somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

হারিয়ে যাওয়া কিছু খেলা ও খেলার ছড়া

৩০ শে নভেম্বর, ২০১২ রাত ৮:০১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
কয়েকটি খেলা ও খেলায় বলা ছড়ার কথা লিখছি। দেখুন তো খেলাগুলোর কথা কারো মনে পরে কিনা.........



ওপেনদি বায়োস্কোপ
লাইনটানা টেলিস্কোপ,
চুলটানা বিবিয়ানা
সাহেববাবুর বৈঠকখানা,
সাহেব বলেছে যেতে
পান সুপারী খেতে,
পানের আগায় মরিচ বাটা
স্প্রিং এ চাবি কাটা,
যার নাম রেণু বালা
গলায় দিলাম মুক্তার মালা!!


ইপ্টিপিন সিফটিপিন
খুকু খায় ভিটামিন
ভিটামিনে পোকা
ডাক্তার সাহেব বোকা।



ওয়ান টু থ্রি
পাইলাম একটা বিড়ি
বিড়িতে নাই আগুন
পাইলাম একটা বাগুন(বেগুন)
বেগুনে নাই বিচি
পাইলাম একটা কেঁচি
কেঁচিতে নাই ধার
পাইলাম একটা হাঁর
হাঁরে নাই লকেট
পাইলাম একটা পকেট
পকেটে নাই টাকা
কেমনে যামু ঢাকা
ঢাকায় নাই গাড়ি
কেমনে যামু বাড়ী
বাড়িতে নাই ভাত
দিলাম একটা পা*
পা* নাই গন্ধ
হাই স্কুল বন্ধ
হাই স্কুলে যামু না
বেতের বাড়ি খামুনা
ব্যাত গ্যাছে ভাইঙ্গা
স্যারে দেসে কাইন্দা... ওয়া ওয়া !! :D



পাতা পাতা
একজন চোর হয়। বাকিরা বিভিন্ন গাছ ধরে দাঁড়িয়ে থাকে। গাছগুলো ওদের বেস। চোর একটা পাতার নাম বলার পর বাকিদের তা আনতে যেতে হবে শ্বাস ধরে রেখে ছি... বলে ও আবার ফিরতে হবে বেস এ। যদি কেউ শ্বাস ছেড়ে দেয় এবং বেস এ ফেরার আগে চোরের হাতে ধরা পরে যায় তবে সে চোর হবে।
"পাতা পাতা
কি পাতা?
আনো যাইয়া অমুক পাতা।"


ফুলটোক্কা
একজনের চোখে হাত দিয়ে আটকে রাখা হয় যাতে সে দেখতে না পারে। এরপর অন্যজন একের পর এক বন্ধুকে ডাকে মাথায় টোকা দিয়ে যাওয়ার জন্য। যার চোখ বন্ধ থাকে তাকে বলতে হয় কে তাকে টোকা দিয়েছে...
"ডাক ডাক ডাক কুছকো
আয়রে আমার ময়না
আয়রে আমার টিয়া"




মাংস চুরি

এটা হাডুডু খেলার মতই তবে দুই পক্ষের মাঝে একটা ইটের টুকরা মাংস বানিয়ে রাখা হয়। একদল মাংস পাহাড়া দেয় আর অন্যদল থেকে একজন শ্বাস ধরে রেখে ছি... বলতে বলতে মাংস নিতে আসে। যদি সে মাংস নিতে গিয়ে পাহাড়াদার দলের কারো গা ছুয়ে দেয় এবং নিজেদের সীমানায় ফিরে আসে তবে পাহারাদার দলের সে আউট। আর সাথে যদি মাংস নিয়া আসতে পারে তবে এক পয়েন্ট পাবে তারা আর পরের রাউন্ডে তারা হবে পাহারাদার।যদি মাংস চোর কে পাহারাদার রা তাদের সীমানায় যাওয়ার আগে আটকে ফেলে তবে সে আউট। এভাবে চলবে খেলা।



ইকরি মিকরি
কয়েকজন একসাথে বসে তাদের হাত সামনে বিছিয়ে রাখে। একজন সেই হাতের উপর হাত মুঠ করে একের পর এক হাতে নিয়ে যায় এবং ছড়া বলে
"ইকরি মিকরি চামের দ্বারা
ঘুঘু গ্যাছে পাইকপাড়া
পাইকপাড়া দিয়া করব কি
হাতের মধ্যে......" ......... তারপর যার হাতে সেস হবে তার হাতে কি আছ এইটা নিয়া খেলা শেষ হবে। পুরোটা মনে নেই :)
তবে শেষে আরেকটা ছড়া বলতে হয়
"কান টানা মৌলবি,
খালে খালে দৌড়াবি..."



"আকাশ থেকে নেমে এল ছোট্ট একটি প্লেন
সেই প্লেনে বসা ছিল ছোট্ট একটি মেম
সেই মেমকে জিজ্ঞেস করলাম হোয়াট ইজ ইওর নেম?
সে মেমটি উত্তর দিলো, মাই নেম ইজ
সুস্মিতা সেন।" [বন্ধু সায়রা সাদবিন ডরিন]



বরফ পানি
বরফ পানি, ছি... বুড়ি, ছোঁয়াছুঁয়ি খেলার কথা সবারই মনে থাকার কথা। একজন চোর সবাইকে বরফ বানাতে থাকে,মানে ছুঁয়ে দিলে সে জায়গায় দাঁড়িয়ে যায় বরফের মতো। যদি বরফ না হওয়া কেউ এসে তাকে ছুঁয়ে দেয় তবে সে পানি হয়ে মুক্ত হয়ে যাবে। যদি চোর সবাইকেই বরফ বানিয়ে দেয়, তবে সবার আগে যাকে বরফ বানানো হয়েছে সে ই চোর হবে।

১০
ঘুঘু সই
আমাদের এখানে এভাবে...
ঘুঘু সই
বাসা কই,
শিমুল গাছে,
শিমুল গাছ কই?
সুতারে নিছে।
সুতার কই?
পিড়ি সাঁচে।
পিড়ি দিয়া করবা কি?
বউ বসামু।
বউ কই?
জল আনতে গেছে।
জল কই?
ডাহুকে খাইছে।

এ বুড়ি তুমি তোমার নাতিপুতি নিয়া সরও........

সোনার ঘাটে পরবা না রুপার ঘাটে
(বাচ্চাটা জবাব দেয় সোনা/রুপার ঘাট)
বড় তালগাছটা নড়েচড়ে
ছোট তালগাছটা হাপুত কইরা পরে!!!
...... ছোট বাচ্চাদের কোলে নিয়া আদরের ছলে খেলা হয়। সাধারনতঃ মা,খালা,বোন রা এই এভাবে ছড়া বলে বাচ্চাদের আদর করতেন। যদিও এরকম অনেক আছে। আনকমনটাই দিলাম :)


১১
টুনটুনি গো পাখি
নাচো গো দেখি
না বাবা নাচবো না
পরে গেলে বাঁচবো না
লিলি লিলি কোনখানে
পদ্ম ফুলের মাঝখানে
পদ্ম ফুলের বিয়ে
শাপলা শালুক দিয়ে... [ধন্যবাদ ব্লগার খাজুইরা আলাপ]


১২
"আমরা নুড়ি পাথর দিয়ে খেলতাম আর ছড়া ছিল

"ফুলন ফুলন ফুলন
একেতে দুলন
তেলন
ঝামন..."

আর একটা, হাত মেঝেতে সবাই পেতে ছড়া বলতাম

"থালি মাজন থালি মাজন
থালি হল চিত্রে
চিত্রে মাজন চিত্রে মাজন
চিত্রে হলো কলস"... [ধন্যবাদ ব্লগার গ্রাম্যবালিকা]

১৩
আমরা খেলেছি

ইকরি মিকরিঃ

ইকির মিকির চাম চিকির অথবা,
ইকরি মিকরি চাম চিকরি
চামে কাটা মজুমদার,
ধেয়ে এল দামোদর।
দামোদরের হাঁড়ি কুড়ি,
দুয়ারে বসে চাল কাড়ি।
চাল কাড়তে হল বেলা,
ভাত খাবি আয় দুপুর বেলা।
ভাতে পড়ল মাছি
কোদাল দিয়ে চাঁছি।
কোদাল হল ভোঁতা
খা শিয়ালের মাথা।

তারপর

এলাটিং বেলাটিং সই লো
কিসের খবর হইল
রাজা একটি বালিকা চাইল
কোন বালিকা চাইল ?
[নাম বলে] ------- বালিকা চাইল
নিয়ে যাও নিয়ে যাও নিয়ে যাও।

কিম্বা

পেন পেন পেন
পাইলট পেন
সিঁড়ি দিয়ে নেমে এলো
সুচিত্রা সেন।" [ধন্যবাদ ব্লগার জোগ্যান]


১৪
কানে কানে ফিসফিস
এত একজন রাজা থাকে আর থাকে ২টা দল।একটা দলের একজন রাজার কাছে গিয়ে চুপিচুপি অপর দলের একজনের নাম বলে আসে।যদি অপর দল থেকে ঠিক ঐজনই রাজার কাছে এই দলের নাম বলতে আসে তাহলে সে কারাগারে আটকা পড়ে।তখন সেই দল থেকে অপর একজন এসে এই দলের একজনের নাম বলে যায়।কিন্তু যদি এই দল যার নাম বলেছে সে না গিয়ে অন্য একজন যায় তাহলে এই দলের একজনের নাম বলে যাওয়ার সুযোগ পায়।যদি অপরদলের কেও আটকা পড়ে এবং একজন গিয়ে এই দলের যেই জনের নাম বলে গিয়েছে সেই রাজার কাছে নাম বলতে যায় তাহলে সে আটকা পড়ে এবং অপর দলের আটক থাকা খেলোয়াড মুক্তি পেয়ে যায়।এভাবে শেষ পর্যন্ত যেই দলের একজন ছাড়া বাকি সবাই কারাগারে আটকা পড়ে সেই দল পরাজিত হয়।বুদ্ধি দিয়ে খেলাটা খেলতে হয় বলে খেলাটা বেশ উত্তেজনাকর।রাজাকে সবসময় নিরপেক্ষ থাকতে হয়...[ধন্যবাদ ব্লগার নিরপেক্ষ মানুষ]




১৫
লুকোচুরি/ হাইড অ্যান্ড সিক
একজন চোর হয় এবং বাকিরা লুকিয়ে থাকে। চোর ১থেকে ১০ বা ৫০ বা ১০০ পর্যন্ত গুনে আর বাকিরা যে যেখানে পারে লুকিয়ে থাকে। চোরের তাদেরকে খুঁজে বের করতে হয়। যদি সবাইকে চোর খুঁজে পায় তবে ১ম জন চোর হবে। আর যদি সবাইকে খুঁজে পাওয়ার আগে চোর কে কেউ হাত দিয়ে ছুঁয়ে দিতে পারে ধরা না পরে তবে চোর আবার চোর হবে। এভাবেই চলে।




এই পর্যন্তই।মনে পরলে পরে আরও দিব। ধন্যবাদ ।

ছবিঃ RTV News এর সাইট থেকে।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে আগস্ট, ২০২৪ রাত ৮:১৫
৩৯টি মন্তব্য ৩৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমি আর এমন কে

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:১৩


যখন আমি থাকব না কী হবে আর?
থামবে মুহূর্তকাল কিছু দুনিয়ার?
আলো-বাতাস থাকবে এখন যেমন
তুষ্ট করছে গৌরবে সকলের মন।
নদী বয়ে যাবে চিরদিনের মতন,
জোয়ার-ভাটা চলবে সময় যখন।
দিনে সূর্য, আর রাতের আকাশে চাঁদ-
জোছনা ভোলাবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

২০২৪ সালের জুলাই মাস থেকে যেই হত্যাকান্ড শুরু হয়েছে, ইহা কয়েক বছর চলবে।

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪৭



সামুর সামনের পাতায় এখন মহামতি ব্লগার শ্রাবনধারার ১ খানা পোষ্ট ঝুলছে; উহাতে তিনি "জুলাই বেপ্লবের" ১ জল্লাদ বেপ্লবীকে কে বা কাহারা গুলি করতে পারে, সেটার উপর উনার অনুসন্ধানী... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজাকার হিসাবেই গর্ববোধ করবেন মুক্তিযোদ্ধা আখতারুজ্জামান !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:১৮


একজন রাজাকার চিরকাল রাজাকার কিন্তু একবার মুক্তিযোদ্ধা আজীবন মুক্তিযোদ্ধা নয় - হুমায়ুন আজাদের ভবিষ্যৎ বাণী সত্যি হতে চলেছে। বিএনপি থেকে ৫ বার বহিস্কৃত নেতা মেজর আখতারুজ্জামান। আপাদমস্তক টাউট বাটপার একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাঁদগাজীর মত শিম্পাঞ্জিদের পোস্টে আটকে থাকবেন নাকি মাথাটা খাটাবেন?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৭


ধরুন ব্লগে ঢুকে আপনি দেখলেন, আপনার পোস্টে মন্তব্যকারীর নামের মধ্যে "জেন একাত্তর" ওরফে চাঁদগাজীর নাম দেখাচ্ছে। মুহূর্তেই আপনার দাঁত-মুখ শক্ত হয়ে গেল। তার মন্তব্য পড়ার আগেই আপনার মস্তিষ্ক সংকেত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টি দিল্লী থেকে।

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:১৫


((গত ১১ ডিসেম্বর ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টির ইতিবৃত্ত ১ শিরোনামে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। সেটা নাকি ব্লগ রুলসের ধারা ৩ঘ. violation হয়েছে। ধারা ৩ঘ. এ বলা আছে "যেকোন ধরণের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×