কনরাড রকসের সিদ্ধার্থ
২৬ শে আগস্ট, ২০০৬ ভোর ৬:৩৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আগে একবার সিদ্ধার্থ দেখেছিলাম। ডিভিডিতে পেয়ে আবার দেখলাম। নোবেল পুরস্কার প্রাপ্ত জার্মান ঔপন্যাসিক হারমান হেসের উপন্যাস সিদ্ধার্থ থেকে অ্যাডাপ্ট করা হয়েছে মুভিটির কাহিনী। অতীতে এবং এখনও অরিয়েন্টালিস্টরা নানাভাবে ভারতকে এবং এর স্পিরিচুয়ালিটিকে বুঝতে চেয়েছেন। কিন্তু সবাই পূর্বধারণা বশত এমন এক ভারতকে উপস্থাপন করেছেন যাকে জীবিত ভারতীয়রা ভারত বলতে রাজি হবেন না। কিন্তু হারমান হেসের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ কম। ভারতের স্পিরিচুয়াল সার্চিংকে অনেকটা অরিজিনাল জায়গা থেকে দেখতে পেরেছেন। তারও সমালোচনা আছে কিন্তুনভেলিস্ট হিসাবে তার জায়গাটা অরিয়েন্টালিস্টদের থেকে পোক্ত। হেস উপন্যাসটি লিখেছিলেন 1922 সালে। আর কনরাড ফিল্ম বানিয়েছেন 1972 সালে। আর এতে তিনি অভিনেতা হিসাবে বাছাই করেছিলেন তখনকার প্রতিভাবান ভারতীয় শিল্পীদেরকেই। এতে সেনসেশনাল অভিনয় করেছেন সিমি গাড়োয়েল। আর ঋষি কাপুর। থিম মিউজিকে কণ্ঠ দিয়েছেন হেমন্ত মুখোপাধ্যায়। সিদ্ধার্থের ভূমিকায় শশিকে অনেকেই মেনে নিতে পারেননি। কিন্তুকমলার ভূমিকায় সিমিকে নিয়ে কোনো তর্ক চলে না।
সিদ্ধার্থ সিনেমার কাহিনী বুদ্ধের সমসাময়িক। এক ব্রাহ্মণ তরুণ মোক্ষ ও মুক্তির উদ্দেশ্যে ঘর ছেড়ে বের হয়। সন্ন্যাসি হবার জন্য সে বনে গিয়ে সাধনা করতে থাকে। দীর্ঘ সাধনার পর সে বুঝতে পারে এভাবে মুক্তি পাবে না সে। তাই সে ও তার বন্ধু গোবিন্দ বুদ্ধের শরণাপন্ন হয়। গোবিনদ বুদ্ধের শিষ্য হলে তাকে ছেড়ে যায় সিদ্ধার্থ। বাসুদেব নামের এক মাঝির ঘরে এক রাত কাটিয়ে শহরে যায় সে। সেখানে কমলা নামের এক পতিতার কাছে ভালোবাসা বিষয়ে শক্ষালাভ করতে যায়। কমলা তাকে ভালোবাসা দেয়। আর দেয় কাজের সন্ধান। কমস্বামী নামের এক ব্যবসায়ীর আড়তে কাজ পায় সিদ্ধার্থ। অনেক সময় গৃহী ও ব্যবসায়ী জীবনে কেটে গেলে সিদ্ধার্থ বুঝতে পারে সে কামস্বামীর মতো আরেক ব্যবসায়ী হতে চলেছে। তাই গর্ভবতী প্রেমিকাকে রেখে আবার অজানার উদ্দেশ্যে পা বাড়ায়। আবার তার দেখা হয় মাঝি বাসুদেবের। বাসুদেবের ঘরে তার স্থান হয়। এবং তার সঙ্গে নৌকা চালাতে থাকে সে। এর মধ্যে নদীর ঘাটে এসে সাপের কামড়ে কমলার মৃতু্য হয়। সিদ্ধার্থ তার সন্তানের দেখা পায়। কিন্তু সন্তানের সঙ্গে তার সম্পর্কেরও ইতি ঘটে কদিন। বাসুদেব বৃদ্ধ হলে অবসর গ্রহণ করে। পারাপারের মূল দায়িত্ব আসে সিদ্ধার্থের হাতে। একদিন এই পারাপারের সময় গোবিন্দের দেখা পায়। গোবিন্দকে নিজের জীবনের শিক্ষা বলে সিদ্ধার্থ। বলে স্টপ সার্চিং।
গোবিন্দ তার সঙ্গে পারাপারের কাজে নিয়োজিত হয়।
উপন্যাসটি অসাধারণ। ফিল্মটি একটু কম। সিদ্ধার্থ বইটি বাঙলায় পাওয়া যায়।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
০১।
চোখ তোমার জ্বলে যায় রোদের আগুনে?
তুমি চোখ রাখো সবুজে এবেলা
আমায় নিয়ে ঘুরে আসো সবুজ অরণ্যে, সবুজ মাঠে;
না বলো না আজ, ফিরিয়ো না মুখ উল্টো।
====================================
এই গরমে একটু সবুজ ছবি দেয়ার চেষ্টা...
...বাকিটুকু পড়ুনলিখেছেন
স্প্যানকড, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:১২
ছবি নেট ।
মগজে বাস করে অস্পষ্ট কিছু শব্দ
কুয়াসায় ঢাকা ভোর
মাফলারে চায়ের সদ্য লেগে থাকা লালচে দাগ
দু:খ একদম কাছের
অনেকটা রক্তের সম্পর্কের আত্মীয় ।
প্রেম...
...বাকিটুকু পড়ুনলিখেছেন
করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭
জলে ভাসা পদ্ম আমিকোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!
সানমুনচিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত...
...বাকিটুকু পড়ুন লিখেছেন
এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪
করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন
লিখেছেন
বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫
তুমি যাও চলে
আমি যাই গলে
চলে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফুরালেই দিনের আলোয় ফর্সা
ঘুরেঘুরে ফিরেতো আসে, আসেতো ফিরে
তুমি চলে যাও, তুমি চলে যাও, আমাকে ঘিরে
জড়ায়ে মোহ বাতাসে মদির ঘ্রাণ,...
...বাকিটুকু পড়ুন