somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

এই ঈদে ২০টি পরিবারের মুখে হাসি ফুটাতে পারেন আপনি!

২৬ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ২:০৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

গত দুই বছরের মত এবারো আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি কিছু পরিবারের মুখে আনন্দের হাসি ফুটানোর জন্য। কারণ লোরক বিশ্বাস করে- আনন্দ ভাগাভাগি করলে কমে না বরং বাড়ে। ১ম বছর আপনাদের অংশগ্রহণে আমরা হাতে নিয়েছিলাম ‘নাল পিরাণ’ নামে একটি প্রকল্প। এই প্রকল্পের আওতায় আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছিন্নমূল ১০০ টি পরিবারের মাঝে ঈদখাদ্য ও বস্ত্র বিতরণ করা হয়।


২য় বছর তাহাদের সাথে ইফতার শিরোনামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দৃষ্টিহীন শিক্ষার্থীদের সাথে ইফতার ও ঈদ উপহার বিতরণ করা হয়। এছাড়াও তাহাদের সাথে ঈদ শিরোনামে সাভারের একটি বৃদ্ধাশ্রমে আমরা ঈদ উদযাপন করি।




আপনারা আমাদের এই উদ্যোগে পাশে ছিলেন এবং সাহস যুগিয়েছেন সামনে এগিয়ে যাবার। আপনারা আছেন বলেই এই ধরণের উদ্যোগ নেবার সাহস পাই। যখন একটি পথশিশু নতুন জামা পেয়ে ঈদের চাঁদের ন্যায় যে বাঁকা হাসি দেয় তা দেখার মত একটি দৃশ্য। সেই হাসি মুখ দেখেই আমাদের তৃপ্তি। আমরা প্রতি বছর এই ধরনের উদ্যোগ হাতে নেই মনের আনন্দের জন্য। সবাই মিলে একসাথে আনন্দ করবো এরজন্য। আপনারা জেনে আনন্দিত হবেন জেনে এই বছর আমরা ২০ টি পরিবারের মাঝে পরিপূর্ণ ঈদ আনন্দ দিতে চাই। এই ২০ টি পরিবারের মাঝে ১২ টি পরিবার হচ্ছে রানা প্লাজায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার এবং বাকী ৮টি পরিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত ৮ জন আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল শিক্ষার্থী। রানা প্লাজায় ক্ষতিগ্রস্থ সেই পরিবারের গল্প আপনারা সবাই জানেন। কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই ৮জন শিক্ষার্থীদের গল্প আপনারা হয়ত জানেন না। কারণ এই গল্প পত্রিকায় আসে না। আজ আপনাদের সেই ৮জন শিক্ষার্থীদের পরিবারের গল্প শোনাবো। চরম দারিদ্র্য উপেক্ষা করে তারা আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মত বিদ্যাপীঠের শিক্ষার্থী। প্রতিবছর এস এস সি পরীক্ষার রেজাল্ট দেবার পর আমরা পত্রিকায় দেখতে পাই অমুক শিক্ষার্থী দিনমজুরের কাজ করে পড়েছে বা অনেক বাধা অতিক্রম করে পড়েছে। কিন্তু আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষার্থীদের গল্প পত্রিকায় দেখতে পাই না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হলের কত ছাত্র যে শুধু দুইবেলা হলে খেয়ে সারাদিন আর কিছু খায় না তার গল্প আমরা জানি না। অনেক সময় হলে খাবার কেনার টাকা থাকে না। তখন পানি আর চিড়া একমাত্র ভরসা। অনেক শিক্ষার্থীদের বাবা মারা গেছে। তাকেই পড়াশোনার পাশাপাশি পরিবারের হাল ধরতে হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন নানা কষ্টের সাথে মুখোমুখি ৮জন শিক্ষার্থীদের খুঁজে বের করেছে EDU-TOGETHER নামে একটি সংগঠন। এই সংগঠন এই ৮জন শিক্ষার্থীদের মাসিক বৃত্তি ও বই কিনে দিয়ে থাকে। এই ৮ জন শিক্ষার্থীদের এবার ঈদ পোশাক ও ঈদের খাবার কিনে দিতে যাচ্ছে লোরক।
এই ৮ জন শিক্ষার্থী হলঃ ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস বিভাগের আব্দুল্লাহ, সিরাজুল ইসলাম, ইব্রাহিম খলিল, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের তানজিলা আক্তার, ভূগোল বিভাগের মিজানুর রহমান, পলিটিকাল সাইন্স এর শামীম হোসাইন, চারুকলার জুয়েল।

আর সাভার রানা প্লাজার ১২ টি পরিবার নির্বাচন করা হয়েছে প্রকৃতভাবে অসহায় এবং যারা কোথাও থেকে বিশেষ সহযোগিতা পায়নি।

আমরা যারা এই উদ্যোগের উদ্যোক্তা তারা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। আমাদের কাজ করার আছে দৃঢ় মনোবল। এই মনোবলের সাথে আপনারা যদি একটু সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন তাহলে এবার ২০ টি পরিবার আনন্দের সাথে ঈদ করতে পারবে। তাহলে আপনি আমাদের পাশে আছেন তো?

বিকাশ করতে ব্যবহার করুন এই নাম্বারঃ

০১৯১৯-৪৬৩৩৩০ অথবা ০১৬৮৩-৭২৮৫৫০

অথবা এই ব্যাংক হিসাব ব্যবহার করতে পারেনঃ
• Account No. 114.101.64690
• Account Holder Name: Mohammad Alamin
• Account Type: Savings
• Account swift Code: DBBL DB DH
• Bank Name: Dutch-Bangla Bank Limited

যেকোন প্রয়োজনে যোগাযোগ করার অনুরোধ থাকলোঃ

খাইরুল হালিম রিমনঃ ০১৬৮৩-৭২৮৫৫০
আলামিন মোহাম্মদঃ ০১৯১৯-৪৬৩৩৩০

সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ২:০৮
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×