তরুন প্রজন্মের কাছে মুক্তিযোদ্ধা ও তার পরিবারকে আজ সম্মানের বদলে হাসির খোঁড়াক ও করুণার পাত্রে পরিনত করেছে এই বেপরুয়া মুক্তিযোদ্ধা কোটা। অনেকের কাছে বলতে শুনি, "আমার বাপ-দাদা কিরকম বোকা ছিল!! নাম লেখাইয়া বন্দুক লইয়া ঘরে বইসা থাকলেই তো হইত। এখন নিশ্চিন্তে একখান চাকুরি পাইতাম।”
অসম্মানের জায়গাটা কোন পর্যন্ত গিয়ে ঠেকেছে, একটু চিন্তা করে দেখেছেন??? জাতির যে সন্তানগুলো সর্বোচ্চ সম্মান পাওয়ার কথা, তার বদলে তারা কি পাচ্ছে??? সাধারন জনতার হাসি-বিদ্রুপ ও করুনা। এটার জন্য এই অতিরিক্ত কোটা প্রথাকেও অন্যতম একটা কারণ বলে দায়ী করব।
আমি কোটা প্রথার বিলুপ্তি চাইনা, কিন্তু অযাচিতভাবে এটার ব্যবহার ও শিথিল (% কমিয়ে আনা হোক) চাই। এটার বিলুপ্তি করা যাবেনা এই জন্য যে, প্রতি কালেই সমাজে কিছু বঞ্ছিত, অবহেলিত, বিশেষ ও মাইনরিটি গ্রুপ থাকবে। যাদেরকে মেইন স্টিমে আনা বা সম্মান বা দায় পূরণের জন্য কোটা প্রথা দরকারি। আবার এটাও মাথায় রাখা দরকার কোটা প্রথার তোড়ে যেন সাধারন মেধার (কোটাবিহীন) ছাত্ররা বিলুপ্ত ও হতাশ না হয়ে যায়। তাছাড়া কোটা প্রথাটা কিভাবে, কোন পারপাসে ব্যবহার হচ্ছে তার দিকে সুনজর রাখা দরকার। কেননা এই কোটা প্রথার সুযোগে অনেক বেনামি ও ভূয়া ব্যক্তিরা কার্যসিদ্ধি করে নিচ্ছে। আর অনেক প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা সম্মান তো দূরের কথা দু-বেলা, দু-মুঠো খাবার পাচ্ছেনা। আর এই কোটা সিস্টেমটা একটি নির্দিষ্ট স্টেজে গিয়ে প্রয়োগ করা দরকার। যেমনঃ ভাইভাতে প্রয়োগ করা যেতে পারে। তাহলে এখানে সাধারন ও কোটাধারীদের মধ্যে যোগ্যতা ও অযোগ্যতার প্রশ্নটাও তেমন থাকছেনা।
আশা করব, লাখো হতাশ মেধাবি ছাত্রের আর্তি সরকারের কান পর্যন্ত পৌছবে এবং চাকুরি নামক সোনার হরিন খোঁজার এই দেশে কোটা প্রথার শিথিলায়ন হবে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




