somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

মাহবু১৫৪
জীবনে সহজেই কোন কিছু পাবার আশা করাটা বোকামী। অনেক ঘাত প্রতিঘাত পার হয়েই আসতে হয় কাংক্ষিত লক্ষে। এই পথ এত সোজা নয়। অনেক ভুল ভ্রান্তি আছে সেই পথ চলায়। হয়তো আরো অনেক কোথিন হবে সামনের পথ টুকু। তারপর ও হার মেনে নেয়ার পক্ষে আমি নই। জয়ী যে আমাকে হতেই হবে।

স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে যারা কানাডা আসতে চান তাদের জন্য কিছু টিপস (অবশ্য পাঠ্য) :):)

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ২:০০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ব্লগে বিভিন্ন সময়ে প্রবাসী ভাইদের অনেক পোস্ট দেখি। দরকারি সেসব পোস্ট থাকে গুরুত্বপূর্ণ সব টিপস। তারপর ও অনেক ব্লগার ভাইয়েরা বিভিন্ন সময় জানতে চান অনেক রকম প্রশ্ন। ব্লগার ভাই / বোনদের কথা বিবেচনা করে আমার আজকের এই পোস্ট।

স্টুডেন্ট ভিসায় কানাডা আসার কথা যদি বিবেচনা করে থাকেন তাহলে কিছু কিছু বিষয় আপনাকে লক্ষ রাখতে হবে। যারা স্কলারশীপ নিয়ে আসেন তাদের কথা ভিন্ন তবে যারা নিজের ফান্ডিং নিয়ে আসেন তাদের জন্য একটু সমস্যা বৈ কি। কারণ কানাডা আসার পর প্রথম ৬ মাস আপনি কোন অফ ক্যাম্পাস চাকরি করতে পারবেন না। অন ক্যাম্পাস চাকরি করা যাবে। তবে ক্যাম্পাসে চাকরি পাওয়াটা একটু সময়ের ব্যপার। যেমন অনেক সময় দেখা গেল যে চাকরির নোটিশ দেয়া হয়েছে কিন্তু হঠাৎ করেই দেখা গেল অ্যাপ্লিকেশন জমা নেয়া বন্ধ করে দিয়েছে।

ভলান্টিয়ার হিসেবে কাজ করা যায় এবং তা সহজলভ্য। তবে আপনার যদি মাগনা খাটার মন মানসিকতা থাকে তাহলে তা করতে পারেন। যারা স্কলারশীপ বা ফান্ডিং পেয়ে পড়তে আসেন তারা সাধারণত বাহিরে কোথাও কাজ করার অনুমতি পান না তার ফ্যাকাল্টির কাছ থেকে। অফ ক্যাম্পাস কোন চাকরি করতে হলে তাকে না জানিয়ে করতে হয় এখানে। আর কোনমতে যদি জেনে যান ফ্যাকাল্টি তাহলে ফান্ডিং কমিয়ে দিতে পারেন উনি।

যারা নিজের ফান্ডিং নিয়ে পড়তে আসেন তারা সাধারণত চান যে বিষয়ে পড়তে আসছেন সেই বিষয়ের কিছু কোর্সে যদি ক্রেডিট ট্রান্সফার করা যায় তাহলে খুব ভাল হয়। আপনাদের এখানে জানিয়ে রাখা ভাল যে এই কাজ করে নিজের পায়ে কুড়াল মারার চেয়ে না মারাই ভাল। কারণ আপনি নিশ্চিত থাকুন যে ক্রেডিট ট্রান্সফার করতে চাইলেও আপনাকে কানাডার ইউনিভার্সিটি থেকে দিবে না। তারা আপনাকে উক্ত কোর্সের জন্য অ্যাডভান্স স্ট্যান্ডিং করার অফার করবে। যা আপনি মেনে না নিলেও কিছু করার নেই। করতেই হবে আপনাকে।

কানাডার নিয়ম কানুন অনেক কড়া। এখানে নিয়ম ভাঙ্গলে জেল জরিমানা কিংবা দেশে পাঠিয়ে দেয়া এসবের নজির ও আছে। এমন অনেক ছাত্র আছে যারা ৬ মাস পুরণ হওয়ার আগেই অফ ক্যাম্পাস চাকরি শুরু করে দেয়। সাবধান! এটা করলে আপনার বিশাল সমস্যা হবে। একবার যদি ধরা পরেন তাহলে ক্ষতি আপনারই হবে।

থাকা খাওয়ার খরচ বলতে গেলে অনেক বেশি কানাডায়। এক রুমের বাসা ভাড়া ৫০০ ডলার এর উপরে বলতে পারেন। মাঝে মাঝে আবার ৭৫০ ডলার ও হয়। তবে সেই এক রুমে আপনি যদি শেয়ার করে থাকেন কারো সাথে তাহলে তা কমে আসবে। এছাড়া রয়েছে বিভিন্ন ইউটিলিটি বিল। খাওয়ার খরচ নির্ভর করে আপনার উপর। আপনি কিভাবে খরচ করবেন তার উপর। হোস্টেলে যদি থাকতে চান তাহলে খরচের ভিন্নতা আছে। সেটা হোস্টেল ভেদে তা হয়।

আপনারা বুঝতেই পারছেন যে অন্তত ৬ মাসের থাকা খাওয়ার খরচ পর্যাপ্ত নিয়ে আসতে হবে আপনাকে। যে ইউনিভার্সিটিতে আপনি যে কোর্সের জন্য পড়তে আসতে চাইছেন সেই বিভাগের ডিন কিংবা প্রোগ্রাম অ্যাডভাইজারের সাথে যোগাযোগ রাখুন। কারণ তিনি আপনাকে জানাবেন ভর্তির সব নিয়ম কানুন। তবে মাথায় রাখবেন সবসময় যে ১ টা মেইল দিলে চলবে না। আপনাকে বার বার মেইল করে রিমাইন্ডার দিতে হবে তাদের। আপনি যদি তাদের ১০ টা মেইল দেন তাহলে তারা ১ টা উত্তর দিতে পারে।

আপনি যদি মে মাসে পড়তে আসেন তাহলে আপনাকে অবশ্যই ৬/৭ মাস আগে থেকেই অ্যাপ্লিকাশন প্রসেস শুরু করতে হবে। কারণ মাঝে মাঝে ইউনিভার্সিটি অফার লেটার পাঠাতে দেরি করে। এর ফলে দেখা যায় যেই সেমিস্টারে আপনি আসতে চেয়েছিলেন সেই সময়ে আপনি আসতে পারছেন না। ফলে ৪ মাস সময় আপনার নষ্ট হয়ে গেল। ইউনিভার্সিটি থেকে অফার লেটার পাওয়ার পরই আপনাকে ভিসা প্রসেস করতে হবে। আর বাংলাদেশ থেকে ভিসা পাওয়া একটু সময় সাপেক্ষ ব্যপার। আর তাই এসব কাজ করার সময় আপনাকে অবশ্যই সঠিক সময় হিসেব করে নিতে হবে।

আপনার পড়াশোনার যাবতীয় খরচ (স্পন্সর) যিনি বহন করবেন উনি কানাডায় যদি অবস্থান করেন তাহলে তাকে স্পন্সর হিসেবে না দেখানোই ভাল। কারণ এতে আপনার ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনা হ্রাস পেতে পারে। আর তাই দেশে থাকে এমন কেউ স্পন্সর করে তাহলেই ভাল হয়। ধরেন আপনি মাষ্টার্স করতে চাচ্ছেন আর তার মেয়াদ ২ বছরের। আপনাকে যিনি স্পন্সর করবেন উনার ১ বছরের ব্যাংক হিসেব থেকে শুরু করে যাবতীয় যত আয়, ব্যায় আছে সব দেখাতে হবে।

আর একটা কথা। ২ বছরের মাষ্টার্স প্রোগ্রাম হলেও ভিসাতে আপনাকে দেয়া হতে পারে মাত্র দেড় বছরের। এতে খুব বেশি টেনশনের কিছু নেই। কারণ এখানে এসে আপনি ভিসার মেয়াদ বাড়িয়ে নিতে পারবেন।


আজ তাহলে এই পর্যন্তই থাকলো। ভাল থাকুন সবাই ।
২৬টি মন্তব্য ২৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বাংলাদেশের লোকসংস্কৃতিঃ ব্যাঙের বিয়েতে নামবে বৃষ্টি ...

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:০০



অনেক দিন আগে একটা গল্প পড়েছিলাম। গল্পটা ছিল অনেক এই রকম যে চারিদিকে প্রচন্ড গরম। বৃষ্টির নাম নিশানা নেই। ফসলের মাঠ পানি নেই খাল বিল শুকিয়ে যাচ্ছে। এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশি ভাবনা ও একটা সত্য ঘটনা

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:১৭


আমার জীবনের একাংশ জুড়ে আছে; আমি চলচ্চিত্রাভিনেতা। বাংলাদেশেই প্রায় ৩০০-র মত ছবিতে অভিনয় করেছি। আমি খুব বেছে বেছে ভাল গল্পের ভাল ছবিতে কাজ করার চেষ্টা করতাম। বাংলাদেশের প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাকি চাহিয়া লজ্জা দিবেন না ********************

লিখেছেন মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৩৫

যখন প্রথম পড়তে শিখেছি তখন যেখানেই কোন লেখা পেতাম পড়ার চেষ্টা করতাম। সেই সময় দোকানে কোন কিছু কিনতে গেলে সেই দোকানের লেখাগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়তাম। সচরাচর দোকানে যে তিনটি বাক্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

=এই গরমে সবুজে রাখুন চোখ=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১

০১।



চোখ তোমার জ্বলে যায় রোদের আগুনে?
তুমি চোখ রাখো সবুজে এবেলা
আমায় নিয়ে ঘুরে আসো সবুজ অরণ্যে, সবুজ মাঠে;
না বলো না আজ, ফিরিয়ো না মুখ উল্টো।
====================================
এই গরমে একটু সবুজ ছবি দেয়ার চেষ্টা... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×