শান্তির সময়ও বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে প্রতি চার দিনে একজন বাংলাদেশি বিএসএফের গুলিতে নিহত হন।
বিডিআর জানায়, গতকাল উপজেলার বামনদল সীমান্তের ৮৩৮ নম্বর মেইন পিলারের কাছে বিএসএফের সদস্যরা সাতটি গুলি ছুড়লে ঘটনাস্থলেই বেলাল হোসেন (২৫) নিহত হন। নিহত যুবকের লাশ বিএসএফ নিয়ে গেছে।
এ পরিস্থিতি বিবদমান গাজা-ইসরায়েল সীমান্তের চেয়েও ভয়াবহ বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল। তাঁর এ বক্তব্য সমর্থন করে দেশি-বিদেশি মানবাধিকারকর্মী, আইনজীবী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা বলেছেন, বিএসএফ আত্মরক্ষার নামে সীমান্তে মারণাস্ত্রের যথেচ্ছ ব্যবহার করছে।
বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের 'ট্রিগার হ্যাপি : বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফের মাত্রাতিরিক্ত বল প্রয়োগ' শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে গতকাল সোমবার ঢাকায় একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের সহযোগী সংগঠন 'অধিকার' যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। গত বৃহস্পতিবার প্রতিবেদনটি হিউম্যান রাইটস ওয়াচের ওয়েবসাইটে প্রকাশের পরের দিন কালের কণ্ঠে এর উল্লেখযোগ্য অংশ প্রকাশ করা হয়।
গতকালের অনুষ্ঠানে প্রতিবেদনটির চুম্বক অংশ ও বাংলাদেশ সরকারের প্রতি সুপারিশমালা পড়ে শোনান হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশিয়া শাখার উপপরিচালক ফিল রবার্টসন। পরিস্থিতির ভয়াবহতা বোঝাতে গত বছর ২৩ জুলাই যুক্তরাজ্যের চ্যানেল ফোরে প্রচারিত চার মিনিটের একটি প্রতিবেদন এ অনুষ্ঠানে দেখানো হয়। ফিল রবার্টসন বলেন, 'সীমান্তে আত্মরক্ষার নামে বিএসএফ মারণাস্ত্রের যথেচ্ছ ব্যবহার করছে। আমরা আমাদের সহযোগী সংগঠনগুলোর মাধ্যমে এ ব্যাপারে ভারত সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি। এসব হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বিভিন্ন সময় অভ্যন্তরীণ তদন্তের কথা বলা হলেও এ পর্যন্ত একজন বিএসএফ সদস্যেরও শাস্তি হওয়ার কথা শুনিনি।'
ফিল রবার্টসন আরো বলেন, 'এটি বিডিআর ও বিএসএফ এবং বাংলাদেশ ও ভারতের ব্যাপার। এ ক্ষেত্রে সব পক্ষের অনেক কিছুই করণীয় আছে। বাংলাদেশ সরকার সীমান্তে নাগরিকদের রক্ষায় কী উদ্যোগ নিয়েছে, তা জানতে আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ সরকারের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলব।'
অধিকারের সম্পাদক আদিলুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিএসএফের গুলিতে আহত এক ব্যক্তি এবং একজন নিহতের বাবা বক্তব্য দেন। উন্মুক্ত আলোচনা পর্বে আলোচকরা বলেন,
গত এক দশকে বিএসএফের গুলিতে নিহত ৯ শতাধিক মানুষের বেশির ভাগই বাংলাদেশি। ভারত সরকারের সমর্থন ছাড়া এভাবে হত্যাকাণ্ড চলতে পারে না।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল বলেন, বাংলাদেশের সরকারগুলোর কাপুরুষতার কারণেই সীমান্তে হত্যাকাণ্ড চলছে। যুগের পর যুগ সরকারগুলো এর প্রতিবাদ করতে ব্যর্থ হয়েছে।
প্রিয় ব্লগারগন সব সরকার সব সময় শুধূ তাদের স্বার্থ নিয়ে ব্যাস্ত তা আমরা জানি। আমরা এর প্রতিকার করতে না পারি - অন্তত ব্লগে সম্নেলিত ভাবে এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও প্রচারণা চালাতে পারি। আমরাতো আর কারো কাছে মাথা বিক্রিকরে রাখিনি যে, প্রতিবাদও জানাতে পারবো না।
আসুন - বিএসএফ এর বাংলাদেশীদের হত্যার প্রতিবাদ জানিয়ে একটি যে কোন একটি ভালো লিখাকে স্টিকি পোষ্ট হিসাবে দিয়ে আমাদের প্রতিবাদ জানাই।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১০ সকাল ১০:১০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



