somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পাঁচ পরহেজগার ব্যক্তির গল্প (প্রথম অংশ)

১৩ ই মে, ২০১০ বিকাল ৪:০৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সেইকালে আরব দেশে অত্যন্ত পরহেজগার এবং নামজাদা একজন কাজী সাহেব ছিলেন। যেমন প্রখর ছিলো তাঁহার বুদ্ধিমত্তা, তেমনই বিশাল তাঁহার ব্যক্তিত্ব। আরব দেশের সংস্কৃতি অনুযায়ী অতিকায় নামের অধিকারী হইলেও লোকে তাঁহাকে "আল মকসুদ" নামেই অধিক চিনিত। এক প্রত্যুষে স্বপ্নে আদিষ্ট হইয়া আল মকসুদ শহরের মূল ফটকের সামনে আসিয়া আশেপাশের লোকদিগকে উদ্দেশ্য করিয়া বলিলেন, "চারজন পরহেজগার ব্যক্তিকে খুঁজিতেছি, যাহারা নিজের সম্পদ ও সময় বিসর্জন দিয়া হইলেও সুদূর সিনদাদ শহর পর্যন্ত আমার সফরসঙ্গী হইবে।"
নামজাদা কাজী সাহেব বলিয়া কথা, মুহূর্তেই শতে শতে লোক আসিয়া হাজির হইলো, সকলের মুখে একই প্রার্থনা, "হুজুর, আমাকে সঙ্গী করিয়া লন।"

সামান্য সফরের ডাকে যে এহেন অবস্থার সৃষ্টি হইতে পারে, কাজী সাহেব তাহা কল্পনাও করেন নাই। করিতে পারিলে হয়তো নিজগৃহের বৈঠকখানায় বসিয়াই আর দশজনার সহিত শলা-পরামর্শ করিয়া সফরসঙ্গী ঠিক করিতে পারিতেন। এক্ষনে এত বেশী সংখ্যক প্রার্থী দেখিয়া কাজী সাহেব বলিলেন, "খোদাতালা সামর্থ্যদান করিলে তোমাদের সকলকে লইয়াই সফরে রওয়ানা হইতাম; কিন্তু তাহা তো সম্ভব হইতেছেনা। অতএব, হে শহরবাসী, তোমরা নিজ নিজ গোত্রের প্রধানদের নিকট যাইয়া মুজাকারা করিয়া ঠিক করো যে কে কে আমার সহিত যাইবে। সফরসঙ্গী ঠিক হওয়া পর্যন্ত আমি শহরের মূল ফটক হইতে এক পাও নড়িবনা -- এই জবান আমি তোমাদিগকে দান করিলাম।"

কাজী সাহেবের উপদেশ অনুযায়ী শহরের মূল ফটকে ভীড় করা শত শত লোক নিজ নিজ গোত্রপ্রধানদের গৃহের সম্মুখে গিয়া জড়ো হইলো। এখানে বলিয়া রাখা প্রয়োজন যে ঐ সময়ে ঐ শহরে মোট চারটি গোত্রের লোকেরা বসবাস করিত। চার গোত্রের লোকজনই আচার-আচরণে অত্যন্ত পরহেজগার ছিলো। গোত্রপতিদেরকেও তাহারা বিশেষভাবে মান্য করিত। তাহার ফলশ্রুতিতেই হয়তোবা, লম্বা সময় ধরিয়া অপেক্ষা করার মানসিক প্রস্তুতি লইয়া ফটকের পাশে বসিয়া থাকা কাজী সাহেবকে অবাক করিয়া, মাত্র আধাঘন্টার মধ্যেই দেখা গেলো যে চার গোত্র থেকে চারজন ব্যক্তি নির্বাচিত হইয়া তল্পিতল্পাসহ কাজী সাহেবের বরাবরে আসিয়া হাজির হইয়াছে। বলাইবাহুল্য, এই চারজন হইলেন চার গোত্রের গোত্রপ্রধানেরা। সকাল দশটার মধ্যেই আল্লাহ তায়ালার উপর ভরসা করিয়া পাঁচ মুসাফির স্বীয় স্বীয় গাধার পিঠে চড়িয়া মোটামুটি অজানার পথে রওয়ানা হইয়া গেলেন।

তাহাদের সফর অত্যন্ত ফলপ্রসু হইলো, বিশেষতঃ গোত্রপতিদের জন্য। শহরে এবং এর আশেপাশের দু'চার-দশখানা শহরে বানিজ্য করিয়া সারাজীবনে তাহারা যতটুকু দেখিয়াছেন বা শিখিয়াছেন, এক সিনদাদের পথে সফর করিয়াই তাহারা এর চাইতে অনেক বেশী অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান অর্জন করিয়াছিলেন। পাহাড় হইতে শুরু করিয়া, ঘন জঙ্গল, গভীর অরণ্য, খরস্রোতা নদী -- কি পাড়ি দিতে হয়নাই তাহাদের? তাহার উপর, একেক অঞ্চলের মানুষের চাল-চলন, কথাবার্তা একেকরকম, কেউ হয়তো তাহাদের মতোই দ্বীনদার, আবার কেও হয়তো শুধু নামেই মুসলমান, দ্বীনের আলো এখনও দেখিয়া উঠে নাই। অভিজ্ঞতার সাথে মুফতে খোদাতালার পথে প্রচুর নেকীও রোজগার হয়েছে -- এরূপ আত্মবিশ্বাস লইয়াই তাহারা সিনদাদ হইতে আবার নিজ শহরে ফিরিয়া আসার প্রস্তুতি লন।

সেইকালে আরবদেশে সফরের ক্ষেত্রে এক অলিখিত নিয়ম জারি ছিলো, যাহাতে করিয়া, দুইদিন-দুইরাত্রির বেশী সময় লাগে এহেন সফরের বেলায় যেই পথে কেহ গমন করিবে, অবশ্যই তাহা হইতে ভিন্নপথে তাহাকে প্রত্যাবর্তন করিতে হইবে। ইহা লইয়া কাজী সাহেবের মনে খানিকটা পেরেশানি ছিলো, কারণ, ফিরিবার জন্য বাকী যেই পথখানা তাহারা বাছিতে পারিবেন ঐ পথে একখানা বিশালাকায় মরূভূমি আছে। এমনিতেই মরূপথ বিষয়ে তাঁহারা উদ্বিগ্ন ছিলেন, তাহার ওপর মরূপথে উপনীত হইবার পূর্বের রাত্তিরেই কোনো এক পাহাড়ী রাস্তার পাশে বিশ্রাম লইবার সময় যখন তাঁহাদের গাধাগুলি মালসামানা সহ নিরুদ্দেশ হইয়া গেলো, তখন তাহারা সকলেই ভীষন ভয় পাইয়া গেলেন। কিছু দিনার ছাড়া আর কিছুই তাহাদের হাতে রহিলোনা। "নিশ্চয়ই আল্লাহ-তায়ালা আমাদিগের ওপর নারাজ হইয়াছেন!" মুখে কিছু না বলিলেও পাঁচজন পরহেজগার ব্যক্তিই একই কথা ভাবিতেছিলেন।

তবে সকলই খোদাতালার লীলাখেলা, কারণ, গাধাগুলি হারাইয়া যাইবার মাত্র একদিন পরেই মরূঅঞ্চলে উপনীত হইবার কিয়ৎ পূর্বে যখন কাজী আল মকসুদ তাঁহার সফরসঙ্গীদের লইয়া ছোটখাটো এক গ্রাম্যবাজারে থানকুনি পাতার চা পান করিতেছিলেন, তক্ষণে কোথা হইতে এক উষ্ট্রবিক্রেতা আসিয়া অত্যন্ত কমদামে পাঁচখানা উষ্ট্র তাঁহাদের কাছে বিক্রী করিতে চাহিলেন। নামমাত্র মূল্যে উষ্ট্র খরিদ করিবার সম্ভাবনায় চার গোত্রপতিই অত্যন্ত খুশী হইয়া পড়িলেন, যদিও সেইজন্য খোদাতালার শুকরিয়া আদায় না কারিবার মতো পাপ তাহারা করেননাই।

এইদিকে উষ্ট্র ক্র্য়ের বিষয়ে আল মকসুদ খানিকটা চিন্তিত হইয়া পড়েন, তাঁহার মনে এক অজানা সন্দেহ আসিয়া বাসা বাঁধে, "না জানি খোদার তরফ হইতে কি নতুন ইশারা আছে ইহাতে?"।
তাহার ওপর চা পান করিবার প্রাক্কালে তাঁহার পার্শ্বে উপবিষ্ট এক কুষ্ঠরোগী যুবক অথবা বালক যখন তাহাকে ফিসফিস করিয়া কহিলো যে, "আল্লাহর কসম, উহা খরিদ না করাই উত্তম", তখন তাঁহার সন্দেহ আরো গাঢ় হইয়া ওঠে।
এইখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন যে, ঐটুকু বলিয়াই কুষ্ঠরোগীটি সেই যে কোথায় চলিয়া গেলো, তাহাকে আর খুঁজিয়া পাওয়া যায়নাই। কাজী আল মকসুদের ভীতির পেছনে তাহার এই চকিত নিরুদ্দেশ হইয়া পড়াও কাজ করিয়াছিলো বলিয়া বিশেষজ্ঞগন মনে করিয়া থাকেন।

যতই কাজী অথবা সম্মানিত ব্যক্তিত্ব হোননা কেনো, সমষ্টির দাবী অবহেলা করা বড়ই কঠিন। বিশেষ করিয়া চার গোত্রপতি যখন কহিলো, "কাজী সাহেব, যেহেতু এখনও সামান্য দিনার হাতে আপনার আছে, তাই আপনিও উটখানা ক্রয় করিলে আমাদের ভ্রমনখানি আরামদায়ক হয়। কাউকে আপনার দায় লইতে হয়না।", তখন মনেপ্রানে পরহেজগার কাজী আল মকসুদ আর মানা করিতে পারিলেননা। কারণ, অন্যের বোঝা হওয়াটা আল্লাহ বা তাঁর রসুল কেউই পছন্দ করেননা, তাহা কাজী ভালোই জানেন।

স্বল্পমূল্যের উষ্ট্রক্রয়ের কারনে কোন ধরনের বালা-মুসিবতে যে তাঁরা পড়তে পারেন, তাহা লইয়া বিন্দুমাত্র ধারণা থাকিলেও তাহারা ঐ উষ্ট্ররাজির দিকে ফিরিয়াও তাকাইতেননা।



তবে, মূল গল্পের শুরু এইখান হইতে।

প্রথম কয়েকদিন মরূপথে উষ্ট্ররাজি ভালোই কাজ করিতেছিলো, বলটে গেলে সাধারণ উষ্ট্রের চাইতে উহারা কিছুটা দ্রুতই চলিতেছিলো বলিয়া পাঁচ পরহেজগার ব্যক্তি পরস্পরকে মন্তব্য করিয়াছিলেন। ইহার বিশদ বর্ণনা কাজী আল মকসুদের ব্যক্তিগত ডায়েরী "তারিখ আল সফর লিল সিনদাদ" গ্রন্থে পাওয়া যাইতে পারে।

সমস্যার শুরু হয় মরূতে সফর শুরু হইবার চতুর্থ দিন বৈকালে, অর্থাৎ মহররমের সটেরো তারিখ রোজ রবিবারে, যখন হঠাৎ করিয়াই উস্ট্রবহর এক মাঝারী মানের ঝড়ের মুখে পতিত হয়। মরূর ঝড় প্রলয়ংকরী হইলে ভীষন বিপজ্জনক, বালুর বিশাল বিশাল ঢিবিকে এক অঞ্চল হইতে অন্য অঞ্চলে নিয়া ফেলে এই ঝড়, তাহার নিচে চাপা পড়িয়া যায় সবকিছুই। কিন্তু এহেন মাঝারী ঝড়ে উস্ট্রের পিঠে একটু সাহস লইয়া বসিয়া থাকিলেই হয়। পাঁচ মুসাফির তাহাই করিবেন বলিয়া ঠিক করিয়াছিলেন, কিন্তু উষ্ট্রকুল তাহাদের কথা শুনিলনা।

জানোয়ারের প্রলয় বুঝিবার ক্ষমতা বেশী বলা হইয়া থাকিলেও, এইক্ষেত্রে তাহার বিপরীতটি ঘটিলো। প্রলয়ংকারী ঝড় হইবে ভাবিয়াই হয়তোবা, মালিকদিগকে পিঠে লইয়াই তাহারা দিগ্বিদিকজ্ঞানশূন্য হইয়া অজানার পানে ছুটিতে লাগিলো। তাহাদের গতি ছিলো অশ্বের চাইতেও বেশী, যাহার ফলে মালিকগণ লম্বা সময় ধরিয়া তাহাদের পৃষ্ঠদেশে নিজেদের আঁকড়াইয়া রাখিতে পারেননাই। ফলশ্রুতিতে সন্ধ্যার অব্যবহিত পূর্বে উষ্ট্রের পিঠ হইতে পড়িয়া যাওয়া পাঁচ পরহেজগার মুসাফিরের পূনর্মিলন সম্ভব হইলেও, উষ্ট্রদিগকে আর কোথাও খুঁজিয়া পাওয়া যায়নাই।

সফরের আমীর কাজি আল মকসুদ কহিলেন, "সকলই আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালার ইচ্ছে। তিনি যখন চাহেন নাই, তখন আমাদিগেরও আর উষ্ট্রের পিঠে চড়া হইলোনা। অতএব ভাইসকল, আসুন আমরা পদব্রজেই পশ্চিম অভিমুখে রওয়ানা দিই। নিশ্চয়ই ইহাতেও আল্লাহর কোন ইশারা আছে।"

মরূর ঝড়ের চাইতেও আরো বড় কোনো সমস্যায় যে পড়া সম্ভব, বরাবরের মতোই সেই মুহূর্তে পাঁচ পরহেজগার ব্যক্তি তাহার সামন্যও আঁচ করিতে পারেননাই।

(চলবে ...)
#পুরো গল্পটাই কাল্পনিক
#ছোটকালে পড়া নীতিগল্পের আদলে লেখার অপচেষ্টা

১০টি মন্তব্য ৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সবুজের মাঝে বড় হলেন, বাচ্চার জন্যে সবুজ রাখবেন না?

লিখেছেন অপলক , ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:১৮

যাদের বয়স ৩০এর বেশি, তারা যতনা সবুজ গাছপালা দেখেছে শৈশবে, তার ৫ বছরের কম বয়সী শিশুও ১০% সবুজ দেখেনা। এটা বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা।



নব্বয়ের দশকে দেশের বনভূমি ছিল ১৬... ...বাকিটুকু পড়ুন

আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে লীগ আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে জামাত

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৪৬


বাংলাদেশে রাজনৈতিক ছদ্মবেশের প্রথম কারিগর জামাত-শিবির। নিরাপত্তার অজুহাতে উনারা এটি করে থাকেন। আইনী কোন বাঁধা নেই এতে,তবে নৈতিক ব্যাপারটা তো অবশ্যই থাকে, রাজনৈতিক সংহিতার কারণেই এটি বেশি হয়ে থাকে। বাংলাদেশে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৪৩

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

চা বাগানের ছবি কৃতজ্ঞতা: http://www.peakpx.com এর প্রতি।

আমাদের সময় একাডেমিক পড়াশোনার একটা আলাদা বৈশিষ্ট্য ছিল। চয়নিকা বইয়ের গল্পগুলো বেশ আনন্দদায়ক ছিল। যেমন, চাষীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×