এখনো দেখি চেষ্টা করলে দুচার লাইন কাব্য বের হয় মস্তিষ্ক থেকে।
মিছে মায়ায় জড়ায়েছো,
কেঁদে কেঁদে বুক ভাসায়েছো,
অপেক্ষার প্রহর কাটেনি,
আশার প্রদীপ জ্বলেনি?
তবুও কেনো হাল ছাড়োনা,
কেনো মিথ্যে করেও "ঘৃণা করি" বলতে পারনা?
কেন রাগ অভিমান ভুলে অহেতুক জড়াও আরো মিছে মায়ায়?
কেন কষ্টের তীব্রতা হাসিমুখে সয়ে
অযথাই ভাস নিরাসায়?
বিক্ষুব্ধ হয়ে কেন পারনা,
চিৎকার করে বলতে " না ভালোবাসিনা"?
প্রতীক্ষার যাতনা সইতে সইতে কেন ধৈর্যহারা হয়ে ক্ষান্ত দাওনা?
আষ্টেপৃষ্ঠে কিসের টানে ভালোবাসার যাতনা মেখে অপেক্ষায় প্রহর গুনো?
মুমূর্ষু রোগীর মত মৃত্যু নাকি জীবনী ফিরে পবার এত দ্বিধা কেন তোমার?
স্বপ্ন দেখতেও কেন ভয় পাও নতুন কোনো জগতে নতুন করে শুরু করার?
এত অবহেলা কেন সইতে হবে, হৃদয়ে কি প্রশ্ন জাগেনা?
অনুভূতিরা ক্লান্ত হয়ে চলে যাবে, তবু কেন ভয় পাওনা?
আবেগের কারুকার্যে প্রতারিত হচ্ছো কেন বুঝতে চাওনা?
ভাবলেশহীন জীবন, তুমি আর কতকাল বইবে অযথা?
কেন উপলব্দি করনা বাস্তবতার কাছে তোমার শত আস্ফাল বৃথা,
একবার না হয় বেরিয়ে এসো, আবেগের বন্দিশালা টপকে,
দেখে যাও জীবনের গোলকধাঁধায় কতশত আছে আটকে।