প্রতিদিন দল বেঁধে স্কুুলে যাওয়া, স্কুল শেষে একসাথে বাড়ি ফেরা, কখনো তুচ্ছ বিষয নিয়ে একে অপরের গাঁয়ে হাত দেওয়া কিংবা কারো গাছের আম বা ডাব চুরি করা এভাবেই কত আনন্দের সাথে প্রাইমারি স্কুলজীবনের এক একটা দিন কেটে যাচ্ছিল,, , , , কিন্তু এতো আনন্দের মাঝে ও মনের মধ্যেএকটা তীব্র আকাঙ্খা কাজ করত। আকাঙ্খাটা তীব্র থেকে তীব্রতর হতো যখন বড় ভাই-বোনদের হাই-স্কুলে যেতে দেখতাম,, , , দিন গুনতাম কবে আমিও হাই-স্কুলে যাবো, না জানি হাই- স্কুুলের জীবনটা কত মজার! আমার আকাঙ্খাটা একদিন পূরন হয়েছিলো,, , , হাই-স্কুলজীবনের দিনগুলো ছিলো সত্যিই অনেক আনন্দের। তখন বন্ধুত্বের পরিধিটা বিস্তৃত হয়েছিলো, , , মাঝে মাঝে দল বেঁধে ক্লাস ফাঁকি দেওয়ার মজাই ছিল অন্যরকম! কিন্তু এতো আনন্দের মাঝেও মনের মধ্যে কলেজে পড়ার তীব্র আকাঙ্খা কাজ করত,দিন গুনতাম কবে কলেজ জীবনে পদার্পণ করব। আমার এই আকাঙ্খাটা ও একদিন পূরন হয়েছিল। কলেজ জীবনের দিনগুলো ও বন্ধুদের সাথে অনেক আনন্দের সা:থে কেটে যাচ্ছিল। কিন্তু এখানেও সেই আকাঙ্খার পুনরাবৃত্তি, কবে ভার্সিটি জীবনে পদার্পণ করবো , না জানি ভার্সিটি জীবনটা কতো মজার!! আমি এখন ভার্সিটি তে পড়ি, এখানে হয়তো জীবনটা আগের চেয়ে অনেক বেশি স্বাধীন, অনেকটা নিজের ইচ্ছামতো জীবন যাপন করা যায়, কিন্তুু এখানে একধরনে দায়বদ্ধতা কাজ করে। এখন একটু একটু করে বুঝতে পারছি জীবন চলার পথটা কতটা জটিল থেকে জটিলতর হতে পারে, , ,এখন আর বিন্দুমাত্র আকাঙ্খা বা ইচ্ছা জাগে না জীবনের পরবর্তী ধাপে পদার্পণ করার, বরং ইচ্ছা করে আগের সেই সোনালী দিনগুলোতে ফিরে যেতে, যেখানে জীবনটা ছিল অনেকখানি সহজ, সরল,, , , , , , , যদিও ইচ্ছাটা এই জীবনে পূরন হওয়া সম্ভব নয়, তারপরও মন কাঁদে আগের সেই প্রাইমারি স্কুলে পড়ুয়া ছোট্ট কিংবা হাই স্কুলে পড়ুয়া ক্রিকেট পাগল আমিতে ফিরে যেতে,, , , , , , , , , , , , , , , , , , , ,
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৪০