somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জাতিসংঘ বনাম আল-সিসি

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:১৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

জাতিসংঘ?
বার বার আমার জানতে ইচ্ছে করে জাতিসংঘ কি?
জাতিসংঘের কাজ কি?
জাতিগংঘ কি মানব জাতির কোন উপকারে আসে?
এই জাতিসংঘ কি কার সংগঠন, এটাকি কোন ধর্মের?
আমার তো খোদ জাতিসংঘের কার্যক্রমের প্রতি প্রশ্ন উঠে।

কিছুদিন আগে এই খবরটি আমার দৃষ্টিতে আসলো, আমার মনে হলো, তারা মানব জাতিকে নিয়ে তামাশা করছে -

"মিশরের বর্তমান সরকার ইখওয়ানুল মুসলিমিনের সমর্থকদের ওপর দমন পীড়ন অব্যাহত রাখায় এবং তাদেরকে গ্রেফতার ও গণভাবে মৃত্যুদণ্ড দেয়ায় জাতিসংঘ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে। আট সদস্যের জাতিসংঘের মানবাধিকার পর্যবেক্ষক দল মিশরে ইখওয়ান সমর্থক ১৮৩ জনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, এতে করে দেশটির বিচারবিভাগের গ্রহণযোগ্যতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে। তারা নিরপেক্ষভাবে ইখওয়ান সমর্থকদের বিচারের দাবি জানিয়েছেন।"

বাহ, বাহ!! এখানেই তাদের কাজ শেষ, একটা দেশ নিরাপরাধ সাধারন মানুষকে বিনা বিচারে, বা বিচারের নামে প্রহসন করে হত্যা করলো, এবং জাতিসংঘ্য তাদের কার্যকে পছন্দ হয় নাই এই বলেই শেষ হলো। হায়রে জাতির সংঘ্য নাকি অজাতির সংঘ্য ভাবতে কষ্ট হয়। তাই একনো সময় আছে, ইসলামের ছায়া তলে এসে কোরআনকে সংবিধান একবার মেনে নিয়ে দেখ, কোন জাতিসংঘের কোন প্রয়োজন হবে না। তবে সে ক্ষেত্রে, খাটি মুসলমান হতে হবে এবং মুনাফিক চিনতে হবে। আমি শয়তানকে ভয় পাইনা কিন্তু ভয় পাই সে সকল মুসলমানকে, যারা কলেমা পড়ার পরও মুসলমান হতে পরলো না, সুধু মুনাফিকই রয়ে গেল। উপরের প্যারায় এটাই প্রকাশ পায়, হে মিশরের আল-সিসি, তুমি কি করছো, সব মুসলামান মেরে ফেল, তোমাকে তো সে বৈধতা দেওয়া হয়েছে। হা: হা: হা:

"গত এক বছরে ইখওয়ানুল মুসলিমিনের সমর্থকদের ব্যাপারে দেশটির আদালতের আচরণ ও কর্মকাণ্ড বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, শাসক গোষ্ঠী নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন অজুহাতে রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে ইখওয়ানকে পুরোপুরি নির্মূল করার চেষ্টা চালাচ্ছে। গত মাসের প্রথম দিকে মিশরের আদালত ইখওয়ানের অন্যতম শীর্ষ নেতা মোহাম্মদ বাদিয়িসহ দলটির ১৮৩জন নেতাকর্মীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে। যাদেরকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হল তাদেরকে আত্মপক্ষও সমর্থন করার সুযোগ দেয়া হয়নি। এ কারণে মিশরের আদালতের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

মিশর সরকার দাবি করেছে, দেশে শান্তি ও শৃঙ্খলা বিনষ্ট করায় এবং নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলার অপরাধে ইখওয়ান সমর্থকদের বিচার করা হচ্ছে। অথচ বাস্তবতা হচ্ছে, ইখওয়ানের আন্দোলনকারীরা সম্পূর্ণ নিরস্ত্র।"

এতে কি প্রমানিত হয় না, যে লোকের হাতে কোন রকম অস্ত্র থাকে না, তারা দেশের শান্তি ও শৃংক্ষলা কি ভাবে বিনষ্ট হতে পারে? এটি একটি অজুহাত মাত্র। আর জাতি সংঘ্য তাদেরকে খুনের বৈধতা দেয়ার রাস্তাকে সুগম করে দিচ্ছে মাত্র। জাতিসংঘ্য সুধুই সাধারন মানুষকে বৈধতা দান করে বলে আমার মনে হয়। অমানবিক কাজের বিরুদ্ধে যদি তাদের কথা বলার কোন ক্ষমাই না থাকে, বা কোন কার্যকরি ব্যবস্থা গ্রহনের কোন ক্ষমতাই না থাকে তবে কি দরকার আছেই এই সংগঠনের। যারা চিন্তাশীল লোক তার কিন্তু এই প্রশ্নগুলো করে থাকে। আল -সিসি একজন সমরিক জ্যান্তা তাকে বৈধতা দেওয়াই কি জাতিসংঘের দাযিত্ব বা কাজ। কি ভুমিকা ছিল জাতি সংঘের প্রশ্ন থেকে্ই যাচ্ছে। হিটলার আজ পৃথিবীতে নেই, কিন্তু তার কথা ও কাজ আমাদের মাঝে আজ বেচেঁ আছে বৈকি। হিটলার ইহুদি সম্পর্কে যে কথা গুলো বলে গিয়াছেন, আজ এত বছর পরে হলেও তার কথা সত্যে রুপ নিয়াছে, তাতে কোন সন্ধেহ নাই।

হিটলার বলেছিল, "আমি বহু ইহুদিকে হত্যা করেছি, কিছু ইহুদি রেখে গেলাম, পৃথিবীর মানুষের কাছে সাক্ষী হিসেবে, তারা বুঝতে পারবে আমি কি ভুল করেছি নাকি ঠিকই করিছি।"
আজ আমরা ঠিকই সেই এডলব হিটলারের কথাকে স্মরন করি, পৃথিবীতে যত অঘটনের একমাত্র কারন এই ইহুদি, আজ ফিলিস্তিনকে তারা কি পরিনতি ঘটিয়েছে, তা সবাই জানেন। ইসরাইলের মোসাদ না পারে এমন কোন কাজ নাই। মোসাদ মুসলাম সেজে, জিহাদী সেজে, প্রকৃত মুসলামকে ধোকা দিচ্ছে, ইসলামের ক্ষতি করছে। নবী মোহাম্মদ (সাঃ) নিজেই ইসরাইলের বিরোধী ছিলেন, আর আল-সৌদ পরিবার তাদেরই পক্ষ নিয়েছেন, আমার ভাবতে খুবই কষ্ট হয়, কারণ আমিও একজন মুসলমান। আর আল-সৌদ পরিবার হিজাজের বহু আলেমকে হত্যা করেছে, যাহা এত বড় জগন্য ঘৃনার কাজ তারা করেছে, যার জন্য তাদেরকে জাহান্নামের আ্গুনে জ্বলতে হবে। এতে আমার কোন সন্ধেহ নাই।

"মিশরে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর প্রায় এক বছর অতিক্রান্ত হতে চললো। মুরসির সমর্থকরা শান্তিপূর্ণভাবে সরকার বিরোধী বিক্ষোভ চালিয়ে আসছে। কিন্তু সরকার ইখওয়ানের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচি কঠোরভাবে দমন করছে এমনকি সরকার বিরোধী যে কোনো সভাসমাবেশ নিষিদ্ধ করে ইখওয়ানকে কোণঠাসা করার চেষ্টা করছে। বর্তমানে ইখওয়ানুল মুসলিমিন দলের শীর্ষ নেতারা জেলখানায় অবস্থান করছেন। প্রেসিডেন্ট মুরসিও এক বছর ধরে জেলখানায় রয়েছেন এবং হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ এনে তার বিচার চলছে। মুরসির বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে। এ অবস্থায় গত এক বছরে মিশরের বর্তমান সরকার কি মানবাধিকার লঙ্ঘন করেনি এমন প্রশ্নও উঠেছে।"

হায়রে জাতিসংঘ-
বিনা অপরাধে ডঃ মুসরির মত ইসলামের একজন শান্তি প্রিয় নেতাকে ক্ষমতা চুত করলো, জাতিসংঘ্য কি ভুমিকা রাখছে? কিছুই না। কারণ ইহুদিদের ইশারাই তো এই কাজ করা হয়েছে, আর আল-সিসিই তো ইহুদিদের আত্মীয়, একথা সবাই জানে, আপনী জানেন না? জাতিসংঘ্ না বলে ইহুদি সংগ বলাই মনে হয় উচিৎ হবে। কারণ জাতিসংঘ তো সুধুই ইহুদিদের সার্থে কাজ করে, মুসলমানদের জন্য নয়।জাতিসংঘ্য যে খানে যে কাজই করুক, দেখতে হবে সেখানে আমেরিকা বা ইহুদিদের কোন সার্থো আছে কিনা, অবশ্যই থাকতে হবে। তাদের পরিকল্পনা সুদুর প্রসারি, জাতিসংঘ সেখানে কথা বলবে, জাতিসংগের বিমাতা সুলভ আচরন আজ থেকে নয়। তার জন্মলগ্ন থেকেই পরিলক্ষিত হয়ে আসছে।

"বর্তমানে মিশরে গণহারে সাধারণ মানুষকে গ্রেফতারের ঘটনা মানবাধিকার লঙ্ঘনের বড় দৃষ্টান্ত। সরকারের এ পদক্ষেপে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও ব্যাপক প্রতিক্রিয়া হচ্ছে। আমেরিকা মিশরের সিসি সরকারের প্রতি সমর্থন জানালেও সেদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং বিরোধীদের দমনে বিচারবিভাগের ভূমিকার সমালোচনা করে মিশরে মানবাধিকার রক্ষার আহবান জানিয়েছে।"

অবৈধ সরকারকে বৈধতা দেওয়ার পর তার কাজক্রম পছন্দ হওয়া বা নাওয়ায় কিছুই আসে যায় না। এই ভন্ডামি না করলেই কি হয় না? তুমি তো জানোই সে অবৈধ্য, যে লোক অবৈধ্য তার কায্যক্রম অবৈধ হবে এতো সাভাবিক, তাতে আপনার সন্ধেহ থাকতে পারে কিন্তু আমার নাই। মোড়লের এই ভন্ডামিতা আমার মোটেই আমার পছন্দ হলো না।

এতে কোনো সন্দেহ নেই যে, মিশরে সরকার বিরোধীদের দমনে সরকার ও নিরাপত্তা বাহিনীর কঠোর অবস্থান দেশটির সংকটকে আরো জটিল করে তুলতে পারে এবং এতে করে দেশটির সমাজ বিভক্ত হয়ে পড়বে। সবাই এটা জানে যে একজন সামরিক ব্যক্তিত্ব মিশরে ক্ষমতা দখল করে বসে আছে এবং বর্তমান পরিস্থিতি সবাইকে হোসনি মুবারকের শাসনামলের কথাই মনে করিয়ে দেয়।

সর্বশেষ কথা হলো, কোন জিনিস যদি পচেঁ দুর্গন্ধ বাহির হয়, তার সামনা আর পিছন নাই পুরোটাই দুর্গন্ধে ভরা, এর প্রশংসা করা ভন্ডামি ছাড়া আর কিছুই না। আপনারা কি এউ পচাঁ দুর্গন্ধের প্রশংসা করতে চান। আজও সময় আছে সাবধান হয়ে যান, মুসলমান হয়, মুনাফেক থেকে সাবধান হয়। মুনাফেকের কোন ধর্ম নাই।

আল্লাহু আমাদের সবাইকে শান্তিপ্রিয় মুসলমান হওয়ার তৌফিক দান করুন, আমিন।।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:২০
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

৫০১–এর মুক্তিতে অনেকেই আলহামদুলিল্লাহ বলছে…

লিখেছেন বিচার মানি তালগাছ আমার, ০৩ রা মে, ২০২৪ বিকাল ৩:০০



১. মামুনুল হক কোন সময় ৫০১-এ ধরা পড়েছিলেন? যে সময় অনেক মাদ্রাসা ছাত্র রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিল। দেশ তখন উত্তাল। ঐ সময় তার মত পরিচিত একজন লোকের কীভাবে মাথায় আসলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঝিনুক ফোটা সাগর বেলায় কারো হাত না ধরে (ছবি ব্লগ)

লিখেছেন জুন, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৯

ঐ নীল নীলান্তে দূর দুরান্তে কিছু জানতে না জানতে শান্ত শান্ত মন অশান্ত হয়ে যায়। ১৯২৯ সালে রবার্ট মোস নামে এক ব্যাক্তি লং আইল্যান্ড এর বিস্তীর্ণ সমুদ্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ অপেক্ষা

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২৩



গরমের সময় ক্লাশ গুলো বেশ লম্বা মনে হয়, তার উপর সানোয়ার স্যারের ক্লাশ এমনিতেই লম্বা হয় । তার একটা মুদ্রা দোষ আছে প্যারা প্রতি একটা শব্দ তিনি করেন, ব্যাস... ...বাকিটুকু পড়ুন

×