somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মরা নিয়েও তামাশা করা যায়।

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১২:৫৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



বিশিষ্ট নারীবাদি লেখিকা মিনাফারাহ’র ছেলে সম্প্রতী এক সড়ক দূর্ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে ৭ দিন চিকিৎসাধীন আবস্থায় মারা যায় গেল সপ্তাহে। মিনা ফারাহ যে হিন্দু ছিল সেটা জানলাম গতকাল দৈনিক আমাদের সময় পএিকার শেষ পাতায় তার ছেলের হিন্দু নিয়মে আন্ত্যষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার খবরটি ছাপানোর ফলে। আমি লাইব্রেরী তে প্রায়ই তার লেখা জনকন্ঠতে পড়তাম। প্রথমে নিয়ইর্কের মুসলিম সম্প্রদায় তার ছেলের লাশটি দাফন করার জন্য নিয়ে গেলে মিনা ফারাহ তাতে বাঁধা দেয়। এতে মুসলিম কামিউনিটির সাথে মিনাফারাহ পক্ষ অবলম্বন কারীদের মধ্যে এক বিবাদের সুএপাত হয়। বেচারা মিনা ফারাহর সন্তান শাফায়েত মরে ও শান্তি পেল না। আমার প্রশ্ন মিনা ফারাহর কাছে। আপনি নিজে নাম পরিবর্তন করে মুসলামান নাম নিয়ে যদি চলতে পারেন তবে মুসলিম রীতি গুলি কেন পালন করবেন না। তাছাড়া আপনি যে হিন্দু রীতি বা প্রথা গুলি মানেন সেটাতো কোন দিন আমরা দেখলাম না । হঠাৎ হিন্দু হওয়ার খায়েস কেন মনে জাগলো তা আপনি যদি আপনার কোন কলামে জানাতেন তাহলে বিষয়টা পরিস্কার হত। আজ আবার আমাদের সময় পএিকা লেখল যে আপনার ছেলে শাফায়েত নাকি নিয়মিত নামাজ পড়ত ও রোজা রাখত। পএিকার কথাটা বিশ্বাস করলাম না এই কারণে যে আপনি নিজেই লিখেছিলেন আপনার কলামে যে আপনার ছেলেরা পাশ্চাত্য সংস্ক্রতিতে চলতে অভ্যস্ত। তাই পএিকার ছাগু সং-বাদিকরা যে মিথ্যা খবর প্রকাশ করছে সেটা আমি জানি। আপনাকে অনেক বার একুশে টিভিতে দেখেছি। আপনার প্রিয় পএিকা জনকন্ঠের সময়ের কলাজ যিনি লিখতেন তিনি একবার তার অনুষ্ঠানে আপনাকে আমন্ত্রন জানিয়েছিলেন । সেখানে আপনার হতে, গলাতে, কপালে হিন্দুর কোন চিহ্ন আমি দেখি নাই।

আমদের সমাজে এমন অনেক ব্যক্তি আছে যারা একটা তামাশা করে বেড়ায় সবসময়। মৃত্যুর সময় তাদের সে তামাশাটা আরো জমজমাট হয়। যেমন দেখলাম নীলিমা ইব্রাহিম নামক এক ব্যক্তির দফন। এখন মুসলমান বিয়ে করে বেচারা মুষলমান হয়েছে সে কোন দিন নামাজ রোজা পড়ত কিনা জানি না কিন্তুু তাকে দাফন করা হয়। তাই আমার প্রশ্ন হিন্দুর ঘরে জন্ম নিয়া যদি দাফন জায়েজ হয় তবে মুসলমানের ঘরে জন্ম নিয়া পোড়ানো কেন জায়েজ না। বরং শাফায়েতকে পেড়ানো টাতো বেশি জায়েজ কারণ তার মা তো হিন্দু ছিল অন্যদিকে ড. নীলিমা ইব্রাহিমের মা ও বাবা যে দু’জনেই হিন্দু।
১২টি মন্তব্য ৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=আকাশে তাকিয়ে ডাকি আল্লাহকে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০১


জীবনে দুঃখ... আসলে নেমে
শান্তি গেলে থেমে;
আমি বারান্দায় দাঁড়িয়ে হই উর্ধ্বমুখী,
আল্লাহকে বলি সব খুলে, কমে যায় কষ্টের ঝুঁকি।

আমি আল্লাহকে বলি আকাশে চেয়ে,
জীবন নাজেহাল প্রভু দুনিয়ায় কিঞ্চিত কষ্ট পেয়ে;
দূর করে দাও সব... ...বাকিটুকু পড়ুন

"ছাত্র-জনতার বেপ্লবের" ১৮ মাস পরে, আপনার ভাবনাচিন্তা ঠিক আগের মতোই আছে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৭



২০২৪ সালের পহেলা জুলাই "ছাত্র-জনতার বেপ্লব শুরু হয়, "৩৬শে জুলাই" উহা বাংলাদেশে "নতুন বাংলাদেশ" আনে; তখন আপনি ইহাকে ব্যাখ্যা করেছেন, ইহার উপর পোষ্ট লিখেছেন, কমেন্ট করেছেন; আপনার... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের হাদিকে গুলি করা, আর আওয়ামী শুয়োরদের উল্লাস। আমাদের ভুল কোথায়?

লিখেছেন তানভির জুমার, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৩



৩০ জনের একটা হিটলিস্ট দেখলাম। সেখানে আমার ও আমার স্নেহের-পরিচিত অনেকের নাম আছে। খুব বিশ্বাস করেছি তা না, আবার খুব অবিশ্বাস করারও সুযোগ নাই। এটাই আমার প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

এ যুগের বুদ্ধিজীবীরা !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪০


ডিসেম্বর মাসের চৌদ্দ তারিখ বাংলাদেশে বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। পাকিস্তান মিলিটারী ও তাদের সহযোগীরা মিলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেন লেখক, ডাক্তার, চিকিৎসক সহ নানান পেশার বাংলাদেশপন্থী বুদ্ধিজীবীদের!... ...বাকিটুকু পড়ুন

টাঙ্গাইল শাড়িঃ অবশেষে মিললো ইউনস্কর স্বীকৃতি

লিখেছেন কিরকুট, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৫৭



চারিদিকে যে পরিমান দুঃসংবাদ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এর মধ্যে নতুন এক গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা হলো বাংলাদেশের টাঙ্গাইলের তাতের শাড়ি এর জন্য, ইউনেস্কো এই প্রাচীন হ্যান্ডলুম বুননের শিল্পকে Intangible Cultural... ...বাকিটুকু পড়ুন

×