গত দুই তিন ধরে আলোচনার একটি প্রধান বিষয় হচ্ছে ভুমিকম্প, যেটা সিটি নির্বাচনের খবরটা প্রত্রিকার হেড লাইনের নিচে নামিয়ে দিয়েছে। ভাগ্য আমাদের সত্যিই ভালো যে সৃষ্টিকর্তার চোখ বারবার আমাদের এড়িয়ে গেছে। চোখ বন্ধ করে যখন নেপাল বা কিছু দিন আগের জাপানের ছবিগুলো মনে করি তখন বুকের মধ্যে শিরশির করে ওঠে! রানাপ্লাজার মৃত মানুষের গন্ধ নাকে লাগে! প্রকৃতির কাছে মানুষ কত অসহায়! ৪০-৪৫ সেকেন্ডে সাজানো শহর কিভাবে ধস্বস্তুপে পরিনত হয়!
গত ২৬তারিখে যখন প্রথমবার ভুমিকম্প আঘাত হানে তারপর থেকেই মানুষের মনে একটা আতঙ্ক কাজ করছে। পরদিন যখন আবার প্রায় একই সময় ভুমিকম্প অনুভুত হয়, আমি তখন ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে একটা,বহুতল ভবন যেটাতে গার্মেন্স কারখানার সামনে ছিলাম।এখানে প্রায় ৪হাজার নারি-পুরূষ কাজ করে। আতঙ্কে হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে পদদলিত হয়ে আহত হল ৪০-৪২ জন মানুষ। যার মধ্যে একজন পরে মারা যায়।
আমরা সকলে জানি ভুমিকম্প এমন একটি প্রাকৃতিক বিপর্যয় যার কোন পূর্ববতী পূর্বাভাস পাওয়া সম্ভব না। একমাত্র সচেতনতা হ্ময়হ্মতির পরিমান হ্রাস করতে পারে। অামার মনে হয় বাংলাদেশে যদি দিনের বেলায় ভুমিকম্প হয় তাহলে সবচাইতে বেশি মানুষ মরবে গার্মেন্স কারখানায়। কারন এক, এখানে এক সাথে আনেক মানুষ এক ভবনে কাজ করে। দুই, এখানে যারা কাজ করে তারা এমনিতেই বিভিন্ন কারনে আতংঙ্কগ্রস্থ এবং হুজগে মাতাল টাইপের।
বাংলাদেশ যদিও দূযোর্গপূর্ন দেশ, তথাপি ভুমিকম্পের মত দূর্যোগের সাথে আপরিচিত আথচ প্রবল ভূমিকম্পপ্রবন এলাকা। এখন থেকেই আমাদের সরকার এবং গনমাধ্যমের উচিত ভুমিকম্প সম্পর্কে মানুষের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি করা। এবং যারা নির্মান শিল্পের সাথে জড়িত তাদের এই দিকটা অর্থাৎ বিল্ডিং কোড এবং মান বজাই রাখা।আমরা যারা সাধারন মানুৃষ তাদের উচিত ভুমিকম্পে অযথা আতংকিত না হয়ে নিজেকে যার যার আবস্থানে নিরাপদ থাকার কৌশল রপ্ত করা। মনে রাখবেন ভুমিকম্প খুব বেশি স্থায়ি হলে, ৪০-৪৫ সেকেন্ড। পরর্বতীতে আবার হতে পারে, কিন্তু আযথা আতঙ্ক আপনার প্রনহানীর কারন হতে পারে।