somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ সকাল ১১:০৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

অনেকবছর আগে কোথায় জানি পড়ার সুযোগ ঘটেছিল আমেরিকার একটি ছোট্ট শহরে ঘটে যাওয়া একটি সত্যি ঘটনার কথা, যা নায্য বিচারের একটি উজ্জল দৃষ্টান্ত হতে পারে। ঐ শহরের জজ সাহেব সত্যিকার অর্থের একজন সত বিচারক ছিলেন যার সুনাম ছিল শহরের মানুষের মাঝে এবং তারা সবাই তাকে খুবই ভালবাসতেন। ত জজ সাহেবের ছেলে একবার এক জঘন্য অপরাধ করে বসে। কিন্তু ছেলে হলে হবে কি, তার পাপের শাস্তি তাকে পেতেই হবে। জজ সাহেব বিচারে ছেলের মৃত্যুদন্ড ঘোযনা করেন। ঐদিকে আবার শহরবাসী জজের প্রতি তাদের ভালবাসার কথা মনে রেখে ছেলের দন্ড হ্রাসের জন্য আন্দোলন শুরু করল। কিন্তু জজ সাহেব 'হুকুম নড়েনা' বিস্বাসে অবিচল।
শেষে ফাসি যাতে কার্যকর না করা যায় তার জন্য শহরবাসী জজের বাড়ী ঘেড়াও করল।
ছেলেকে ছিনিয়ে নেবে ওরা। ন্যায়ের পক্ষে অবিচল জজ সাহেবও কম যান না।
বন্দুকহাতে ছেলেকে বারান্দায় দাড় করালেন, জনগনের দিকে তাক করে বললেন বাধা দিলে মাথার খুলি উড়িয়ে দেয়া হবে। তারপর ঐ বারান্দায় ছেলেকে ফাসির দড়িতে ঝুলিয়ে দিলেন।

হজরত ওমর রা: সময়ও অনুরুপ একটি ঘটনার কথাও আমরা জানি। ওমর রা: ছেলে অবৈধ যৌনাচারের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হলে তাকে একশ দোররা মারার রায় দেন কাজী সাহেব। ওমরা রা: এর ছেলে বিধায় কাজী সাহেব যখন দোররা মারছিলেন তখন জেনেশুনে একটু আস্তে আস্তে মারছিলেন। হজরত ওমর রা: ব্যপারটি বুঝতে পেরে কাজীর হাত থেকে চাবুক ছিনিয়ে নিলেন তারপর গুনে গুনে একশ পর্যন্ত চাবুক চালালেন গায়ের সমস্ত শক্তি দিয়ে। চাবুক মারা শেষ হলে ছেলে মৃত্যুবরন করল। যতই হোক বাপ উনি। সহ্য হোলনা তার নিজের ছেলেকে কোলে তুলে নিয়ে কান্নায় ভেংগে পড়লেন।

সদিচ্ছা থাকলে শত বাধা সত্তেও যেকোন অপরাধের বিচার করা সম্ভব।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চেয়ে গত ৩৭ বছর ধরে আমাদের দেশে আন্দোলন চলে আসছে, চলছে মিটিং মিছিল, টক শো আর বিভিন্ন ধরনের লেখালেখি। এতে সবার সদেচ্ছার যে অভাব নেই তা বলাই বাহুল্য।

তারপর সংশয় থেকেই যায় যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবীটি আমাদেরকে না শুনতে হয় আরো বহু বছর।

১৬টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সৎ মানুষ দেশে নেই,ব্লগে আছে তো?

লিখেছেন শূন্য সারমর্ম, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:৪৮








আশেপাশে সৎ মানুষ কেমন দেখা যায়? উনারা তো নাকি একা থাকে, সময় সুযোগে সৃষ্টিকর্তা নিজের কাছে তুলে নেয় যা আমাদের ডেফিনিশনে তাড়াতাড়ি চলে যাওয়া বলে। আপনি জীবনে যতগুলো বসন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×