somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

শাহবাগ মোড় থিকা নির্লজ্জ প্রচারণা যন্ত্রটি সরান

১২ ই জুলাই, ২০০৮ দুপুর ১:৪০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

শাহবাগ মোড়ে একটা টিভি/ভিডিও স্ক্রিন বসানো হইছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢোকার মুখে। জাতীয় জাদুঘরের ঠিক সামনে। জিনিশটা দেখে প্রথম যে অনুভূতি তৈরি হয়, সেইটার নাম বিরক্তি। কিন্তু আমজনতার বিরক্তি খুব ভাল জিনিশ না। তাই এই নিয়া কোনো গুরুতর অনুভূতি তৈরি হইতে দেই নাই নিজমনে। কিন্তু ব্লগে দুইটা লেখা পড়ার পর দুইদিন এই টিভি স্ক্রিনটার দিকে চাহিয়া আরো কিছু অনুভূতি ও চিন্তা তৈরি হইলো। ব্লগে একটা পোস্ট দিছেন ঘাসফুল(Click This Link)। আরেকটা দিছেন মাসুদ যা বলেছেন ঠিকই (Click This Link)। পরপর দুইদিন শাহবাগ গিয়া এই স্ক্রিনটার দিকে ফ্যালফ্যাল করে দেখে থেকে বুঝলাম এই জিনিশ নিয়া কথা না বলাটা অন্যায়। এইখানে সারাক্ষণ নির্বাচন কমিশন ও আমাদের দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর নির্বাচনী কাজের অগ্রগতি বর্ণনা করা হয়। ফাঁকে কিছু বিজ্ঞাপন। আমরা তো জানি, আমাদের নির্বাচন কমিশন কত ভাল কাজ করতেছে। তারা ঠিকঠাক নির্বাচন করবে বইলা আমরা বিশ্বাস করি। আর সেই কাজে আমাদের সেনাবাহিনী প্রচুর সহায়তা দিবে। দিচ্ছে। কাজ মোটামুটি ভাল হইতেছে। এই কথা দেশের সবাই জানে। জানা জিনিশ বেশি কইরা জানাইলে সন্দেহ তৈরি হয়। আর সেই জিনিশটা যদি কানের কাছে মাইক ফিট কইরা বলা হয় তাইলে সন্দেহ ঘনীভূত হয়। স্ক্রিনটা দেওয়া হইছে রাস্তার দিকে মুখ করে। মানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জানানো উদ্দেশ্য না। উদ্দেশ্য হয়তো পিজির মোড়ে আড্ডা দেওয়া সাংবাদিকরা। তাদের আপডেট রাখার জন্যই হয়তো এইটা তাদের দিকে মুখ করে আছে।
কিন্তু এর ফলে বিবিধ ক্ষতি হইতেছে :
১. ঘাসফুলের কথা অনুসারে, পথচারিদের মনোসংযোগে এইটা ব্যাঘাত ঘটাইতেছে। স্ক্রিনটি প্রয়োজনীয় উচ্চতায় স্থাপন না করায় এটি সহজেই পথচারি ও ড্রাইভারদের দৃষ্টিকে বিঘ্নিত করতে পারে।
২. অনেক নিচুতে স্থাপনের কারণে এই চলমান আলোক প্রক্ষেপন যানবহনের আলোক সংকেত বুঝতে বাধা সৃষ্টি করে।
৩. দুটি হাসপাতালের রোগিদের জন্য এইটার শব্দ ও আলো ডিস্টার্বিং হইতে পারে।
৪. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশের মুখে হঠাৎ আলো থিকা হঠাৎ অন্ধকারে যাইতে পথিক ও যানবহনকে অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়।
৫. চারুকলা থেকে জাতীয় জাদুঘর পর্যন্ত স্থানে যে আড্ডা বসে এবং পিজির সামনে আড্ডাটি এই স্ক্রিনের প্রচারের কারণে ব্যাহত হয়।
এইগুলা কারণ বটে। কিন্তু সবচেয়ে বড় কারণ জাতীয় জাদুঘর। জাতীয় জাদুঘরের জিনিশ বাইরে পাচারের অনুমতি দিয়া এই সরকার বহুত ঝামেলা করছে। কিন্তু জাতীয় জাদুঘরের গুরুত্বটা এনারা বুঝতে পারে নাই। তার প্রমাণ হইলো এই টিভিস্ক্রিন। জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা হিসাবে এই জাদুঘরের নিরাপত্তা, সৌন্দর্য ও আকর্ষণ কতটা বিঘ্নিত হইছে তা প্রত্যক্ষদর্শী মাত্রই বুঝবেন। আমি জানি না কোন বুঝদার কর্তৃপক্ষ এইটা বসানোর দায়িত্ব নিছিল আর কোন বুঝদারই বা এইটারে অনুমতি দিছে। যেই দেউক, জাতীয় জাদুঘর সম্পর্কে তাদের কোনো ভাবনাই ছিল না। এখন বিষয় হইলো : নির্বাচন কমিশনের নির্লজ্জ প্রচারণা দেখার জন্য আমাদের সুন্দর, গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থাপনার এই দশা কি আমরা মাইনা নিতে প্রস্তুত?
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি-গ্রামীন ফোন আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা খুব ত্বরিত সাফল্য পাইছেন। তাদের উদ্দেশে বিনীত প্রশ্ন, এই জিনিশটা কি তাদের চোখে পড়ে নাই? নাকি এইটা বিশ্ববিদ্যালয়ে সীমানার বাইরে বইলাই তাদের ভাবনার মধ্যে আসে নাই।

ছবিটা ঘাসফুলের ব্লগ থিকা চুরি করছি।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই জুলাই, ২০০৮ দুপুর ১:৫৯
৮৫টি মন্তব্য ৬১টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জেনে নিন আপনি স্বাভাবিক মানুষ নাকি সাইকো?

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:১৮


আপনার কি কারো ভালো সহ্য হয়না? আপনার পোস্ট কেউ পড়েনা কিন্তু আরিফ আর হুসাইন এর পোস্ট সবাই পড়ে তাই বলে আরিফ ভাইকে হিংসা হয়?কেউ একজন মানুষকে হাসাতে পারে, মানুষ তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×