somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

ম্যাড মাক্স
নিজেকে নিয়ে তেমন কিছু লেখার নেই।“ভাসিয়ে দেবার প্রবণতা প্রকৃতির ভেতর আছে। সে জোছনা দিয়ে ভাসিয়ে দেয়, বৃষ্টি দিয়ে ভাসিয়ে দেয়, তুষারপাত দিয়ে ভাসিয়ে দেয়। আবার প্রবল প্রেম, প্রবল বেদনা দিয়েও তার সৃষ্টজগৎকে ভাসিয়ে দেয়।”―Humayun Ahmed

গোপন কথাটি রবে কি গোপনে?

২৮ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ৮:৩১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



সাংকেতিক লেখা নিয়ে চর্চার নামই ক্রিপ্টোলজি। গ্রিক শব্দ 'ক্রিপ্টোজ' আর 'গ্রাফেইন' থেকে এর উদ্ভব। ক্রিপ্টোজ অর্থ গোপনীয় আর গ্রাফেইন মানে লেখা। এই দুয়ে মিলে 'ক্রিপ্টোগ্রাফি', অর্থাৎ 'গোপন লেখা'। আর এ-বিষয়ক চর্চার নাম 'ক্রিপ্টোলজি'। অর্থাৎ গোপনীয় সংকেতভিত্তিক লেখা-বিষয়ক চর্চা। আদিতে এ ধরনের লেখার উদ্ভব ঘটে মূলত গোপনীয় কোনো সংবাদ এক জায়গা থেকে অন্যত্র পাঠানোর উদ্দেশ্য। তবে বর্তমান যুগেও গণিতশাস্র, কম্পিউটার বিজ্ঞান, ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং-এসব চর্চায় ব্যবহিত হয় ক্রিপ্টোগ্রাফি।

আধুনিক সময়ের আগ পর্যন্ত ক্রিপ্টোগ্রাফি বলতে প্রধানত কোনো একটা কথাকে আপাতদৃষ্টিতে 'অপাঠযোগ্য' করে তোলাকেই বোঝানো হতো। যেন যার বা যাদের উদ্দেশে ওই বার্তা, তারা ছাড়া অন্য কেউ এ লেখার পাঠোদ্ধার করতে না পারে। ক্রিপ্টোলজি চর্চায় তিনটি শব্দ খুব প্রচলিত-আলিস (এ), অর্থাৎ যে ক্রিপ্টোগ্রাফি পাঠাচ্ছে; বব (বি) হচ্ছে যার উদ্দেশে লেখা হয়েছে ওই বার্তা; আর 'ইভ' হচ্ছে তারা, যাদের কাছে ওই বার্তাকে দুর্বোধ্য রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে।



যুদ্ধের সময় এই ক্রিপ্টোগ্রাফির বহুল ব্যাবহার ঘটে, 'রটন মেশিন' নামে রীতিমতো একটি ডিভাইস তৈরী হয়ে যায় এই কাজে ব্যবহারের জন্য। ১৯২০ থেকে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত ছিল ক্রিপ্টোগ্রাফির ক্ষেত্রে স্বর্ণালি সম। বিশেষ করে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এর ব্যাপক ব্যবহার হয়। তবে যুদ্ধ নয়, গোয়েন্দাগিরি, টাকার হিসাব, ব্যবসার গোপন কৌশল-এসব ক্ষেত্রেও ক্রিপ্টোগ্রাফি চর্চা নতুন কোনো ঘটনা নয়।

যে বার্তাটা পাঠানো হবে, সাধারণ অবস্থায় তাকে বলে 'প্লেইন টেক্সট'। আর রূপান্তর ঘটার পর তার নাম দেওয়া হয় 'সাইফার টেক্সট'। আর 'ডিক্রিপশন' হচ্ছে সাংকেতিক বার্তাটিকে উদ্ধার করে পাঠযোগ্য অবস্থায় নিয়ে আসা।
আজ এই পর্যন্ত, পরের কোনো এক পর্বে ক্রিপ্টোগ্রাফ কি করে তৈরী করা যায় এবং কিভাবে পাঠউদ্ধার করা যায় সে সম্পর্কে লিখব।


তথ্য সাহায্যঃ কিশোর আলো ও উইকিপিডিয়া।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ৮:৩২
৯টি মন্তব্য ৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার কিছু ভুল!

লিখেছেন মোঃ খালিদ সাইফুল্লাহ্‌, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:৪৮

১। ফ্লাস্কে চা থাকে। চা খেতে টেবিলে চলে গেলাম। কাপে দুধ-চিনি নিয়ে পাশে থাকা ফ্লাস্ক না নিয়ে জগ নিয়ে পানি ঢেলে দিলাম। ভাবছিলাম এখন কি করতে হবে? হুঁশ ফিরে এল।... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশের লোকসংস্কৃতিঃ ব্যাঙের বিয়েতে নামবে বৃষ্টি ...

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:০০



অনেক দিন আগে একটা গল্প পড়েছিলাম। গল্পটা ছিল অনেক এই রকম যে চারিদিকে প্রচন্ড গরম। বৃষ্টির নাম নিশানা নেই। ফসলের মাঠ পানি নেই খাল বিল শুকিয়ে যাচ্ছে। এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশি ভাবনা ও একটা সত্য ঘটনা

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:১৭


আমার জীবনের একাংশ জুড়ে আছে; আমি চলচ্চিত্রাভিনেতা। বাংলাদেশেই প্রায় ৩০০-র মত ছবিতে অভিনয় করেছি। আমি খুব বেছে বেছে ভাল গল্পের ভাল ছবিতে কাজ করার চেষ্টা করতাম। বাংলাদেশের প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাকি চাহিয়া লজ্জা দিবেন না ********************

লিখেছেন মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৩৫

যখন প্রথম পড়তে শিখেছি তখন যেখানেই কোন লেখা পেতাম পড়ার চেষ্টা করতাম। সেই সময় দোকানে কোন কিছু কিনতে গেলে সেই দোকানের লেখাগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়তাম। সচরাচর দোকানে যে তিনটি বাক্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×