যতটা জেনেছি বিস্ময় অভিমান দুঃখ,
মানুষের কিছু দুঃখ থাকে
স্মৃতিতি নিবিড় জলরঙ হয়ে।
বিমূর্ত তরলে আঁকা দেহের দুঃখ
অসুখের মতো শীর্ণ অথবা ম্লান হয়ে থাকে চিবুকের পাশে।
পরিব্রাজক জন্মের মতো বিরস কান্নার মধ্যে স্বাদ পাও
পাখিয়াল মন প্রাচীন পাথরে গোপনে নিরবে হাঁসফাঁস করে
তবু জানি হারবে না মানুষের মন।
অতিন্দ্রীয় এই শহর, রাজপথ, তোমাকে মেরেছে আমাকেও।
আমার সম্পর্কে তোমার ধারনা জেনে সম্মানিত বোধ করছি, তবে এভাবে বললে আমি লজ্জাবোধ করি, সংকুচিত হয়ে পড়ি| তবে আমার জন্য তুমি নিজেকে যে উন্মুক্ত করে দিলে, উজাড় করে দিলে সে জন্য তোমাকে কৃতজ্ঞতা জানাই। নিজেকে কোন আড়াল করোনি, তুমি বোধহয় সরাসরি ব্যাপারটা খুব পছন্দ করো। এখন অকপটে কথা বলা যাবে, বহুদিন বহুদুরের পথ হেঁটে হেঁটে.................
তুমি তো দেখি আবেগে ভরপুর, প্রেমে টইটম্বুর!!
এভাবে বললে কেউ কি আন্দোলিত না হয়ে পারে! এভাবেই তো মনের মুকুরে মকুলিত হয় চিরদিনের মনস্বিতা। হতে পারে তা অনিন্দ্য, নিষ্পাপ কিংবা সুললিত।
আচ্ছা, আরো একটু মায়াবী কি হওয়া যেত না??
আমি জানিনা তোমার চোখ দুটি কত সুন্দর, আমি জানিনা তোমার চোখের দৃষ্টি কত গভীর!!
একটা পরাজিত মানসিকতা, একটা পলায়িত ভস্ম, একটা পেছনে ফিরে যাওয়া হাহাকার, যারা কোনদিন চিনতে পারবে না, স্পর্শ করতে পারবে না, পৌঁছাতে পারবে না কোনদিন হৃদয়ের সুউচ্চ সীমারেখায়।
আমি চাই না, তুমি , যে কিনা কোন দিন কালের যাত্রার ধ্বনি শুনতে পাবে না। দিশেহারা, পাগল, উন্মাদ, মাতাল, রক্তাক্ত, তৃষ্ণার্ত তুমি সব হও কিন্তু অন্ধ হবে না।
যা কিছু ধবংস, যার অস্তিত্বের সংকট প্রবল বিদ্যমান, যার অস্পষ্টতার বিবশ বাতাস বুকের হাড়ে বিঁধে যায়, যার পিপাসিত বুকের সবটকু স্তর তলিয়ে যায় নিষ্ঠুর বঞ্চনায়, সেখানে যাবে না | ওখানে অজস্র ধ্বনিরা গান করে বড়ই বেসুরে, ওখানে ক্ষয়েরা আত্মধবংসে মাতোয়ারা।
তাই বলি এদিকে দেখ, এইখানে, গভীর ,নিবিড়, অনাবিল মর্ত্যলোকে।
পৃথিবী কী আজো রয়ে গেছে মায়াবী নদীর দেশ।
কোন জলকেলী হয়ে গেছি দূর্নিবার উচ্ছ্বাসে ; কেউ বা বলে গেছে অশনি সংকেত
রটে যাওয়া শুণ্যতায় বুঝে নেবো ভেবে পার করি বিনিদ্র রাত,
খোলা কপাট বন্ধ হয়ে এলে তাকিয়ে থাকি সেই পথ
কান পাতি বহুদূরে কোথাও কী আজো বাঁজে সমুদ্রগীত।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৯