somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমার নিশীথ রাতের বাদলধারা

১৩ ই এপ্রিল, ২০০৯ রাত ৮:৩৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আজকের দিনটার কথা কি তোমার মনে পড়ে প্রতিফলন?
আচ্ছা, আজকে একবারও কি তোমার মনে পড়েছিলো গত বছরের ঠিক এইদিনটায় দু'দুটো কান্ড ঘটিয়ে আমি তোমার মনটা একিসাথে ভালোলাগা ও কষ্টে ভরিয়ে দিয়েছিলাম।
আসলে কেনো দুটো ঘটনাকে কষ্ট ও ভালো লাগার বলছি জানো?? আমি নিজেই একটা কান্ড ঘটিয়ে খুব খুব মজা পাচ্ছিলাম আর আরেকটায় খুব ভীষন রকম কষ্ট পাচ্ছিলাম।
এই একটা বছর জুড়ে সেই দুটো ঘটনা বার বার আমার স্মৃতির মনিকোঠায় উঁকি দিয়ে গেছে। তুমি নিশ্চয় এত ক্ষণে বুঝে গেছো ঘটনা দুটো কি কি ।

হুম, সেদিন দুপুরে , তখন বেলা বারোটার মত হবে আমি বৈশাখী শাড়ীর সাথে কি কি যেন ম্যাচিং কিছু কিনতে সপিং এ বের হয়েছিলাম। একদম একা ছিলাম সেদিন। কেনো যেনো সবাই এত ব্যাস্ত ছিলো কেউ যায়নি আমার সাথে। হঠাৎ ট্রেন্ডজ এ একটা নীল রং কারুকাজ করা ফতুয়া দেখে সাথে সাথেই আমার তোমার কথাই মনে হলো । ভাবলাম এটা যদি তোমাকে দিতে পারতাম । যেই ভাবা সেই কাজ। আমি কিনে ফেললাম ফতুয়াটা। রেখে আসলাম দোকানীর কাছে। বললাম, প্রতিফলন নামে কেউ আসলে তাকে যেন দিয়ে দেয়।:P
ফিরবার পথেই তোমাকে মেসেজ পাঠালাম, এখুনি যাও ঐ দোকানটায়। আমার তর সইছিলোনা । উৎকন্ঠা, উদ্বেগে.........
হাহাহাহাহা মনে হলেই হাসি পায় সেদিনটার কথা।

এমন কত যে পাগলামী করেছিলাম আমরা! আচ্ছা মনে আছে, একদিন যে আমরা ঠিক করলাম, রোজ রোজ একটা করে নতুন পাগলামী আবিস্কার করবো আমরা । যেদিন নতুন কিছু আবিস্কৃত হবেনা, সেটা হবে আমাদের ব্যর্থতার দিন ।
সেদিনের আবিস্কার করা পাগলামীটা ছিলো, টেলিফোনে টোকা দিয়ে দিয়ে পাগলামী করাটা, এক টোকা দিয়ে ইয়েস আর দুই টোকায় নো বোঝানো। তুমি কথা বলছিলে কিন্তু আমি বলছিলাম না তাই তুমি আবিস্কার করলে এই পাগলামীটা। কিযে হাসি পাচ্ছিলো আমার কথা বন্ধ রাখতে।

যাক সেদিনের কথায় ফিরে আসি। সেদিন সারাটাদিন আমার খুব ভালোলাগার মধ্যে দিয়েই কেঁটেছিলো তবে রাতে যখন তোমার সাথে কথা হয় আর এক পর্যায়ে , হঠাৎ ফিল করি অনেক কষ্ট পেতে হবে তোমার আমাকে ভালোবেসে।সাথে সাথেই অনেক আজেবাজে ব্যবহার করি তোমার সাথে সেদিন রাতে।

তুমি কি ভীষন কষ্ট পেয়েছিলে , খুব অবাকও হয়েছিলে! তুমি সারারাত ঘুমোওনি সেদিন!! জানো যতবার এই কথাটা মনে পড়েছে, যেখানেই মনে পড়েছে আমার অশ্রুধারা বাঁধ মানেনি আমার চোখের পাতায়।

প্রতিফলন, আজ রাতে আবারও সেই রাতটাই আসবে।
হয়ত এই জীবনে যতদিন বেঁচে থাকবো আমরা, একটা মুহুর্তের জন্য হলেও মনে পড়বে সেই কথাটা। কষ্টটা মানুষ বেশী মনে রাখে। ভালোলাগা ভালোবাসাটাই ভুলে যায় খুব তাড়াতাড়ি। আর আমাদের সবটাতেই তো অসম্ভব রকম বাড়াবাড়ি ছিলো তাইনা??
এত কষ্ট এত ভালোবাসা, এত ব্যথা , বেদনা, ভালোলাগা কি এত স হ জে ভোলা যায়???তুমিই বলো!
আমার ভয়টা কোথায় জানো? শুধু ভালোবাসলে খুব সহজেই ভুলে যেতে পারতে আমাকে তুমি। কিন্তু যত কষ্ট দিলাম তোমাকে আমি । তোমার বুকটার ভেতরে একদম কেটে কেটে বসে গেছে সেসব দাগ। খুব স হজে তুলে ফেলতে পারবে না তুমি হয়তো সেসব।

নতুন বছর তোমার জীবনে বয়ে আনুক হাজারো শুভবারোতা।দূর হয়ে যাক সকল ব্যার্থতা । সফলতায় ভরে উঠুক তোমার জীবন।
আমার নিশীথরাতের বাদলধারা, শুধু চুপি চুপি লুকিয়ে থেকো আমার হৃদয়ে তুমি।

যখন সবাই মগন ঘুমের ঘোরে,
নিওগো , নিওগো....
আমার ঘুম নিওগো হরণ করে...

একলা ঘরে চুপে চুপে, এসো কেবল সূরের রুপে,
দিওগো দিওগো
আমার চোখের জলের দিও সাড়া!!

এই পৃথিবীর কেউ না জানুক। শুধু আমি ঠিক ঠিক জেনে যাবো.........





সর্বশেষ এডিট : ১২ ই জুলাই, ২০১০ বিকাল ৪:৪১
৩১টি মন্তব্য ২৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

×