কৃষ্ণবতীর কৃষ্ণ অভিজ্ঞতা
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
(নারী দিবস উপলক্ষে নারীদের প্রতি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে বিশেষ গল্প)
আমি যদি আপনার নজরে পরি,তাহলে হয়তো আপনি দ্বিতীয়বার আমার দিকে ঘুরে তাকাবেন না।তবে তাই বলে আর দশটা কালো মেয়ের মতো হীনমন্যতায় ভুগবো আর ফেচ ফেচ করে কাঁদবো ওইরকম মেয়ে আমি নই।বিধাতার আর দশটি রঙের মত কালো একটি রঙ মাত্র।সাদাকে আমরা পছন্দ করি সেটা আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির জন্যই।আজ যদি আমরা সাদার বদলে কালো ভালবাসতে শুরু করি তবে সাদাই অচ্ছুৎ হয়ে যাবে।মনের নোংরা দিকের মুখোশ হয়ে দাঁড়ায় এই গায়ের রঙটাই।তার সাথে আছে সমাজের লিঙ্গভেদের সীমাবদ্ধতা।ছেলে কালো হলে কালমানিক আর মেয়ে কাল হলে ‘কাইল্লা’...কালো বলে সমাজের বিভিন্ন পর্যায়ে নিগৃহীত হলেও সেটাকে সমাজের দুর্বলতা বলেই ভেবেছি। বয়স্ক হলেই অভিজ্ঞ হওয়া যাবে এটা কিন্তু আমি মানি না।আমার ২৫ বছরের জীবনে এমন কিছু অভিজ্ঞটা করেছি যেটা ৫০ বছরের কেউ সেটা অর্জন করেনি।আজ সেই অভিজ্ঞতাটাই শেয়ার করবো।এই ডিজিটাল যুগে সেটল মেরেজটা কিন্তু বিলুপ্ত হতে চলেছে।হয়তো আমাদের মত যারা কৃষ্ণবতীদের জন্যই এটা টিকে আছে।সেই আদিম পদ্ধতির মত সেজেগুজে পাত্রপক্ষের সামনে হাজির হওয়া আর পাত্রপক্ষের এক গামলা খেয়ে ঢেকুর তুলতে তুলতে পাত্রি দেখা।এটা আমার পছন্দ না হলেও বাবার মুখের দিকে তাকিয়ে না করতে পারতাম না।
ঘটনা-১
বাবার জরুরী ডাকে ভার্সিটি ক্লাসের মাঝেই বাসায় ছুটে গেলাম।ফুপুর মুখে শুনতে পেলাম বিকালে আমাকে দেখতে আসছে।পাত্রের যোগ্যতা দেখে বাবারতো আনন্দ আর ধরে না।ফুপু আমাকে শাড়ি পরিয়ে দিল।এটাই ছিল জীবনের প্রথম শাড়ি পরা।আমি ভয়ে ভয়ে হাঁটছিলাম,ভয় হচ্ছিল এই বুঝি শাড়ি খুলে পরল।অনেকটা চার্লি চ্যাপলিনের মতো হাটতে হাঁটতে পাত্রপক্ষের সামনে গেলাম।ফুপু কড়া করে বলে দিয়েছিলেন ভুলেও যেন ঘাড় না উঠাই।দশ জোড়া চোখের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে গেলাম।চোখের কোন দিয়ে দেখে যা বুঝলাম তাঁতে পাত্রপক্ষের সবাই আমাকে হতাশ হয়েছেন।আর পাত্র বেহায়ার মতো আর কারো ধার না ধরে নিজেও আমার ভাইভা নেয়া শুরু করলো।আমারতো গায়ে জ্বলুনি শুরু হয়ে গেসে।পাত্রের ভাব দেখে মনে হচ্ছিল দুনিয়ার তাবৎ মেয়ে ওনাকে বিয়ে করার জন্য মুখিয়ে আছে।সবার সামনে সে আমাকে তুমি বলতে লাগলো।তার কথাবার্তাতেই বুঝতে পারছিলাম তার বিয়ের কোন মতলব নাই।আমাকে নিয়ে সে কিছুক্ষন নাটক করতে চাচ্ছে।পিত্তি জালানো হাসি হেসে আমাকে তার দিকে তাকাতে বলল।আমি রাগ সামলাতে না পেরে তার দিকে কটমট করে তাকাতে সে ভীষণ ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেলো।কোন পাত্রি এরকম আসরে এভাবে তাকাবে,সে বোধহয় স্বপ্নেও ভাবেনি।
ঘটনা-২
ওইবারের খুব ভাল মনে আছে।এর মাঝে বেশ কয়েকবার বাধ্য হয়ে পাত্রপক্ষের সামনে গেলাম।আমি বোধহয় জন্মথেকেই একটু পাথর টাইপের।এজন্যই বেশ কয়েকবার পাত্রপক্ষ ফিরিয়ে দেবার পরও হতাশা আমাকে স্পর্শ করেনি।কিন্তু আমাকে নিয়ে বাসায় চিন্তার শেষ ছিল না।বাবার সাথে এই নিয়ে বেশ কবার ঝগড়াও হল।ঈদুল আজহার দুদিন পর পাত্রপক্ষ দেখতে এলো।ছেলেটা বেশ সহজসরলই মনে হল।আমাকে মনে হয় পছন্দই করেছিল।কিন্তু ছেলের আত্মীয়রা আমাকে দেখতে এসে এমন ব্যবহার করলো যে খুব কষ্ট পেলাম।ছেলের বোন নিজে নিগ্রো টাইপ কাল হয়েও এমন ভাবে ঠোঁট উল্টিয়ে কথা বলছিল যেন,মনে হচ্ছিল চড়িয়ে দাঁতগুলো ফেলে দেই।সবচেয়ে খারাপ কাজ করল ছেলের মা।আমার পায়ে একটি জন্মগত আঁচিল ছিল।ওইটা দেখে পাত্রের মা বলল,শরীরের আর কোথাও আছে কিনা।মেজাজ আর ধরে রাখতে পারলাম না।বলে বসলাম,আপনারা কি পাত্রী খুজতে আসছেন নাকি কোরবানির হাতে গরু চয়েজ করতে এসেছেন।আমি কালো বলে জীবনে কখনও দুঃখ করিনি।কিন্তু কেন জানি সেদিন খুব দুঃখ হচ্ছিল।
ঘটনা-৩
আমার জীবনে সবচেয়ে নিখাদ কাল ছেলে দেখেছিলাম আমার পাত্র হিসেবেই।এর থেকে বেশী আর কালো সম্ভব না।ছেলের ফ্যামিলির সবাই আমাকে পছন্দ করেছিল।সেই ছেলে আমাকে দেখে তার দুলাভাইকে ফিসফিস করে বলছিল সে আরও সুন্দরী মেয়ে বিয়ে করতে চায়।তার বাচ্চা বাচ্চা মুখে এই কথা শুনে ভীষণ হাসি পাচ্ছিল।ঘানা,নাইজেরিয়ার লোকজনও বোধহয় এতো কালো হয় না।তখন যদি অনন্ত জলিলের কথা জানতাম,তাইলে হয়তো বলেই বসতাম,আর ইউ পম গানা?পরবর্তীতে ছেলে রাজি হলেও আমার আম্মাজান এই বিয়েতে রাজি হননি।
ঘটনা-৪
এই ঘটনাটা আমি কোনদিন হয়তো ভুলতে পারবো না।মাসুদের হ্যান্ডসাম ছেলে আমার জীবনে কমই দেখেছি।ও ছিল বড়ভাইয়ার ফ্রেন্ডের মামাতো ভাই।ওর বাবা-মা দেশের বাইরে থাকতো।ভাইয়া সবসময় বলতো ওদের মতো রুচিশীল,আধুনিকমনা পরিবার আজকাল কমই আছে।মাসুদ যখন আমাকে দেখতে আসে তখন সাথে ছিল ওর বড়খালা।উনি আমাকে বেশ পছন্দ করলেন।আর মাসুদও তাতে আপত্তি করেননি।ফোনে মাসুদের বাবা কথা শুনে বুঝলাম ছেলের পছন্দের প্রতি তাদের কোনই অমত নেই।পরের একমাস মাসুদের সাথে আমার জীবনের সবচেয়ে স্বপ্নময় দিনগুলো কাটালাম।ছেলেটা আমাকে এতো বুঝত যে তাতে আমি নিজেই অবাক হয়ে যেতাম।তাছাড়া এরকম স্মার্ট একটা ছেলের সাথে নিজেকেই বেমানান লাগতো।কিন্তু বিধাতা তখনও আসল খেলাটা খেলেননি।১ মাস ৪ দিন পর মাসুদের বাবা-মা আমাকে দেখতে এলেন।যাবার সময় ওনাদের হাসিখুশি মুখ খুব আশ্বস্ত লাগছিল।কিন্তু এক সপ্তাহ পর যখন মাসুদের মুখে ওর বাবা মার অপছন্দের কথা শুনে আমার দুনিয়াটা যেন স্তব্দ হয়ে গিয়েছিল।মাসুদও বলল সে বাবা মার অমতে বিয়ে করতে চায় না।সবাই বলতো আমি নাকি হাসিখুশি মেয়ে।কিন্তু ওইদিনের পর আমার হাসি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।
ঘটনা-৫
জীবন কারো জন্য থেমে থাকে না।আমার ক্ষেত্রেও তাই হলো।কিন্তু মাসুদের ব্যাপারটা ভুলতে অনেক সময় লেগেছে।আমার জন্য কোন দুঃখ নেই।বিধাতা যদি কপালে বিয়ে রেখেই থাকেন তাহলে তার ঠিক করা ছেলেটার সাথেই বিয়ে হবে।কিন্তু খুব কষ্ট হল মায়ের জন্য।যেদিন মাসুদ আমাকে না করে দিলো,সেদিন মায়ের ডুকরে কান্না আমি জীবনেও ভুলতে পারব না।সবাই বলে আমি নাকি বাবার মতো হাসিখুশি হয়েছি।কিন্তু আমার হাসিখুশি বাবাটা যেন হতাশ,গোমড়া একটা মুখোশ পরে ফেললো।সকাল বেলা উঠে আমার মুখের দিকে তাকালেই বাবার চোখ থেকে টপটপ দুয়েকফোটা পানি ঝরে পরত।এরকম একটা বিধ্বস্ত পরিবেশে মনে হলো,জন্মটাই আমার যেন আজন্ম পাপ।এরপরও আমার বিয়ের পাত্রি সেজে বসা বন্ধ হয়নি।আত্মীয়স্বজনদের চাপে সপ্তাহ না ঘুরতেই সাজুগুজু করে নতুন নতুন ছেলের সামনে হাজির হতে হতো।কিন্তু বিধাতার দেয়া অতিরিক্ত মেলানিনযুক্ত চামড়ার জন্য পাত্রিনির্বাচন নামক পরীক্ষার প্রাথমিক পরীক্ষায় ফেল করে যেতাম।এসব করতে করতে একেবারে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছি।এখন আর শাড়ি পরে পাত্রপক্ষের সামনে যেতে শাড়ি খুলে যাবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগিনা,কিংবা নার্ভাস হয়ে পাত্রপক্ষের সামনে চার্লি চ্যাপলিনের মতো হাটি না।কেউ বললে রোবটের মতো গুটগুট রেডি হয়ে হাজির হয়ে যাই।কলের পুতুলের মতো যা জিজ্ঞেস করা হয় তার উত্তর দেই। এর মধ্যে ঠিক করে ফেললাম আর বিয়ের পথে পা বাড়াবো না।কিন্তু দুর্ভাগ্য আর অপমান পিছু ছাড়েনি।বাবার এক বন্ধু হয়তো আমাকে করুনা করেই আমার জন্য একজন পাত্র ঠিক করলেন।বিপত্নীক পাত্রটি আমার ২১ বছরের বড়।সেইদিন নিজেকে সত্যি সত্যিই ভাঙ্গাকুলার ছাই মনে হচ্ছিল।
ঘটনা-৬
আরও এরকম ঘটনা বলতে চাইলে বলতে পারতাম।কিন্তু এতোকিছুর পরও হতাশাবাদী দলে নিজেকে অন্তর্ভুক্ত করিনি।বিধাতার সৃষ্টিকে কখনো অপমান করার মানে দেখিনি।বিধাতার সৃষ্টির কোন খুঁত নেই,বরং খুত আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির।বিয়ে নিয়ে বোধহয় তখনো কিছু চরম মুহূর্তের কিছু বাকি ছিল।যথারীতি কলের পুতুলের মত ২১তম বারের মত পাত্রপক্ষের সামনে হাজির হলাম।আমার কলেজ বন্ধু আব্দুল্লাহর পীড়াপীড়িতে এবার এই আয়োজন।তখনও পাত্র কি করে সেটা জানিনা।হুট করে অল্প সময়ের বেবধানে এতো কিছুও জানাও সম্ভব ছিল না।জীবনে এই প্রথম আমি পাত্র দেখে চমকে গেলাম।এই ছেলে দেখি আমার মতোই কালো।একটু হাবলু টাইপের চেহারা।পাত্রের প্রোফাইল শুনে চমকে গেলাম।বুয়েট থেকে পাশ করা সিভিল ইঞ্জিনিয়ার।ছেলেটার সাথে কথা বলতে গিয়ে সহজ-সরলই মনে হলো।অন্য বারের মতোই আমাকে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছিল।তবে এবার পার্থক্য ছিল ছেলের মা অতি মিষ্টি ভাষায় আমাকে বুঝিয়ে দিলেন আমি তার ছেলের যোগ্য নই।হাবলু মনে হয় কিছু বলতে চেয়েছিল,কিন্তু পরিস্থিতি দেখে আর সাহস করল না।
ঘটনা-৭
ওইদিন রাতেই সেই হাবলুর ফোন পেয়ে খুব অবাক হলাম।সে আমাকে ফোন করে বলল,পরেরদিন দেখা করতে।বোকা বোকা চেহারার ছেলেটি তার মায়ের অমতে আমাকে বিয়ে করতে চাইল।আমি ওর মায়ের অমতে বিয়ে করতে চাইলাম না।কিন্তু ওর নাছোড়বান্দা মনের কাছে হার মানতেই হল।আমার পরিবারের কারো না করার প্রশ্নই ছিলনা।ঘোর লাগা একটা সময়ের মাঝে হাবলুটার সাথে আমার বিয়ে হয়ে গেল।বিয়ের পরেও সেই ঘোর কাটতে আমার অনেক সময় লেগেছিল।এখনও ব্যাপারটা পুরোপুরি স্বপ্ন কিংবা কল্পনা মনে হয়।ভয় হয় কোনদিন সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে দেখবো বাবা করুন মুখে পাত্রপক্ষের সামনে যাবার জন্য বলছে।
দেখতে দেখতে হাবলুটার সাথে আমার বিয়ের ৩ বছর পূর্ণ হল।হাবলুটার পূর্ণিমা রাতে চাঁদ দেখার খুব শখ।ও যখন চাদের দিকে তাকিয়ে থাকে,আমিও নিঃশব্দে ওর মুখের দিকে তাকিয়ে থাকি।ওর জ্যোৎস্না মাখানো নিস্পাপ মুখের দিকে তাকালে মনে হয়,আসলেই ও একটা হাবলু,নয়তো আমার মতো কালো মেয়ে বেছে নেবে কেন।এরকম যোগ্যতা নিয়ে সে হাজারটা সুন্দরী মেয়ে সে খুঁজে পেতো।তবুও মাঝে মাঝে মনে হয়,হয়তো জীবনের কোন ভাল কাজ করেছিলাম,হয়তো বিধাতার উপর ভরসা হারাইনি বলেই এরকম একটা হাবলু আমার ভালবাসার দেবতা হয়ে ধরা দিয়েছে।আপনারা সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন।আমার মত যারা এরকম কালো হবার কষ্টে ভুগছেন তাদেরকে বলছি,কখনো বিধাতার উপর ভরসা হারাবেন না।বিধাতার উপর ভরসা করুন দেখবেন বিধাতাই আপনার দায়িত্ব নিয়ে নিবেন।
৯টি মন্তব্য ১টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ
মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন
আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(
আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন
আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।
ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন
মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )
যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন
শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন
কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন