[এইখানের জোকসগুলা বাজে টেস্টের। আমার মেজাজ খারাপ তাই মন ভালো করার জন্য জড়ো করলাম। নিজের রিস্কে পড়বেন। আর রাজনৈতিক জোকস সব সরায়া নিয়া মাত্র দুইটা রাখছি। পিলিজ আমাকে রিমান্ডে নিয়েন না। আমি ভদ্র অনুগত আদর্শ নাগরিক]
#১
গভীর রাত। নির্জন রাস্তা। দশ বছরের এক পোলা স্ট্রিটল্যাম্পের নিচে দাঁড়ায়ে হু হু করে কাঁদতাছে। তাঁর চারপাশে দুইটা লাশ পইড়া আছে। এক পথচারী তারে দেইখা দৌড়াইয়া যায়া জিজ্ঞেস করল, কি হইছে তোমার?
পোলা কাঁদতে কাঁদতে উত্তর দিল, 'আমরা বাসায় ফিরছিলাম, ছিনতাইকারীরা আমাদের ধরেছিল। আব্বু প্রতিবাদ করতে গিয়েছিলেন, তাকে গুলি করেছে ওরা। তারপর আম্মুর মাথায় গুলি করে ব্যাগ নিয়ে পালিয়ে গেছে!'
পথচারী বলল, 'ইয়াল্লা! কেউ আসেনি তোমাকে সাহায্য করতে?'
পোলা কোনোমতে কান্না ঠেকাইয়া বলল, 'না।'
পথচারির মুখ বিষণ্ণ হয়া গেল। সে প্যান্টের জিপার খুলতে খুলতে বলল, 'আহা, তোমার দিনটাই খারাপ আজকে বাবু। এখন হাঁটু গেড়ে বসে হাঁ করো দিকিনি।'
#২
বাংলাদেশে কোন বাসের স্পিড সবচে বেশি?
-সহবাস।
#৩
জন সিনা আর শেখা সিনার মধ্যে মিল কি?
জন সিনা তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বীর প্রতি কয়- ইউ কান্ট সি মি!
শেখা সিনা তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বীর প্রতি কন- ইউ কান্ট! সি মি?
#৪
হসপিটালে গেছিলাম দাদারে দেখতে। মোবাইলে দাদার সাথে সেলফি তুললাম, ফেবুতে আপ দিলাম, ক্যাপশন- "সিইং মাই গ্রান্ড্যাড। হি'জ সিক বাট আই লাভ হিম স্টিল [দুইবার লাভ ইমো]। প্লিজ প্রে ফর হিম।"
দাদা কয়- কি করস?
ছবি তুলি।
-আমারে দেখবার আইছস, বৈয়া কথা ক। মোবাইল টিপোস ক্যা?
এইতো শুরু হইল কথা কাটাকাটি। আমার মেজাজ গরম হওয়া শুরু করল। বুড়া কি কয় এইসব! বুঝে না জানে না ভাব মারায়
দাদা লাস্টে হাঁপায়া হাঁসফাঁস করতে করতে বললেন, যা ভাগ। আমারে দেখা লাগব না তর। তগো জেনারেশন এইসব প্রযুক্তির উপ্রে বেশি নির্ভরশীল। যা মোবাইল টিপগা।
আমার ধৈর্য তখন বাঁধ ভাইঙ্গা গেল। ঠাণ্ডা গলায় উত্তর দিলাম- প্রযুক্তির উপ্রে? না, আমার চেয়ে আপ্নের জেনারেশন অনেক বেশি নির্ভরশীল।
দাদা প্রতিবাদ করতে গিয়া চুপ কৈরা গেলেন।
কারণ ততোক্ষণে আমি তাঁর লাইফ-সাপোর্টের লাইন খুইলা দিছি।
#৫
খালেদা জিয়া আর একটা কবরের পার্থক্য?
কবর জিয়ারতে কবরের আযাব কমে।
আর বর্তমানে? খালেদা জিয়ারতে দুনিয়ার আযাব বাড়ে।
#৬
একসাথে ২০০টা মাছি কেম্নে মারা সম্ভব?
-কোন ইন্ডিয়ানের পাছায় কৈষা থাপ্পড় মারলে।
#৭
দারোয়ান আর কর্পোরেট চাকুরের মধ্যে কথোপকথন -
দবির মিয়া, অসুস্থ নাকি? কি হইছে তোমার?
- ক্যান, সার?
ক্যান্সার? ওহ শিট!
- শীত লাগে সার? এসি কোমামু?
আমি কি জানি তোমাদের এসি কোথায়, নালায়েক! ভাবলাম ভালমন্দ জিজ্ঞেস করি, তার মধ্যে কি সব মামু টামু বলছো! বোকা লোক!
- বৌ কালো হোক মানে? বদদোয়া দেন নাকি? আমার বৌ ধবধবা ফরসা, তিন গেঁদির মাও। আপনার গেঁজান লাগব না যান।
হোয়াট! আমি তোমার জান লাগি নাকি, ইডিইওট!
-এই দেহি ওঠ কৈলেই আমি উঠমু নাকি! যান যান!
আবার জান বলে!!
-যান তো সার! গালি দেওয়ায়েন না।
জান-ও বলবে গালিও দেবে, আচ্ছা পাব্লিক তো! যত্তসব আনকালচারড পিপল!
- যা ভাগ ভাগ! ধরলাম না তোর ইংরেজি, বালছাল!
#৮
কেউ যখন জান জান কৈরা কথা কইব, তাকে এই জুক্স শুনাবেন-
ফোন আর োনে পার্থক্য কি?
ফোন লাগায় কানে, আর োন লাগায় জানে।
#৯
সাধারণ মানুষ মরলে - অমুক গত হয়েছেন।
কোন উপমন্ত্রী মরলে? অমুক উপগত হয়েছেন।
#১০
মানুষের বৈজ্ঞানিক নাম? হোমো সেপিয়েন্স।
এরশাদের বৈজ্ঞানিক নাম? হোমো এরশাদ।
#১১
পুরুষের বর্তমান যুগের প্যান্ট আর আগের যুগের প্যান্টে পার্থক্য কি?
এখনকার প্যান্টরে বৌরা বলে - জিন্সের প্যান্ট
আগের যুগের প্যান্টরে বৌরা বলত - মিনসের প্যান্ট!
#১২
খালেদ ভাই বিয়া কৈরা ফেলছেন। কিন্তু তাঁর এখনো মুসলমানি হয় নাই। কিভাবে সবচে কম খরচে কাজটা সারা যেতে পারে?
- উপযুক্ত সময়ে ভাবির চাপা সই আপারকাট মারলে
#১৩
অনলাইন একটিভিস্টদের জন্যে বলি, আপনার, একজন বুদ্ধিজীবীর আর আমার পার্থক্য কি জানেন?
আপনে ঝড় তুলেন কীবোর্ডে।
তারা ঝড় তুলেন কলমে-কাগজে।
আর আমি ঝড় তুলি, বিছানায় (হেহেহেহে) [বিরক্তিকর হাসি]
কি? মন খারাপ হৈল? আরে মন খারাপ কইরেন না। আমাদের মধ্যে মিলও আছে একটা। সবাই ঝড় তুলি হাতের সঙ্গ নিয়া। আপ্নেরা ডান হাতে, আমি বাম হাতে। এই আর কি
#১৪
আব্বা আব্বা, গর্ভপাত নিয়া আপনার মতামত কি?
-তোমার বোনরে জিগাও।
আমার বোন!? কিন্তু আমার তো কোন বোন...
ওও
#১৫
পাকিস্তান আর বাংলাদেশের ছাগলের মাঝে পার্থক্য কোথায়?
বাঙাল ছাগল বাঙ্গালির কাছ থিকা খায় আমড়া,
পাকি ছাগল পাকিদের কাছ থিকা খায় গোআম্রা
#১৬
বৌ আর কম্পুটারে মিল কৈ?
কম্পুটার গুঁতাইতে গেলে কিছু তথ্য জেনে রাখতে হয়।
তেমনি, বৌ গুঁতাইতে গেলে কিছু পথ্য এনে রাখতে হয়
#১৭
তো সেইদিন এক অনিচ্ছুক নারীর সাথে ভিতরে বাহিরে অন্তরে অন্তরে খেলতেছিলাম, সে একটু পর পর প্রতিবাদ জানায়া ভাঙ্গা গলায় বলতেছিল, 'খোদার দোহাই লাগে, আমার বাচ্চাগুলার কথা একবার ভাবেন।'
আশ্চর্য তো! অইসময় বাচ্চাগুলার কথা ভাবলে আমার দাঁড়াবে নাকি
#১৮
বাঙালি আর শুক্রাণুর (স্পার্ম) মধ্যে মিল কৈ?
উভয় ক্ষেত্রেই - কোটিতে একটা মানুষ হয়।
#১৯
শুনলাম পাকিস্তানে ছাগলের দাম বাড়ছে!
-তাই নাকি?
হ! ঘন্টাপ্রতি তিরিশ রূপি কৈরা এখন
#২০
গত পাঁচ বছর ধইরা আমি আমার স্ত্রীর খুনিকে খুঁজতাছি, কিন্তু শালার কেউ রাজি-ই হয় না, কেমন লাগে
#২১
আব্বার সাথে বোতল নিয়া বসলে সমস্যা একটাই, গেলাস তিনেক পরে বিশাল ইমোশনাল হওয়া শুরু করবেন, তারপরে আমি কিছু কৈতে গেলেই বলবেন- আমারে ধরবি না! শালা তর মায়রে ুদি!
#২২
এক কিপটা লোক গেছে খারাপ পাড়ায়। গিয়া সবচে কম দামের অপশনটা বেছে নিছে। তো তারে এক ছোট্ট রুমে ঢোকানো হৈল। সে দেখে বিছানার উপ্রে নানির বয়সি এক চামড়া-ঝুলা মহিলা শুইয়া ইরোটিক ভঙ্গিমায় লুক দিতাছে তারে।
লোকটা একবার চিন্তা করল উলটা ঘুরে দৌড় দিবে, কিন্তু কিপটা মানুষ তো, টাকা উসুল না করে কেম্নে ফিরত যায়! তাই সে বুদ্ধি করল, আচ্ছা লাইট অফ কৈরা কাজ সারমু; তাইলেই আর কিছু মনে হইব না।
যেই বুদ্ধি সেই কাজ। কিন্তু কাহিনি হৈল নানি বয়েসি মহিলার আনন্দ-ফাটল তো শিরিষ কাগজ-সম। বেচারা দুই একবার উপগত হৈতে যায়া ব্যর্থ হইয়া বলল- 'এহেম, যে শুকনা এলাকা, আমার সংবিধানে তো চল্টা উইঠা যাইতাছে, কিছু একটা করেন!' শুইনা মহিলা উক্ত এলাকায় হাত দিয়া একটা কিছু করল, তারপর বলল, 'এবার চেষ্টা করেন তো'।
লোকটা এইবার সংবিধানের প্রয়োগ ঘটাইতে গেল, এবং কি আশ্চর্য, মসৃণভাবে ভেতর-বাহির প্রক্রিয়া চলতে লাগল, পুরাই আরামদায়ক অনুভূতি! সে অবাক হইয়া বলল, 'কি করলেন যে এত উষ্ণ আর মসৃণ লাগতাসে এইবার?'
মহিলা উত্তর দিল, 'অইখানে খোস-পাঁচড়া ছিল তো, উপ্রের মামড়ি নখ দিয়া উঠাইয়া পুঁজ বেরোইতে দিসি।'
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ১১:২০