবমাননা??
সন্ধ্যাবাতি গংরা ইসলামের যে মিসইন্টার প্রিটেশন করেছে বা করছে সেটা শুধু এক সন্ধ্যাবাতির প্রতিচ্ছবি না এটা একটা আদরশের প্রতিচ্ছবি, এটা সেই মুরখো গোয়ারতুমির প্রতিবিম্ব যার মুল খুজতে গেলে ৭১ এ চলে যেতে হবে........দেখতে পারবেন এদেরই পুরবো পুরুষরা, একই আদরষের বাহকরা ইসলামকে মিসইন্টারপ্রেট করে, ধরমো কে কলংকিত করে, মানবতাকে কবর চাপা দিয়ে সেদিন মাঠে নেমেছিলো পাকিদের পা চাটতে।
আমরা যারা গায়গেরামের মানুষ, যারা সদ্য দোয়ানো খাটি দুধ খাবার স্বাদ পেয়েছি তারা শহুরের ভেজাল দুধ খেয়ে লাইফ চালাতে পারি কিন্তু খাটি দুধের পবিত্রতায় কলংক লেপে বলতে পারবো না সাইদির চাপলাশ দাড়িই ইসলামের আসল ঝান্ডা। আমি বরং পাগলা হয়ে কিছুটা নিয়ন্ত্রণ হারাবো।
আপনারা সুশীলরা হালকা সুশীল হয়ে সাম্যের গান গাইতে থাকেন আমার সমস্যা নাই। মানবতা আমিও দেখতে চাই। রাজাকারদের প্রতি মুজিবের ক্ষমার পরিনতি আজকের জামাতের বাড়ন্ত যৌবন। ব্লগে আপনাদের সুশিলতা হয়তো খুলে দিতে পারে সুযোগের সতব্যবহারে ওত পেতে থাকা কামরুজ্জামান ছাওয়ালদের জিঘাংসার সুগম পথ। আমি বরং মাঝে মধ্যে আবেগের নিয়ন্ত্রিত হারিয়ে বেজন্মা, বা চারপায়া প্রাণী হয়েই থাকি।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ সকাল ১০:৫০