অনেকবছর আগে কোথায় জানি পড়ার সুযোগ ঘটেছিল আমেরিকার একটি ছোট্ট শহরে ঘটে যাওয়া একটি সত্যি ঘটনার কথা, যা নায্য বিচারের একটি উজ্জল দৃষ্টান্ত হতে পারে। ঐ শহরের জজ সাহেব সত্যিকার অর্থের একজন সত বিচারক ছিলেন যার সুনাম ছিল শহরের মানুষের মাঝে এবং তারা সবাই তাকে খুবই ভালবাসতেন। ত জজ সাহেবের ছেলে একবার এক জঘন্য অপরাধ করে বসে। কিন্তু ছেলে হলে হবে কি, তার পাপের শাস্তি তাকে পেতেই হবে। জজ সাহেব বিচারে ছেলের মৃত্যুদন্ড ঘোযনা করেন। ঐদিকে আবার শহরবাসী জজের প্রতি তাদের ভালবাসার কথা মনে রেখে ছেলের দন্ড হ্রাসের জন্য আন্দোলন শুরু করল। কিন্তু জজ সাহেব 'হুকুম নড়েনা' বিস্বাসে অবিচল।
শেষে ফাসি যাতে কার্যকর না করা যায় তার জন্য শহরবাসী জজের বাড়ী ঘেড়াও করল।
ছেলেকে ছিনিয়ে নেবে ওরা। ন্যায়ের পক্ষে অবিচল জজ সাহেবও কম যান না।
বন্দুকহাতে ছেলেকে বারান্দায় দাড় করালেন, জনগনের দিকে তাক করে বললেন বাধা দিলে মাথার খুলি উড়িয়ে দেয়া হবে। তারপর ঐ বারান্দায় ছেলেকে ফাসির দড়িতে ঝুলিয়ে দিলেন।
হজরত ওমর রা: সময়ও অনুরুপ একটি ঘটনার কথাও আমরা জানি। ওমর রা: ছেলে অবৈধ যৌনাচারের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হলে তাকে একশ দোররা মারার রায় দেন কাজী সাহেব। ওমরা রা: এর ছেলে বিধায় কাজী সাহেব যখন দোররা মারছিলেন তখন জেনেশুনে একটু আস্তে আস্তে মারছিলেন। হজরত ওমর রা: ব্যপারটি বুঝতে পেরে কাজীর হাত থেকে চাবুক ছিনিয়ে নিলেন তারপর গুনে গুনে একশ পর্যন্ত চাবুক চালালেন গায়ের সমস্ত শক্তি দিয়ে। চাবুক মারা শেষ হলে ছেলে মৃত্যুবরন করল। যতই হোক বাপ উনি। সহ্য হোলনা তার নিজের ছেলেকে কোলে তুলে নিয়ে কান্নায় ভেংগে পড়লেন।
সদিচ্ছা থাকলে শত বাধা সত্তেও যেকোন অপরাধের বিচার করা সম্ভব।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চেয়ে গত ৩৭ বছর ধরে আমাদের দেশে আন্দোলন চলে আসছে, চলছে মিটিং মিছিল, টক শো আর বিভিন্ন ধরনের লেখালেখি। এতে সবার সদেচ্ছার যে অভাব নেই তা বলাই বাহুল্য।
তারপর সংশয় থেকেই যায় যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবীটি আমাদেরকে না শুনতে হয় আরো বহু বছর।