somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গেসবল ১৯: তালিবান, আফগান আর দাড়িবৃত্তান্ত

২৫ শে জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ৮:৫৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

[*আজকের গেসবলটা তুলনামূলকভাবে সহজ, তাও কেউ যদি না জেনে থাকেন, তাঁদের জন্য।
**ছবি একটা দিতে চাইছিলাম,অজ্ঞাত কারণে পারতেছিনা :( (মডুগনের গোচরীভূত করিতাম চাই ;))]


আফগান মাত্রেই তালিবান নয়, এটা আমরা সবাই কমবেশী বুঝি। তবে তালিবান শাসনামলে আফগানিস্তানের অবস্থা এমন হয়েছিলো, যে রাস্তায় যে কারো ছবি তুলে নিয়ে গিয়ে "তালিবান" বলে ছবিটাকে চালিয়ে দেয়া যেত। অলস টাইপের পত্রিকা ফটোগ্রাফারদের জন্য এটা একটা ভালো সুযোগ হতে পারতো, তবে সেজন্য যে সাহসটা দরকার তা আবার আলসে লোকদের থাকার কথা না।

সাধারণ আফগান আর তালিবানদের মাঝে এই বিশেষ যোগসূত্রমূলক ভ্রম তৈরীর পেছনে আফগানী জোব্বা, পাগড়ীর পাশেও যে জিনিসটা উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছিলো, তা হলো, ইয়া লম্বা তালিবানী দাড়ি

কথা হলো, সেই আমলে যে কোন আফগানী, তালিবান সমর্থক হোক না হোক, নাস্তিক হোক আর আস্তিকই হোক, নামাজী হোক বা বেনামাজীই হোক -- সবার গালে ঝুলতো সেই বিশাল তালিবানী দাড়ি।

কারণ অবশ্যই ছিলো, কারণ, মহান তালিবান শাসকেরা সেটা পুরুষের জন্য বাধ্যতামূলক করেছিলেন, কাজেই যতই চুলকাক, যতই জুস/স্যুপ খেতে গিয়ে বা চা গিলতে গিয়ে দাড়িতে মাখামাখি হয়ে যাক, সেসব সহ্য করে নিজেকে সাচ্চা মুসলিম হিসেবে রাস্তায় উপস্থাপনের জন্য বেচারারা দাড়ি রাখতই। এটাই ছিলো আফগান পুরুষদের সেসময় দাড়ি রাখার প্রধান কারণ -- সেটা অবশ্য আমরা সবাই বুঝিও।

তবে আফগান পুরুষদের কারো কারো এই লম্বা দাড়ি রাখার পেছনে আরো একটি কারণ কাজ করত। সেটা সম্পর্কে আপাততঃ কোন আলোচনা করছিনা, হিন্টসও দিচ্ছিনা।

কারণ, আপনাকে গেস করে বের করতে হবে,
এই আরেকটি কারণ কি ছিলো?
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে জানুয়ারি, ২০০৯ ভোর ৬:৫৭
৬১টি মন্তব্য ৩৩টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হাদির হত্যাকান্ড ও সরকারের পরবর্তি করণীয়!

লিখেছেন আহলান, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৫১

হাদির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা। সে দেশকে ভালোবেসে, দেশের মানুষকে ইনসাফের জীবন এনে দিতে সংগ্রাম করেছে। তাকে বাঁচতে দিলো না খুনিরা। অনেক দিন ধরেই তাকে ফোনে জীবন নাশের হুমকি দিয়ে এসেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মব রাজ্যে উত্তেজনা: হাদির মৃত্যুতে রাজনৈতিক পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪২

রোম যখন পুড়ছিল নিরো নাকি তখন বাঁশি বাজাচ্ছিল; গতরাতের ঘটনায় ইউনুস কে কি বাংলার নিরো বলা যায়?



বাংলাদেশ প্রেক্ষাপটে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদটি সবসময় ছিল চ্যালেঞ্জিং।‌ "আল্লাহর... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্টেরিম সরকারের শেষদিন : গঠিত হতে যাচ্ছে বিপ্লবী সরকার ?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:২২


ইরাক, লিবিয়া ও সিরিয়াকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার আন্তঃদেশীয় প্রকল্পটা সফল হতে অনেক দিন লেগে গিয়েছিল। বাংলাদেশে সে তুলনায় সংশ্লিষ্ট শক্তিসমূহের সফলতা স্বল্প সময়ে অনেক ভালো। এটা বিস্ময়কর ব্যাপার, ‘রাষ্ট্র’... ...বাকিটুকু পড়ুন

মব সন্ত্রাস, আগুন ও ব্লাসফেমি: হেরে যাচ্ছে বাংলাদেশ?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:৫২


ময়মনসিংহে হিন্দু সম্প্রদায়ের একজন মানুষকে ধর্মীয় কটূক্তির অভিযোগে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। মধ্যযুগীয় এই ঘটনা এই বার্তা দেয় যে, জঙ্গিরা মবতন্ত্রের মাধ্যমে ব্লাসফেমি ও শরিয়া কার্যকর করে ফেলেছে। এখন তারই... ...বাকিটুকু পড়ুন

তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

লিখেছেন কিরকুট, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪




ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।


দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×