somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জীবন ও রাজনৈতিক বাস্তবতার কুড়ি বছর

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০০৭ সন্ধ্যা ৬:২৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

উপন্যাস হিসাবে জীবন ও রাজনৈতিক বাস্তবতা ছিল প্রথম প্রতিশ্রুতি। ফাল্গুন ১৩৯৪ মোতাবেক ফেব্রুয়ারি ১৯৮৭ সালে শহীদুল জহিরের প্রথম উপন্যাস হিসেবে ৪৮ পৃষ্ঠার ক্ষুদ্রাকার এ বইটি প্রকাশিত হয়। উপন্যাসের আকার প্রকার নিয়া বিস্তর বিতর্ক সত্ত্বেও প্রকাশকালে কিংবা এখন কুড়ি বছর অতিবাহিত হওয়ার পরও অনেকেই একে উপন্যাস বলতেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। সে অনুসারে আশির দশকে কবিতা গল্প ও চিন্তাচর্চায় নতুন ধারায় আগমনের যে সম্ভাবনা দেখা গিয়েছিল উপন্যাসে তার প্রথম নিদর্শন ছিল এই উপন্যাসটিই। আশির দশকের লেখকদের মধ্যে উপন্যাসচর্চা কোনো ধারা হিসেবে গড়ে ওঠে নাই। তখনকার লিটল ম্যাগাজিন চর্চাকারী প্রতিশ্রুতিশীল লেখকদের মধ্যে এক নাসরিন জাহান ছাড়া আর কেউ উপন্যাস রচনা অব্যাহত রাখেন নাই। তিনি বাদে ঔপন্যাসিকের কাতারে আসন পেয়েছেন শহীদুল জহির। মামুন হুসাইন নিজের আকারে-প্রকারে উপন্যাসোপম লেখাকে তিনি উপন্যাস না বলে ফিকশন বলেন বিধায় ঔপন্যাসিকদের কাতারে তিনি এখনও অনাশ্রিত। ইতিমধ্যে সেলিম মোরশেদও উপন্যাস লিখেছেন। কবি সুব্রত অগাস্টিন গোমেজ লিখেছেন। কিন্তু তাদের ঔপন্যাসিক হিসেবে গৃহীত হতে দেখা যায় না। এ বাদে আশির দশকের লেজেন্ডারি লেখকরা নিদেনপক্ষে গল্প লেখাও অব্যাহত রাখেন নাই। তাদের একটি বা বড় জোর দুইটি বইয়ের ভার নিয়া তরুণ বাংলা সাহিত্য আজ অবধি তৃপ্তির ঢেকুর তুলে চলেছে। সংখ্যা দিয়া সাহিত্যের তুল্যমূল্য না সম্ভবে। কিন্তু প্রজন্মের সকলে লেম্পেডুসা হয়ে জন্মাইছেন এইটাও কি সম্ভব? একে তো খুব কম লোক অনিয়মিতভাবে হলেও সাহিত্য চর্চা অব্যাহত রাখছেন, তার ওপর আরও কম লেখক লিখে সাহিত্য চর্চা করেছেন। আর উপন্যাস লিখেছেন আরও কম লেখক। ফলে, আশির দশকে যে সম্ভাবনা দেখা দিয়াছিল অংকুরোদগমেই স্থগিত হয়ে আছে। অর্থাৎ আবার কুড়ি বছর পর যদি তোমার সঙ্গে আমার হঠাৎ দেখা হয়ে যায় তবে দেখতে পাবো আশির উপন্যাস তেমনিই আছে, অর্থাৎ জীবন ও রাজনৈতিক বাস্তবতায় স্থগিত। গত বিশ বছরে আশির দশকের তরুণ বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ অবদান হিসেবে বহু চর্চিত, বহু উচ্চারিত ও বহু নন্দিত এ লিজেন্ডারি উপন্যাস। ফলে কবিতার মতো কিংবা গল্পের মতো উপন্যাস কোনো ধারাই তৈয়ার করতে পারে নাই। বাংলাদেশের উপন্যাস এখনও পঞ্চাশের রাজাধিরাজ, ষাটের সম্রাট, সত্তরের সামন্তপ্রভুদের হাতে। সেখানে এখনও আতর-লোবানের গন্ধ, দরবারী সাজগোজ, মার্কসীয় বিশ্ববীক্ষা, এখনও চন্দন কাঠের সৌরভ, বিষণœতা, মনোলগ, বিবমিষা, আধুনিকতার টানাহেঁচড়া, আদিকালের নায়কত্ব, মধ্যবিত্তের পৃষ্ঠপোশন, হালকা প্রেমসংকটের মধ্যে ঘুরে ফিরে পুনরাবৃত্তি ঘটাচ্ছে। আমাদের উপন্যাসে ব্যক্তির মুক্তি ঘটে নাই। ব্যক্তিকে মুক্তি দিতে পারেন নাই বলেই ঔপন্যাসিকরা কালেকটিভের সন্ধানে বাহির হইতে পারেন নাই। সময় ও সমাজ এখনও উপন্যাসের মুখ্য চরিত্র হয় নাই। ব্যক্তির খুচরা অনুভূতি-সংকটের বাইরের বৃহত্তর ও নতুনতর সংকট এখনও আমাদের উপন্যাসের অনধিগম্য। অথচ আশা করা গিয়েছিল : সত্তরের ঝড়-ঝঞ্ঝা যাদের স্পর্শ করে নাই, ষাটের বিষণœ দুনিয়ার মধ্য দিয়া যাদের আসতে হয় নাই, সামরিক শাসনের ভেতর দিয়া যাদের আসতে হয়েছে বটে কিন্তু সামরিক শাসনকে যারা পরাজিত করেছে, অপেক্ষাকৃত উন্মুক্ত তথ্যপ্রবাহের পৃথিবীতে রাষ্ট্রীয় ও ব্যক্তিক স্বাধীনতা আস্বাদনের ভেতর দিয়া যারা সাহিত্যে শামিল আছেন তাদের হাত দিয়া একটা নতুন ধারা এবং নতুন ধারার সাহিত্যের বাজার গড়ে উঠবে। কিন্তু তা হয় নাই। যা হয় নাই, যা হইতে গিয়াও হয় নাই, যা হওয়ার সম্ভাবনা নষ্ট হয়েছে তা নিয়া আলোচনায় কী ফল? ফল একটাই আপাতত। জীবন ও রাজনৈতিক বাস্তবতার সাহিত্যিক পরিপ্রেক্ষিতটাকে স্মরণে আনা।
জীবন ও রাজনৈতিক বাস্তবতা হলো বহু নিঃসন্তান ব্যক্তির মধ্যে এক ব্যক্তির সন্তান। বাবার বন্ধুদের আদরে আপ্যায়নে বড় হওয়া একমাত্র পুত্র। পুরাকালে হলে বলা হইতো সাত রাজার ধন। সফল বটে, সার্থকও বটে। কিন্তু পুরো একটি প্রজন্মের গর্বের বিষয়। সেনসেটিভ ইস্যু।
আমি ১৯৯৭ সালে একবার, ২০০৭ সালে একবার সাকুল্যে এ দুই দফা নভেলাটি পড়েছি। এরশাদ শাসন বিরোধী আন্দোলনের বাস্তবতায় আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে বোঝাপড়ার ফলে মুক্তিযুদ্ধের সময়কার এক অসহায় ভিক্টিমের মধ্যে নতুন করে যে ভীতি তৈয়ার হয় এবং যার পরিণতিতে সে পুরাতন বসতবাটি ত্যাগ করে নতুন একটি বাসস্থান বেছে নেবার তাড়না বোধ করে। যে নতুন স্থানটিতে সে অতীত পরিচয় গোপন রেখে বেঁচে থাকতে পারবে। ১৯৮৬ সালে যখন উপন্যাসটি প্রকাশিত হয় তখন লেখকের কাছে এটা ভীষণ প্রাসঙ্গিক ও তাড়িত করার মতো একটা বিষয়। কেন এক কুখ্যাত রাজাকারের পুত্র হরতাল শেষে সবাইকে ধন্যবাদ দেয় এ নিয়েই উপন্যাসের মুখ্য চরিত্রটি তীব্র তাড়না বোধ করে। এবং ফাশব্যাকে তার এই তাড়নার কারণ লেখক আমাদের কাছে পরিষ্কার করেন। ১৯৯৭ সালে আমি যখন উপন্যাসটি পড়ছিলাম তখন আওয়ামী লীগ-জামাত সম্মিলিত আন্দোলনের ফসল হিসেবে আওয়ামী লীগ সরকার ঐক্যমত্যের সরকার গঠন করেছে। তাদের সমর্থন দিয়েছে ১৯৮৬ সালে যার বিরুদ্ধে হরতাল পালন করে রাজাকারের সন্তান সবাইকে ধন্যবাদ দিচ্ছিল সেই সামরিক শাসকের দল। আর ২০০৭ সালে যখন উপন্যাসটি আবার পড়লাম তখন বিএনপি-জামাত সরকার ক্ষমতা থেকে সদ্য চলে গেছে। যে রাজাকারের সন্তানের ধন্যবাদ আবদুল মজিদ সহ্য করতে না পেরে, আওয়ামী লীগের সঙ্গে রাজাকারের বোঝাপড়ার রাজনৈতিক ধারাক্রম নিয়ে শংকিত হয়ে স্থানচ্যুতির সিদ্ধান্তকে বেছে নিয়েছিল, সেই রাজাকারদের সন্তান নয়, সেই রাজাকারদের নেতারা বিএনপির সঙ্গে মিলে দেশ শাসন করে আপাত শীতনিদ্রায় আচ্ছন্ন। দুর্নীতি দমন চলিতেছে।
স্বাভাবিক কারণেই ১৯৮৭ সালের পরের ঘটনা উপন্যাসে নাই। মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের ভিক্টিম আবদুল মজিদদের ভীতি ও শঙ্কা কত বিস্তৃত হয়েছে তার বিবরণও এইখানে নাই। জীবন ও রাজনৈতিক বাস্তবতা ব্যক্তির জীবনে জাতীয় রাজনৈতিক সংকটের প্রভাব ও তার পরবর্তী অভিঘাত নিয়ে আলোচনার সূচনামাত্র করেছিল। করেছিল বলেই সময়ে খুঁটি গেড়ে গেড়ে সহজেই সময়ের একটা তুল্যমূল্য বিচার আমরা দেখাতে পারছি। কিন্তু পুরো চিত্রটা আমরা পাচ্ছি না, কারণ উপন্যাসটি ওই পর্যন্ত এসেই থেমে আছে। আমাদের বহুমাত্রিক, বহুস্তর সংকটকে স্পর্শ করার মতো আর কোনো ঔপন্যাসিক উদ্যোগ আসে নাই। ফলে, আমাদের ক্ষুদ্র জাতীয় রাজনৈতিক জীবনের আর কোনো অভিঘাত আমাদের উপন্যাসে এসে পড়লো না। এবং আমাদের জীবন ও রাজনৈতিক বাস্তবতার পুরো চিত্রটা অপরিচ্ছন্নই থেকে গেল। এই রাজনৈতিক ইতিহাসের ধারাক্রম যদি মাথায় রাখি তাহলে জীবন ও রাজনৈতিক বাস্তবতা হলো কুড়ি বছর আগের কাহিনী। একটা ডকুমেন্ট। হ্যাঁ, এর মধ্যে ওইটুকুই পর্যালোচনার বিষয় যে ঔপন্যাসিক ২০ বছর আগেই রাজাকারদের রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসার সম্ভবনার কথা পুরোপুরি ভাবতে না পারলেও তাদের ক্রমবৃদ্ধির সম্ভাবনাকে স্পষ্ট দেখতে পেয়েছিলেন।
বাকী থাকে ভাষা ও বর্ণনার সক্ষমতা। শহীদুল জহিরের ভাষা যাদুকরী। অনেকে জাদুবাস্তবও বলে থাকেন একে। গাঁথুনি/বয়ন আকর্ষণীয়। নিজের একটি ভাষাভঙ্গি তিনি তৈয়ার করেছেন। এবং এই বিশেষ ভাষাভঙ্গির মধ্যেই তার আবর্তন। জীবন ও রাজনৈতিক বাস্তবতার মধ্য দিয়ে এই ভাষাভঙ্গির শুভ সূচনা হয়েছিল। পরে তা আরও শক্তিশালী হয়েছে। এই ভাষার প্রাথমিক নজির জীবন ও রাজনৈতিক বাস্তবতা। ভাষা নিয়ে দক্ষ বাজিকরের মতো যে ডিলিং শহীদুল জহিরের তা এইখানে অনেকটাই অনুপস্থিত। এ কথা ঠিক পরবর্তী কালে তিনি মুক্তিযুদ্ধ ও অন্যান্য রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট নিয়ে গল্প লিখেছেন। সেগুলো প্রাসঙ্গিক ও আলোচ্য, কিন্তু এইখানে সেগুলোর উল্লেখ খুব জরুরি নয় বলেই মনে হচ্ছে। যেহেতু আমার প্রথম বিবেচনা ওই উপন্যাসটিই।
সাধারণ বিচারে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ উপন্যাসের জন্য খুব কার্যকর বিষয় নয়। কারণ একজন এনলাইটেন্ড লেখক এ নিয়ে কী ভাবেন, এর সংকটকে তিনি কিভাবে দেখেন, এ নিয়ে তার অনুভূতির স্পর্শকাতরতা খুব অচেনা বিষয় নয়। বরং সাধারণত জানাশোনার মধ্যেই লেখকরা আবর্তিত হন। কোনো বিষয় যখন উপন্যাসিত হয় অর্থাৎ একে যখন তার জানাশোনা বিন্যাসের থেকে পৃথক আরেকটি বিন্যাসে এনে হাজির করা হয় তখন তাকে বহু দিক ও তল থেকে দেখারই নিয়ম। এজন্য মুখ্য প্রকল্পটিও অনেক সময় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে। এরকম সক্ষমতা নিয়ে মুক্তিযুদ্ধকে বিষয় করে কেউ লিখতে এসেছেন বলে মনে হয় না। আর লেখেননি বলেই, ঔপন্যাসিকভাবে মুক্তিযুদ্ধকে দেখার উদ্যোগ আমাদের এখানে আসেনি। এখানে গদ্যে যা হয়েছে তা হলো স্রেফ একতলীয় বর্ণনা। উপন্যাসিত হয়নি বিষয়টি। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কোনো লেখকের ভিন্ন কোনো রিডিং আছে কি না তার আভাসও মেলেনি। ইনক্লুডিং শহীদুল জহির, ব্যাপারগুলো ওই পর্যন্তই থেকে গেছে।

উপন্যাসটি প্রকাশিত হয়েছিল শিল্পতরু প্রকাশনী থেকে। দাম মাত্র চল্লিশ টাকা। যতদূর জানি তাতে শাহবাগের বইয়ের দোকানে উপন্যাসটি এভেইলএবল থাকার কথা।
২০টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মুমিনী চেহারা ও পোশাক দেখে শান্তি পেলাম

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৮



স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দুই টাকার জ্ঞানী বনাম তিনশো মিলিয়নের জ্ঞানী!

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ২:৫৯

বিশ্বের নামীদামী অমুসলিমদের মুসলিম হয়ে যাওয়াটা আমার কাছে তেমন কোন বিষয় মনে হত না বা বলা চলে এদের নিয়ে আমার কোন আগ্রহ ছিল না। কিন্তু আজ অষ্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ডিজাইনার মিঃ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×