কলকাতার ISI (Indian Statistical Institute) এর বানানো বাংলা OCR দিয়ে কনভার্ট করা প্রথম বাংলা বই
আমি ও ঘোড়া কর ভগবান
লেখকঃ আনন্দগোপাল সেনগুপ্ত।
১৯৫২ সালে সাধারণ নির্বাচন। লোকসভার সীটে কংগ্রেস থেকে দাঁড়িয়েছেন অনিলদা। আর আমাদের সোস্যালিষ্ট পার্টির ক্যাণ্ডিডেট উমাপতি মিত্র। আমার বাড়ী বীরভূমে, তাই পার্টি থেকে আমার ওপর ভার পড়লো, বীরভূমে নির্বাচন পরিচালনার। বীরভূমের নানান্ জায়গা ঘুরতে ঘুরতে একদিন সিউড়ি গেছি। শুনলাম অনিলদা এসেছেন, সঙ্গে প্রাদেশিক কংগ্রেস কমিটির নেত্রী লাবণ্যপ্রভা দত্ত। খেয়ে দেয়ে ৩টে নাগাদ অনিলদার সঙ্গে দেখা করতে গেলাম। রাস্তায় জীপ দাঁড়িয়ে অনিলদা ও লাবণ্যপ্রভা দত্ত নেমে আসছেন। আমাকে দেখেই বল্লেন-আরে আনন্দ, ওঠো ওঠো গাড়িতে ওঠো। কথা বলতে বলতে যাওয়া যাবে। এই যে ৫৬ মাইল দূরে চন্দ্রপুর আছে, যাকে তোমরা চঁদরপুর বল, সেখানে একটা মিটিং আছে। ঘণ্টা দুই-এর ব্যাপার। তারপর তোমাকে ছেড়ে দেবো। বল্লাম-সেকি আমি আপনার বিরুদ্ধ পার্টির লোক, লোকে দেখলে বলবে কি? বল্লেন-আরে বাবা, আমার জামানত জব্দ তো তোমরা করছই, আমার পাশে তোমাকে দেখে ২/৪জন বিপ্লবী সোসালিষ্ট যদি ভোটটা আমাকে দিয়েই ফেলে, তাতে কিছুই ইতরবিশেষ হবে না। বলেই হাত ধরে টেনে গাড়িতে তুললেন।
কয়েকটি ইতস্তত গাছ। একটা গাছতলায় কয়েকখানা চেয়ার। একটা নড়বড়ে টেবিল। সামনে খেঁজুর পাতার চাটাই। পুরুষ রমণী কাচ্চা বাচ্চা মিলে শ' পাঁচেক লোক। সবাই চেয়ারে বসেছি। একজন অশীতিপর বৃদ্ধকে সভাপতি করা হলো। তিনি উঠে কাঁপা কাঁপা গলায় বলতে শুরু করলেন-ভাইসব আজ আমাদের সৌভাগ্যের দিনও বটে, আবার দুর্ভাগ্যের দিনও বটে। আপনারা সবাই দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের নাম জানেন। দুর্ভাগ্যের দিন এইজন্যে যে, তিনি আর বেঁচে লাইকো। আর সৌভাগ্যের দিন এইজন্যে যে, তাঁরই সহধর্মিণী বাসন্তীদেবী, আজ আমাদের গাঁয়ে এয়েছেন। অনিলদা, তাড়াতাড়ি উঠে ওঁর কানে কানে বল্লেন, -না, না ইনি বাসন্তী দেবী নন। কংগ্রেস নেত্রী লাবণ্যপ্রভা দত্ত। ভুলটা ঠিক করে নিন। বৃদ্ধ রাগত স্বরে ঘাড়টা অনিলদার দিকে ফিরিয়ে বল্লেন-উ মাশয় ফুঁকুলে বেঁরিয়ে গেইচে। এখন ফিরিন নিলে, মিটিন ভেঙ্গে যাবে।
অভূতপূর্ব ব্যাপার। নেত্রী লাবণ্যপ্রভা দত্ত, বাসন্তীদেবী সেজে বক্তৃতা করলেন। নির্বাচনে ফলস ভোট হয়, রিগিং হয়, ব্যালট পেপারের কারচুপি হয়। কিন্তু লাবণ্যপ্রভা, বাসন্তীদেবী হয়ে যান। এও দেখেছিলাম।
সম্পূর্ণ বইটি পড়তে চাইলে ক্লিক করুন।
আলোচিত ব্লগ
দেশ এগিয়ে যাচ্ছে; ভাবতে ভালই লাগে
বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল নেতিবাচক। একই বছরে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল প্রায় ১ শতাংশ। ১৯৭৩ সালে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রবৃদ্ধি ছিল ৭... ...বাকিটুকু পড়ুন
যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ ঠেকাতে পুলিশি নির্মমতা
সমগ্র যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলোতে বিক্ষোভের ঝড় বইছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ কর্মসূচী অব্যাহত রয়েছে। একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিক্ষোভ দমনের প্রচেষ্টা চালালেও তেমন সফল... ...বাকিটুকু পড়ুন
ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ ০১
নতুন নতুন শহরে এলে মনে হয় প্রতি টি ছেলেরি এক টা প্রেম করতে ইচ্ছে হয় । এর পেছনের কারন যা আমার মনে হয় তা হলো, বাড়িতে মা, বোনের আদরে... ...বাকিটুকু পড়ুন
হিটস্ট্রোক - লক্ষণ ও তাৎক্ষণিক করণীয়
সাধারণত গরমে পরিশ্রম করার ফলে হিটস্ট্রোক হতে পারে। এতে দেহের তাপমাত্রা অতি দ্রুত বেড়ে ১০৪ ডিগ্রী ফারেনহাইট বা তারও বেশি হয়ে যেতে পারে।
হিটস্ট্রোক জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন। চিকিৎসা... ...বাকিটুকু পড়ুন
আল্লাহকে অবিশ্বাস করার সংগত কোন কারণ নাই
সব কিছু এমনি এমনি হতে পারলে আল্লাহ এমনি এমনি হতে সমস্যা নাই। বীগ ব্যাং এ সব কিছু হতে পারলে আল্লাহও হতে পারেন। সব কিছুর প্রথম ঈশ্বর কণা হতে পারলে আল্লাহও... ...বাকিটুকু পড়ুন